Faculties and Departments > Faculty Sections
একা থাকার নানা দিক
protima.ns:
একা থাকার নানা দিক:
একা থাকা মানে অনেকটা স্বাধীনতা। আর ঠিক এ কারণেই প্রয়োজন সেল্ফ ডিসিপ্লিন। একা থাকার বিভিন্ন নেতিবাচক দিকও রয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু যখন সঙ্গী ছাড়া থাকা অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন হয়তো বিষয়টি নিয়ে অন্যদের মাথাব্যথা কমে যাবে।
আসলে একা থাকার অন্যরকম একটা আনন্দ আছে। যেটা অভিজ্ঞরাই কেবল অনুভব করতে পারেন।
চাকরি, পড়াশোনা বা একা থাকার পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত কারণটা যাই হোক, বর্তমানে অনেক মেয়েরা স্বাধীনভাবে একা থাকছেন। তবে একা থাকা মানে কিন্তু লাগাম ছাড়া জীবনযাপন নয়। বরং অনেক বেশি দায়িত্ব ও দৈনন্দিন নানা খুঁটিনাটির মোকাবিলা। নিজের জন্য একটা রুটিন বানিয়ে ফেলুন। সেই মতো চললে দেখবেন, সহজেই সময়ের মধ্যে সব কাজ করে ফেলছেন।
* একা থাকলে শতভাগ পরিসজ্জার অধিকারী হওয়া যায়। নিজের পছন্দমতো চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র কেনার সুযোগ থাকে। অর্থাৎ কেনাকাটার দিক থেকে একা থাকা মানুষটি অন্যদের চেয়ে অনেক সাহসী- বাধা দেয়ার কেউ থাকে না। এছাড়া আপনি যখন একা থাকেন তখন আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হয় না।
* নতুন শহরে নতুনভাবে নিজের জীবন শুরু করুন। একা থাকার পজেটিভ দিকগুলো এক্সপ্লোর করুন। ছোটখাটো সমস্যা লেগে থাকবেই। তার মধ্যেই নিজেকে, চারপাশকে, আবিষ্কার করার আনন্দে থাকুন।
* একাকী জীবনে ‘হুর রে...’ বলার মতো একটা বিষয়। অন্য শহরে, নিজের পরিবার, পরিজনকে ছেড়ে থাকতে হলে একা লাগাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ একাকিত্ব থেকে যেন নিরাশা আপনাকে গ্রাস না করে। তাই আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে। যেমন- নাচ, গান, আঁকা, সেরকম কোনো হবি ক্লাসে ভর্তি হতে পারেন। সমমনস্ক মানুষদের সঙ্গে মিশলে আপনারও ভালো লাগবে।
* যে গল্পগুলো পড়া বাকি রয়েছে, আপনার প্রিয় চেয়ারটিতে বসে ধীরে ধীরে সেগুলো শেষ করতে পারেন। জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতাগুলোকে নিয়ে লিখতে পারেন ছোট কিংবা বড় গল্প। আপনার ঘরের দরজা-জানালাগুলো পছন্দমতো রং করে নিতে পারবেন ইচ্ছা হলেই। শরীরচর্চা, গান-বাজনা থেকে শুরু করে পছন্দমতো নিজেকে সাজানোর পথে পা বাড়াতে পারেন যখন-তখন।
* বাড়িতে থাকতে কোনোদিন রান্না ঘরে যাননি?
বেশ তো, এবার তাহলে শিখেই ফেলুন রান্নাটা। এতে যেমন টাকাও বাঁচবে, তেমনি রোজ রোজ একঘেয়েমি খাওয়ার হাত থেকেও মুক্তি পাবেন। প্রথম দিকে সহজ কিছু দিয়ে শুরু করুন। যেমন- ব্রেকফাস্ট নিজের হাতে বানালেন। ধীরে ধীরে লাঞ্চ এবং ডিনারও ট্রাই করুন।
* বেশি সময় বিছানায় নয়। বেশি সময় টুকিটাকি কাজ নয়, বেশি সময় বাসায় ঘরোয়া মিটিং নয়, কিংবা টয়লেট পেপার অপচয় নয় কোনো নিয়মই আপনাকে মানতে হবে না। বরং আপনি আপনার বাসায় নীতিমালা নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। পছন্দের পর্দা, পেন্টিং শো-পিস দিয়ে মনের মতো করে ঘর সাজান।
* একা থাকলে নিজের শরীর সুস্থ রাখা খুব জরুরি। একা থাকতে গিয়ে যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন সে জন্য আগে থেকে তৈরি থাকুন। সংগ্রহে রাখুন সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশির ওষুধ, থার্মোমিটার, পেইনকিলার, গজ, তুলা, অ্যান্টিসেপটিক অয়েন্টমেন্ট রাখুন। শরীর খারাপ হলে প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখুন।
* নিজের সঙ্গে সময় কাটান। কাছে রাখুন পছন্দের গল্পের বই, সিনেমা এবং গানের কালেকশন।
সকালবেলা চায়ের কাপে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে একা সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে।
* কিছু সেফটি নিয়ম মেনে চলুন। বাড়ির দরজায় পিপহোল এবং সিকিউরিটি চেন লাগিয়ে নেবেন। এতে হোম ডেলিভারি বা পোস্টম্যান এলে পুরো দরজা খোলার দরকার হবে না। বন্ধু, কলিগ, পরিবারের সবাইকে নিজের বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, প্রতিবেশীর নম্বর দিয়ে রাখুন। লেট নাইট সিডিউল হলে প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখুন যাতে ফিরতে দেরি হলে ওরা খোঁজখবর নিতে পারে। অফিসের ড্রয়ারে বা বাড়ির কাছে কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে ডুপ্লিকেট চাবি রাখুন।
Dipty Rahman:
Thanks for sharing
Anuz:
I think it will be fruitful if anyone can manage.
kamrulislam.te:
🙂
refath:
Nice post.
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version