Help & Support > Common Forum/Request/Suggestions

করোনা থেকে বাঁচতে অজুর গুরুত্ব

(1/2) > >>

ishaquemijee:
করোনা থেকে বাঁচতে – বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি আমাদের দেশেও পাওয়া গেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে আতঙ্ক। ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আপাতত জনসমাগম, গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে, ঘন ঘন হাত ধুতে। কারণ হাতের মাধ্যমেই এই রোগ বেশি ছড়াতে পারে। আলেমরা বলছেন, করোনা থেকে বাঁচতে আমাদের সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে। গুনাহ ছেড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বনও করতে হবে। এ ছাড়া ঘন ঘন অজুর মাধ্যমেও আমরা সর্বদা পরিচ্ছন্ন থাকতে পারি। কারণ মহান আল্লাহ অজু করার সময় এমন চারটি অঙ্গকে ধোয়া ফরজ করেছেন, যে চারটি অঙ্গের মাধ্যমে শরীরে দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, যখন তোমরা নামাজে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করো, মাথা মাসেহ করো এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত করো)। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)


 
উল্লিখিত আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের পবিত্রতা অর্জনের জন্য চারটি অঙ্গ ধৌত করা ফরজ করেছেন। কনুই পর্যন্ত হাত, মুখ, পা ও মাথা মাসেহ করা। পাশাপাশি যে পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে, সেই পানিও হতে হবে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। যে পানির স্বাদ, গন্ধ এবং রং অবিকৃত থাকবে। এ ছাড়া অজুর শুরুতে কবজি পর্যন্ত দুই হাত ধোয়া, কুলি করা, দাঁত মিসওয়াক করা, কান ও নাকের বহির্ভাগ পরিষ্কার করাকে মহানবী (সা.) তাঁর সুন্নাত হিসেবে অনুসরণ করতে বলেছেন। নিম্নে বিজ্ঞানের আলোকে অজুর অঙ্গগুলো ধোয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হলো—

মুখমণ্ডল ধৌত করা : মুখ ধোয়ার অভ্যাস সব ঋতুতেই শরীর ও মনের সতেজতা আনে। মুখমণ্ডল ও দুই হাত শরীরের সবচেয়ে বেশি আবরণমুক্ত অংশ। তাই এগুলোতে সহজেই ধুলাবালি ও ভাইরাস, রোগজীবাণু লাগতে পারে। আর মানুষের ত্বকে বিশেষ করে লোমকূপের গোড়ায় এবং ঘর্মগ্রন্থির মুখে স্ট্যাপলিলোকাই, স্ট্রেপটোকক্কাই, কলিফর্ম ইত্যাদি ক্ষতিকর রোগজীবাণু থাকতে পারে। এ ছাড়া চোখের ভ্রুযুগল, চোখের পাতা, গোঁফ, দাড়ি, যা সহজেই ময়লাযুক্ত হতে পারে তাও হাত-মুখ ধোয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায়। মুখমণ্ডল অপরিষ্কার থাকলে রোগজীবাণু সহজেই মুখে প্রবেশ করতে পারে। মুখমণ্ডলের ঘাম, ময়লা ও জীবাণু ত্বকের সঙ্গে সেঁটে থাকতে সাহায্য করে। তাই আমরা ঘন ঘন অজুর মাধ্যমে আমাদের মুখমণ্ডলকে জীবাণুমুক্ত রাখতে পারি।


 
দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া : স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য শরীরের এই অংশটুকু প্রায়ই খোলা থাকে, যার ফলে এ অংশে ময়লা ও রোগজীবাণু লাগতে পারে। হাতের আঙুলের ডগার মাধ্যমে বিশেষ করে চুলকানোর পর আঙুল, নাক, কানসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এসব জীবাণু বিস্তার লাভ করে। এ ছাড়া অপরিষ্কার হাত খাদ্য ও পানীয়কেও জীবাণুযুক্ত করতে পারে। তবে সুস্থ ত্বক এসব জীবাণুর জন্য এক স্বাভাবিক প্রতিরোধক। কিন্তু ত্বকে সামান্যতম ক্ষত হলে তার মাধ্যমে এসব জীবাণু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে পাঁচড়া, ফোড়া, কারবাংকন, সেলুলাইটিস, সেপটিকেনিয়া, পায়োমিয়া ইত্যাদি রোগ হতে পারে। আর এখনকার সময় এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কাও খুব বেশি। সুতরাং অজু করার সময় প্রথমে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে পরে মুখমণ্ডল ধৌত করলে এসব রোগ থেকে সহজেই মুক্ত থাকা সম্ভব।


 
মাথা মাসেহ করা : অজু করার সময় ভেজা হাতে মাথা মাসেহ করা ফরজ। রোগজীবাণুমুক্ত থাকতেও এ কাজটি দারুণ কার্যকর। কারণ আমাদের মাথা ও চুল সব সময় উন্মুক্ত থাকে। যার ফলে চুলের মধ্যে ময়লা ও রোগজীবাণু জমা হতে পারে। সুতরাং ভেজা হাতে মাথা মাসেহ করার মাধ্যমে সেই ময়লাগুলো পরিষ্কার করা সম্ভব। মাথা মাসেহ করার পাশাপাশি ঘাড়েও ভেজা হাত দিয়ে মাসেহ করে নেওয়া রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত। এর দ্বারা অজুর একটি সুন্নত যেমন আদায় হয়ে যায়, পাশাপাশি ঘুম থেকে উঠে বা কর্মক্লান্ত হলে ভেজা হাতে ঘাড় মাসেহ করলে সতেজতা অনুভূত হয়।

টাখনু পর্যন্ত দুই পা ধৌত করা :  দুই পা সবচেয়ে বেশি খোলা থাকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে। এর ফলে এই অংশ খুব ময়লা ও জীবাণুযুক্ত হতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পা থাকলে জামাতে নামাজ পড়ার সময় ময়লা বা রোগজীবাণু ছড়াতে পারে না। তাই অজুর মাধ্যমে ভালোভাবে পা ধোয়ার মাধ্যমেও আমরা করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে পারি। কারণ কোনোভাবে যদি আমাদের পায়ে করোনার জীবাণু লেগে যায়, তা খুব সহজেই হাতে উঠে যেতে পারে। যেহেতু এখন মশার উপদ্রবও অনেক বেশি।

করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আমরা অবশ্যই মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইব। আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করব। পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মহামারি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
Collected.

farjana yesmin:
Thanks for sharing

Umme Atia Siddiqua:
Thanks for sharing.

Barin:
Good to know sir.

MasudRana:
Sir, Thanks for sharing, We should do it.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version