১. বাহামাস
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘বাহামাস’ নামক ক্ষুদ্র দেশটির অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী। এমন ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির পেছনে বড় একটি শক্তি হিসেবে কাজ করছে দেশটির পর্যটন শিল্প। সুন্দর সব সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক পর্যটক আসেন এখানে। সাজানো-গোছানো দেশটিতে থাকতে গেলে খুব একটা কাঠ-খড় পোড়াতে হয় না। পকেটে অল্প কিছু পয়সা থাকলে সহজেই এখানে নিজের একটি ঠিকানা তৈরি করতে পারেন।
তবে সম্প্রতি বাহামাস সরকার তাদের বিদেশী নাগরিকদের জন্য নতুন একটি আইন তৈরি করেছে। ফলে কেউ এখন থেকে বাহামাসে থাকতে গেলে বিনিয়োগ করতে হবে সেখানে। কিংবা প্রতি বছর আপনাকে ১,০০০ ডলার দিয়ে নিজের অবস্থান নবায়ন করতে হবে। আর যদি স্থায়ী আবাস গড়তে চান, তবে ২,৫০,০০০ ডলারের সম্পত্তি কিনতে হবে। তাই সেই দেশের কর্তৃপক্ষকে যদি খুশি রাখতে চান, অভিবাসী হিসেবে বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। যদিও বাহামাসে কোনো আয়কর নেই, তবে সেখানকার নাগরিক ব্যয় অনেক বেশি।
২. আরব আমিরাত
অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচক অনুসারে, মুক্ত বাণিজ্য আর স্বল্প করের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত পৃথিবীতে দশম স্থান দখল করে আছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো তারাও প্রচুর তেল উত্তোলন করে থাকে। তেল বিক্রির অর্থ থেকেই নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে তারা। পাশাপাশি সেই দেশে অবস্থানকারী নাগরিকদেরও আয়কর বাবদ গুণতে হয় না কোনো অর্থ।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিদেশী বিনিয়োগকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করে থাকে। এখানেই রয়েছে দুনিয়ার কাছে পরিচিত এক শহর ‘দুবাই’। কেবলমাত্র দুবাইকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের সব মেগা প্রজেক্ট। বিনিয়োগের ব্যাপারগুলোতে তাদের উদারতার জন্যই এটি বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দনীয় একটি গন্তব্য।
৩. ওমান
আমাদের তালিকায় থাকা আরব আমিরাতের মতো ওমানও তেল আর গ্যাসের কল্যাণে ধনী একটি রাষ্ট্র। তবে নিজেদের তেল আর গ্যাসের উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে তারা বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে আগ্রহী। যার কারণে ওমান বিদেশী বিনিয়োগকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। যদিও তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উঠে-পড়ে লাগেনি। এর একটি কারণ হতে পারে, তারা এখনো নিজেদের অবকাঠামো বিদেশী বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারেনি।
৪. কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ
কেইম্যান হলো পশ্চিম ক্যারিবিয়ান সাগরের স্বায়ত্ত্বশাসিত তিনটি দ্বীপের সমষ্টি। অন্যান্য আয়করহীন রাষ্ট্রের মতো কেইম্যানেও থাকতে গেলে কোনো কর দিতে হয় না। এখানকার বাসিন্দাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ আনুসাঙ্গিক যাবতীয় খরচ আসে তাদের বন্দর আর পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে প্রাপ্ত আয় থেকে। প্রতিনিয়ত বিদেশী জাহাজে করে আসা পণ্য, আর সমুদ্র সৈকতে বিলাসীদের আনাগোনা এখানকার অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে।
অন্যান্য ক্যারিবিয়ান দেশের মতো আপনি যত বেশি বিনিয়োগ করবেন এখানে, ততই নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে বিনিয়োগ করলেই হবে না, এখানে অন্তত ৮ বছর অবস্থান করলে তবেই মিলবে স্থায়ী নাগরিকত্ব।
৫. মোনাকো
পশ্চিম ইউরোপের বিলাসবহুল একটি দেশ মোনাকো। আয়কর মুক্ত দেশগুলোর ভেতর মোনাকোতে নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলক সহজসাধ্য। তবে সেজন্য আপনাকে একজন ধনকুবের হিসেবে সেখানে হাজির হতে হবে!প্রতি বছর ইউরোপসহ বিশ্বের তাবৎ ধনীরা এখানে অবকাশ যাপন করতে আসেন। ফলে পর্যটন থেকে দেশটি প্রচুর অর্থ পেয়ে থাকে। যার ফলে বাসিন্দাদের আয়করের ঝামেলায় পড়তে হয় না।
৬. মালদ্বীপ
নিচে স্বচ্ছ পানি, তার উপর সাজানো সব কটেজ! চাইলেই পানিতে ঝাঁপ দিয়ে শরীরটা চাঙ্গা করে নেওয়া যায়। সাঁতরে এসে দেখবেন আপনার সামনে বাহারি সব খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে! এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায় ভারত মহাসাগরের বুকে জেগে উঠা ছোট একটি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে।
[Collected]