করনা ভাইরাস এবন

Author Topic: করনা ভাইরাস এবন  (Read 814 times)

Offline Arif Hossain

  • Newbie
  • *
  • Posts: 17
  • Test
    • View Profile
    • https://managementverge.com/
করনা ভাইরাস এবন
« on: March 11, 2020, 04:21:40 PM »
বর্তমান সময়ে সব থেকে আলোচিত এবং ভয়াবহ বিপর্যয়ের নাম হচ্ছে করনা ভাইরাস। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে ও করনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু আশার কথা এই যে বাংলাদেশে করনা ভাইরাস এখনো মহামারি আকারে ছরিয়ে পরেনি। তাই করনা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান এবং সচেতনতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে এ ভাইরাসের অবাধ বিস্তার রোধ করতে পারি।
করনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক না থাকায় প্রতিরোধই  আর সচেতনতাই হচ্ছে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায়। আর করনা প্রতিরোধে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে hand sanitizer ব্যবহার  বা সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোঁয়া। কিন্তু হাত ধোয়ার পর তা মোছার জন্য আমরা যে টাওয়ালটি ব্যবহার করছি তা নিরাপদ তো? আমাদের বাসার/অফিসের দরজার লক, দোকানে চায়ের কাপ, খাবারের প্লেট, টাকার নোট  সহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত যেকোনো কিছুতেই লেগে থাকতে পারে প্রাণঘাতী এই জীবাণু। সুতরাং করনা প্রতিরধে আমাদের যাবতীয় দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড সম্পাদনে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী।

করনাভাইরাস কি এবং এটি কিভাবে ছরায়?
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস - যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ - এনসিওভি বা নভেল করোনা ভাইরসা। করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।

মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এ ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশী। তাছাড়া
হাচি কাশী
ভাইরাস আছে এমন কিছু স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে মুখে, নাকে বা চোখে স্পর্শ করলে। এমনকি পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ও ছড়াতে পারে।
করনার লক্ষণ সমূহঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে প্রথমিক ভাবে যে লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পায় তা হচ্ছে -
জ্বর
অবসাদ
শুষ্ক কাশি
শ্বাস কষ্ট
গলা ব্যাথা

কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?
শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

শিশুরা কি ঝুঁকিতে?
যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

কীভাবে করনা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন?

করনা ভাইরাসের এখনও কোনো প্রকার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে এ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট শারীরিক সমস্যায় সাধারণ চিকিৎসাই প্রদান করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে জরুরি হল রোগীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা। তবে করনার প্রতিরোধক হিসেবে নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা সমূহ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরিঃ

ঘন ঘন স্যনেটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা এবং হাত না ধুয়ে মুখ, চোখ, নাক ইত্যাদি স্পর্শ না করা।
বাসার বাইরে মাস্ক ব্যবহার করা।
যেকোনো জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদিকে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে হ্যান্ডেল করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা। হাচি বা কাশি আটকাতে কখনই নিজের হাত ব্যবহার করা উচিত নয়।
বন্য জিব-জন্তু বা পশুপাখি দের খালি হাতে স্পর্শ না করা।
মাংশ, ডিম খুব ভালোভাবে রান্না করা এবং কাঁচা খাবার পরিহার করা। এবং
করনার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা।
 

আমরা সকলেই একটি কথা জানি যে, Prevention is better than cure। তাই, কোন প্রকার কোন গুজবে কান না দিয়ে ও অযথা আতংকিত না হয়ে যদি আমরা নিজেদেরকে ও আমাদের আশেপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি সেই সাথে সকল প্রকার সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি, তবে আমরা খুব সহজেই যে কোন রোগ বালাই থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারবো।