করোনা ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে ১৪টি বিষয় জানা জরুরি

Author Topic: করোনা ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে ১৪টি বিষয় জানা জরুরি  (Read 992 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2667
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management


গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস অনন্ত ৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৩২০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার মানুষ।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার ঝুঁকির মাত্রা ’উচ্চ (High)’ থেকে ’খুবই উচ্চ (Very High)’ পর্যায়ে উন্নীত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ১৪টি বিষয় জানা জরুরি।
১. এ ভাইরাস মূলত নাক, মুখ এবং চোখের মধ্য দিয়ে দেহে প্রবেশ করে। সুতরাং হাত পরিষ্কার রাখা এবং হাত দিয়ে মুখমণ্ডল স্পর্শ না করার ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে।

২. কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে মাস্ক পরলে তা অন্যের দেহে ছড়ানোর ঝুঁকি কমবে। আর আক্রান্ত না হয়ে থাকলে মাস্ক আপনার নিজের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাবে।

৩. বিদেশ থেকে আসা সব মানুষের ভাইরাস স্ক্যানিং করানো জরুরি। বিশেষ করে যারা চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইটালি ও জাপানে ভ্রমণ করেছে তাদেরকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

৪. করোনাভাইরাস খুব সহজেই একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সুতরাং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করাই ভালো।

৫. ফ্লু ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিলে হয়তো করোনা দূর হবে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কেউ করোনার সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জায়ও আক্রান্ত হতে পারে। এবং তা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে। সেক্ষেত্রে ফ্লু’র টিকা নিলে তা শরীরকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সচল রাখবে।

৬. বাইরে গিয়ে করা কাজগুলো সম্ভব হলে ঘরে বসেই করার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে অফিসের কাজ ঘরে বসেই করার বন্দোবস্ত করতে হবে। বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে যাওয়া আপাতত সীমিত করা বা সম্ভব হলে বাড়িতেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. করোনার প্রাদুর্ভাবে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহে বিপত্তি ঘটতে পারে। সেজন্য প্রস্তুতি থাকা ভালো। ২০০৯ সালে এইচওয়ান এনওয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ার সময়ে স্কুল বন্ধসহ অনেক অনুষ্ঠানও বাতিল করতে হয়েছিল নানা দেশে।

৮. করোনভাইরাসকে এখনো বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে ভাইরাসটি বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। আর তা মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রস্তুতি নেওয়া শুরুও করে দিয়েছে। তবে এখনই তা নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

৯. চীনের যে উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ২-৪ শতাংশ। উহানের বাইরে অন্য শহরে এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার মাত্র ০.৭%। আর বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্তদের মধ্যে এই ভাইরাস বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

১০. কফ ও কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। সাথে জ্বরও থাকে।

১১. খুবই সহজেই ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। করোনায় আক্রান্তও ব্যক্তির হাঁচি বা নাকঝাড়া থেকে কারো দেহে কফ লাগলে এই ভাইরাস ছড়ায়। দেহের বাইরে নয় দিন পর্যন্ত এই ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে এবং অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে।

১২. যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে আলাদা করে রাখতে হবে। ঘরের বাইরে না যাওয়া।

১৩. করোনা ভাইরাস যেহেতু দেহের বাইরে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে সেহেতু শুধু রোগীর কাছাকাছি আসা ছাড়াও এই ভাইরাস কোনো বস্তুতে লেগে থেকে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে।

১৪. টেপের পানি ছেড়ে রেখে হাত ধুতে হবে। সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাতের তালু ও পিঠ কবজি পর্যন্ত ডলে ডলে ধুতে হবে। হাতের আঙ্গুল এবং নখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।



সোর্সঃ https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/03/04/507909