বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুর খাবার

Author Topic: বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুর খাবার  (Read 2278 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুর খাবার

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পুষ্টির ভূমিকা প্রধান। গর্ভকালীন মায়ের পুষ্টি অবস্থা, জীবনের প্রথম ছয় মাস মায়ের দুধ পান ও ছয় মাস বয়সের পর মায়ের দুধ পানের সঙ্গে অন্যান্য বাড়তি খাবার জোগানোর ওপর শিশুর বয়সের প্রথম বছরগুলোতে পুষ্টিমান নির্ভর করে।

মানবজীবনের প্রথম বছরের পরের বছরগুলোর তুলনায় অতি দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তাই ছয় মাস পূর্ণ হলে শুধু মায়ের দুধে শিশুর পুরোপুরি চাহিদা মেটে না।

এ বয়স থেকে তাই শিশুকে তার বাড়তি খাবার উইনিং (শিশুকে ধীরে ধীরে প্রাপ্তবয়স্কদের খাবারে অভ্যস্ত করানোর প্রক্রিয়া, পরিপূর্ণ খাবারে অভ্যাস করা)-এর মাধ্যমে খাওয়াতে হবে।

কোন সময়ে কোন খাবার
যে শিশু ছয় মাস বুকের দুধে অভ্যস্ত ছিল তাকে প্রথম অবস্থায় তরল, ঘন তরল ও শেষে শক্ত খাবারে অভ্যস্ত করাতে হয়। এ ছাড়া যেকোনো খাবার অল্প অল্প করে এবং একে একে নতুন খাবারে পরিচিত করে তুলতে হয়।
–জন্মর পর থেকে পূর্ণ ছয় মাস শুধু বুকের দুধ
–ছয় মাসের পর নয় মাস বয়স পর্যন্ত নরম তরল খাবার, চাল ও ডালের তরল খাবার, চালের গুঁড়ার পায়েস। সঙ্গে বুকের দুধ চলবে।
–১০-১২ মাস বয়স পর্যন্ত সেদ্ধ ভাত, ডিম, ডাল, শাকসবজি, যেমন-কলা, মিষ্টিকুমড়া চটকিয়ে দিতে হবে। সঙ্গে বুকের দুধ চলবে।
–১৩ থেকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত যেহেতু শিশুর দাঁত ওঠে, সে চোষে এবং দাঁত দিয়ে কামড়ে খেতে পারে।
তাই চা-পাতি, কাঁটাবিহীন মাছ, মাংস এবং ভাত-তরকারি চটকিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বেশি ঝাল ও মসলা ছাড়া পরিবারের বয়স্কদের খাবার দিতে হবে। সঙ্গে বুকের দুধ চলবে।

কোন বয়সে কতবার খাওয়াতে হবে
এভাবে শিশুকে ধীরে ধীরে পরিবারের সব ধরনের খাবারে অভ্যস্ত করে তুলতে হয়। সঙ্গে দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ চালিয়ে যেতে হবে। বুকের দুধ খাইয়ে বাকি অংশটুকু পরিপূরক খাবার দিয়ে পূরণ করতে হবে।

পরিপূরক খাবার দেওয়ার নিয়ম
–শুরুতে দিনে এক-দুবার।
–ছয়-আট মাস বয়সের দিকে দু-তিনবার।
–৯-১১ মাস বয়সী শিশুকে দিনে তিন-চারবার।
–১২-২৪ মাস বয়সে দিনে চার-পাঁচবার দিতে হবে।

ড· প্রণব কুমার চৌধুরী
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১২, ২০০৮