চা, কফি পান করাতে নয়- সিঁড়িতে ওঠানামা করলে উৎসাহ ক্ষমতা দুটোই বাড়ে।
কাজের ফাঁকে আলসেমি, ঘুম, ক্লান্তি ইত্যাদি দূরে রাখতে সবাই বেছে নেন চা কিংবা কফি। এই দুই পানীয়তে থাকা ‘ক্যাফেইন’ই একাজের মুল নায়ক, যা বাড়ায় মনযোগ, মানসিক সতর্কতা ও কর্মশক্তি। তবে তা অতিরিক্ত গ্রহণের কুফলও আছে।
আবার চা-কফির প্রভাব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। আর একারণেই তা পান করার পরিমাণ বেশি হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বের করেছেন আলসেমি কাটানোর আরও কার্যকর উপায়। তা হলো সিঁড়িতে ওঠানামা করা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এবিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো বিস্তারিত।
বিকল্প এই উপায়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে গবেষণা চালায় ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া’র গবেষকরা। এতে অংশ নেয় ১৮ জন নারী, যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর। এদের প্রত্যেকেরই ছিল দীর্ঘদিনের ঘুমের ঘাটতি।
দুই ধরনের পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণকারীদের স্মৃতিশক্তি, মনযোগ, সাড়া দেওয়ার ক্ষিপ্রতা এবং কর্মস্পৃহার মাত্রা পরীক্ষা করেন গবেষকরা।
প্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের দুই দলে ভাগ করে একদলকে দেওয়া হয় ৫০ মিলিগ্রাম ‘ক্যাফেইন’ সমৃদ্ধ ক্যাপসুল আর বাকি অর্ধেককে দেওয়া হয় ‘প্লাসিবো’ বা কোনো কাজ করেনা এমন ওষুধ।
দ্বিতীয় পরীক্ষায় প্রত্যেককেই বলা হয় স্বাভাবিক গতিতে ১০ মিনিট সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে।
দেখা যায়, যে দলটি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেছেন তাদের কর্মশক্তির মাত্রা যারা ‘ক্যাফেইন’যুক্ত ক্যাপসুল সেবন করেছেন তাদের তুলনায় বেশি। তবে কোনো কিছুই অংশগ্রহণকারীদের স্মৃতিশক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আসল কথা হল
যারা কাজের প্রয়োজনের প্রতিদিন চা কিংবা কফির ওপর নির্ভরশীল তাদের জন্য এই গবেষণা অভাবনীয় উপকার বয়ে আনবে বলে আশাবাদী গবেষকরা। কারণ দিনভর কয়েক কাপ চা-কফি পান করার বদলে তারা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে সিঁড়িতে ওঠানামা করেই শরীরের আলসেমি কাটাতে পারবেন। আর এই কারণে যে শারীরিক পরিশ্রম হবে তা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখবে।