ল্যাবে তৈরি স্যানিটাইজার
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াহেদুজ্জামান তুহিন জানান, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুনীরউদ্দিন আহমদের উদ্যোগে তাঁরা ৮-১০ জন শিক্ষার্থী মিলে কাজ শুরু করেন ১৪ মার্চ। ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত তাঁদের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
প্রথমে তাঁরা পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক বোতল নমুনা তৈরি করেন। এতে তাঁদের সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাহতাবউদ্দিন। পরীক্ষামূলকভাবে নমুনা প্রস্তুতিতে সফল হন তাঁরা। ফলে আরও বড় পরিসরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরপর কাঁচামাল সংগ্রহ করে টানা কর্মযজ্ঞ শুরু করেন ফার্মেসি বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তিন দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা কাজ করে গেছেন তাঁরা। তৈরি করেছেন প্রায় ৭৫ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ মিলিলিটার করে ১০ বোতল লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ প্রস্তুত করেছেন তাঁরা।
অধ্যাপক মুনীরউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা সাবান তৈরির পেছনে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই। বরং আমরা প্রথমেই এগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করেছি।’
তবে শুধু নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।