করোনা চিকিৎসায় ইতালিতে আশার আলো দেখাচ্ছে যে পদ্ধতি

Author Topic: করোনা চিকিৎসায় ইতালিতে আশার আলো দেখাচ্ছে যে পদ্ধতি  (Read 565 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2667
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
চীনের পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ইউরোপের দেশটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ এ দেশটিতে আরও ১৮৯ জনের প্রাণ নিয়েছে করোনাভাইরাস। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১৬ জনে।

ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা বিভাগ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, একদিনে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজার ৬৫১ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১১৩ জনে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইতালি সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরও সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তবে সুখবর এসেছে দেশটির নেপলস শহর থেকে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেশটির কর্তৃপক্ষ ও বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস মোকাবেলায় ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। টোসিলিজুমাব নামের একটি ওষুধ ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন তারা। যদিও এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয় পলিআর্টিকুলার জুভেনাইল ইডিয়োপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (পিজেআইএ) এবং সিস্টেমিক জুভেনাইল ইডিয়োপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস (এসজেআইএ) রোগ হলে। কিন্তু বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে এই ওষুধ।

ইতালির নেপলস শহরে একটি চীনা-ইতালিয়ান টিম এই ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। কলি হাসপাতাল, নেপলসের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এবং চীনা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এই ওষুধ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, টোসিলিজুমাব করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের চিকিৎসায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। এই ওষুধ ব্যবহার করার পর নেপলসের দুই রোগী সুফল পেয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা মারাত্মক হলেও এখন ভালো অনুভব করছেন।

গত শনিবার নেপলসের কটুগনো হাসপাতালে ওই দুই রোগীর ক্ষেত্রে টোসিলিজুমাব প্রয়োগ করা হয়। পরে ২৪ ঘণ্টা পরে দেখা যায় এই ওষুধ ভালো কাজ করছে। উৎসাহজনক উন্নতি পেয়েছেন গবেষকরা। বিশেষত দু'জন রোগীর মধ্যে একজন, যিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার উন্নতি হয়েছে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় টোসিলিজুমাব ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, চীনে এই ওষুধ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। ২১ জন রোগীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগও করা হয়েছে। যাদের শরীরের প্রয়োগ করা হয়েছে; তাদের অনেকেরই প্রথম ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। বলা হচ্ছে, আরো রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা হবে।


Source: https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/03/13/510583