কালযন্ত্রের ইতিহাস

Author Topic: কালযন্ত্রের ইতিহাস  (Read 1540 times)

Offline sajol

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 69
    • View Profile
কালযন্ত্রের ইতিহাস
« on: January 15, 2012, 07:41:26 PM »
সূর্যঘড়ি : এটি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি। আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে এর উৎপত্তি। বহাল তবিয়তে এখনও টিকে আছে। সেকেন্ড ও মিনিটের বালাই নেই, নেই কোনো টিকটিক শব্দ। তবে সময় দেয় একদম নিখুঁত। গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর; এ নিয়েই সূর্যঘড়ি। জেনে রাখা ভালো, মাত্র ৭০০ বছর আগে লাতিন শব্দ ‘ক্লক্কা’ থেকে এসেছে ক্লক। ক্লক্কা মানে ঘণ্টি।

পানিঘড়ি :এর কাজের ধরন বালিঘড়ির মতো। খ্রিষ্টপূর্ব ষোড়শ শতকে মিসরে এর উৎপত্তি। তখন এর নাম রাখা হয় ক্লেপসাড্রা। একটি বড় পাত্র থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় একটি ছোট পাত্রে পানি পড়ার মাধ্যমেই এগিয়ে চলে সময়ের কাঁটা। নিচের ছোট পাত্রের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটি খাঁজযুক্ত দণ্ড। ওটাই একটু একটু করে ঘোরাতে থাকে সময়ের গিয়ার। পানিঘড়ির হাত ধরেই আসে দিন, মাস ও ঘণ্টার ধারণা। গ্রিকরাই প্রথম বছরকে ১২ ভাগে ভাগ করে। এরপর উপবৃত্তাকার কক্ষপথকে ৩৬০ ডিগ্রি ধরে তাকে ১২ দিয়ে ভাগ করেই পাওয়া গেল মাসের ৩০ দিন। মিসরীয় ও ব্যাবিলনীয়রা সূর্যের উদয়-অস্ত নিয়ে দিনকে দুটো সমান ভাগে ভাগ করল। এভাবে এলো ১২+১২=২৪ ঘণ্টা। সে সময় তাদের সংখ্যা গণনার ভিত্তি ছিল সেক্সাজেসিমাল তথা ৬০ = এখন যেমন ১০। এ কারণেই ঘণ্টা ও মিনিট ভাগ হলো সমান ৬০টি ভাগে।

পেন্ডুলাম :জার্মানির পিটার হেনলেইন ১৫১০ সালে প্রথম স্প্রিং চালিত ঘড়ি আবিষ্কার করেন। তবে ওটা নিখুঁত সময় দিতে পারত না। এর নির্দেশকের গতিও ছিল বিক্ষিপ্ত। আরেক জার্মান গবেষক জোস্ট বার্জিও তৈরি করেন আরেকটি যান্ত্রিক ঘড়ি। তবে তাতেও সমস্যা ছিল ঢের। বার্জি মূলত জ্যোতির্বিজ্ঞানকে মাথায় রেখেই এটা তৈরি করেছিলেন। তা ছাড়া মিনিটের কাঁটা ছাড়া আর কোনো নির্দেশক ছিল না তাতে। ১৬৫৬ সালে পেন্ডুলাম চালিত প্রথম কার্যকর ঘড়ি আবিষ্কার করেন নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান হাইজেন। ডানে-বাঁয়ে হেলে-দুলে বেশ ভালোভাবেই ঘুরিয়ে দিত মিনিট ও ঘণ্টার খাঁজকাটা চাকতিগুলো। তবে প্রথম দিকে পেন্ডুলামের দুলুনির মাত্রা ছিল অনেক। প্রায় ৫০ ডিগ্রি। পরে তা ১০-১৫ ডিগ্রিতে নেমে আসে। ১৯০৬ সালে পেন্ডুলাম ক্লকের পেছনে প্রথমবারের মতো জুড়ে দেয়া হয় ব্যাটারি।
কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ক্লক : বিদ্যুৎ কিংবা চাপ প্রয়োগে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে কাঁপতে পারে কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ধাতু। এ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ১৯২০ সালে আসে প্রথম কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ঘড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে একের পর এক আধুনিক ও দামি ঘড়ি।
অ্যাটমিক ঘড়ি :সময়কে কেটেকুটে একদম অদেখার জগতে নিয়ে গেছেন বিংশ শতকের বিজ্ঞানীরা। সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ বুঝতেই যেখানে গলদঘর্ম হতে হয়, সেখানে একশ কোটি ভাগের এক ভাগ তো কল্পনার বাইরে। ভাবতে ভাবতেই না জানি কত লাখ কোটি ন্যানো সেকেন্ড পেরিয়ে গেল। পরমাণুর কম্পনকে কাজে লাগিয়ে যে সময়যন্ত্র হতে পারে, এমনটি ১৮৭৯ সালে ভেবেছিলেন লর্ড কেলভিন (তাপ মাপার একক কেলভিনের জনক)। এর কার্যকর রূপটির আরেক নাম হচ্ছে ম্যাগনেটিক রিজোনেন। ১৯৩০ সালে যার সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন মার্কিন বিজ্ঞানী ইসিদর আইজাক রাবি। তার আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যান্ডার্ডস প্রথম অ্যাটমিক ঘড়ি তৈরি করে। তবে তখন তা প্রচলিত কোয়ার্টজ

ক্লকের চেয়ে নিখুঁত সময় দিতে পারত না। সেই সমস্যা কাটাতে এলো সিজিয়াম-১৩৩ পরমাণু। ১৯৫৫ সালে ব্রিটিশ গবেষক লুই এসেন ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে বসে বানিয়ে ফেললেন প্রথম সিজিয়ামভিত্তিক অ্যাটমিক ঘড়ি। যে সিজিয়াম পরমাণুর ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০টি কম্পনকে আমরা বলি ১ সেকেন্ড।
প্রথম বাণিজ্যিক অ্যাটমিক ঘড়িটির নাম অ্যাটোমাইক্রন। ১৯৫৬-৬০-এর মধ্যে যা বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫০টি। তবে ’৯০-এর পর ঘড়ির জগতে তৈরি হতে থাকে একের পর এক মাইলফলক। ২০০৮ সালে পারদ ও অ্যালুমিনিয়ামের আয়নকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি তৈরি করে সভ্যতার সেরা অ্যাটমিক ঘড়ি। কোটি বছর পরও যে ঘড়ির সময়ে এক সেকেন্ড হেরফের ঘটবে না।
বিশ্বের একেক দেশের ঘড়িতে এখন একেক সময়। তবে মহাকালের ঘড়িতে কিন্তু সময় একটিই। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওই ঘড়িটা টিক টিক করে উঠেছিল বিগ ব্যাংয়ের পর থেকেই। তার আগে সময় ছিল ঘুমিয়ে। বিজ্ঞানের তত্ত্ব বলছে, আবার একদিন বন্ধ হয়ে যাবে মহাকালের ঘড়ি।

Offline Narayan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 426
  • যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে।
    • View Profile
Re: কালযন্ত্রের ইতিহাস
« Reply #1 on: January 15, 2012, 08:54:23 PM »
Good Informative post.
Thanks for sharing..
Narayan Ranjan Chakraborty
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University.

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1173
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: কালযন্ত্রের ইতিহাস
« Reply #2 on: January 15, 2012, 10:05:21 PM »
Good post, Thanks
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU

Offline akabir

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 110
    • View Profile
Re: কালযন্ত্রের ইতিহাস
« Reply #3 on: January 17, 2012, 06:57:48 PM »
Nice post.