Entertainment & Discussions > Multimedia Section

ঘরে বসে থাকার দিনে মন ভালো করার তিন ছবি

(1/1)

dulal.lib:
কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে অনেক দিনই হয়তো ভেবেছেন, যদি কয়েক দিন ঘরে বসে থাকা যেত! সেই সময় যখন এল, তখন মনে নানা শঙ্কা, অনেক উৎকণ্ঠা। ঘরে আপনি থাকবেন। কারণ, আপনার জীবনটা অনেক মূল্যবান। আপনার এই জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও অনেক জীবন, আরও অনেক মানুষ।

জর্জ বেইলির কথাই ধরি। ৩৮ বছরের বেইলি নিউইয়র্কে থাকতেন। ১৯৪৫ সালের একদিন তাঁর মনে হলো জীবনটা আসলে অর্থহীন, এই জীবনের কোনো প্রয়োজন নেই। আর তিনি বেঁচে না থাকলে এই দুনিয়ার কোনো ক্ষতি হবে না, কারও কিছুই যায় আসবে না। আসলেই কি তাই? জর্জ বেইলি যদি না জন্মাতেন, তাহলে যেভাবে সব চলেছে, সেভাবেই কি সব চলত?

ঘরে বসে থাকতে থাকতে যাঁদের মন খারাপ, তাঁরা যদি জীবনের মানে বুঝতে চান, তাঁদের জন্য সর্বকালের সেরা সিনেমা ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ। বিশ্বাস করুন, কয়েক শ মোটিভেশনাল স্পিকার আপনাকে যতটা উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন, তার চেয়ে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করবে ১৯৪৬ সালে মুক্তি পাওয়া ফ্রাঙ্ক কাপরার এই সিনেমা। সর্বকালের সেরা ছবির যেকোনো তালিকায় সিনেমাটি থাকবেই।

ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ দিয়েই যদি সিনেমা দেখা শুরু করেন, তাহলে আজ না হয় ক্ল্যাসিক সিনেমার ঘরানার মধ্যেই থাকি।

ম্যাট ড্রেইটন সংবাদপত্রের প্রকাশক। স্ত্রী ক্রিস্টিনাকে নিয়ে সুখী জীবন। তারা উদারমনা মা–বাবা, তাদের একমাত্র মেয়ে গেছে বেড়াতে। ২৩ বছরের জোয়ানা ফিরে এলেন ছেলেবন্ধু নিয়ে। ছেলেবন্ধু বিপত্নীক, বয়স ৩৮। সবচেয়ে বড় কথা, ছেলেবন্ধু ডা. জন প্রেন্টিক একজন আফ্রিকান-আমেরিকান।

সময়টা ১৯৬৭ সাল। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ রাজ্যে সাদা-কালো বিয়ে ছিল অবৈধ। স্বাভাবিকভাবেই জোয়ানার মা–বাবা হতভম্ব হয় পড়েন। মেয়ে এই ছেলেকেই বিয়ে করবে এবং সে চায় মা–বাবা আশীর্বাদ করুক। কিন্তু জন অন্য রকম। জোয়ানার বাবাকে বলে আসেন, তারা অনুমোদন না দিলে এই বিয়ে হবে না।

স্পেনসার ট্রেসি, ক্যাথরিন হেপবার্ন ও সিডনি পটিয়ার অভিনীত গেজ হু ইজ কামিং টু ডিনার মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৭ সালে। এ ছবি থেকে ক্যাথরিন হেপবার্ন সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতেছিলেন। হলিউডে স্পেনসার ট্রেসি ও ক্যাথরিন হেপবার্নের প্রেম ছিল একসময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। ছবিটির শুটিং শেষ হওয়ার ১৭ দিন পর স্পেনসার ট্রেসি মারা যান। শুটিং চলার সময় সবাই জানতেন, এটাই ট্রেসির শেষ ছবি। এমনকি শেষ দৃশ্যে যখন ট্রেসি বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ক্যাথরিন হেপবার্নের চোখে ছিল টলটলে অশ্রু। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি কখনোই আর দেখেননি ক্যাথরিন। ঘরে বসে থাকার এই দিনে আপনারাই না হয় দেখে ফেলুন।

এবার আরেক লিজেন্ডের সিনেমা। অন গোল্ডেন পন্ড ১৯৮১ সালের ছবি। ক্যাথরিন হেপবার্ন তো ছিলেনই, সঙ্গে ছিলেন হেনরি ফন্ডা ও জেন ফন্ডা। হেনরি ফন্ডা ও ক্যাথরিন হেপবার্ন—দুজনই এই সিনেমার কারণে সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রীর অস্কার পেয়েছিলেন।

৭০ বছরের নর্মান (হেনরি ফন্ডা) ও ৬০ বছর উত্তীর্ণ ইথেল (ক্যাথরিন হেপবার্ন) প্রতি ছুটিতে গোল্ডেন পন্ড নামের এক লেকের পাশে কিছুদিন থাকেন। কিছুদিন পর নর্মানের ৭০তম জন্মদিন। তাদের একমাত্র মেয়ে চেলসি (জেন ফন্ডা) এসেছেন, সঙ্গে নতুন ছেলেবন্ধু বিল। বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক উষ্ণ নয়। এটি মূলত বাবা ও মেয়ের সম্পর্কের ছবি।

যেমনটি দেখানো হয়েছে, বাস্তবেও বাবা-মেয়ের সম্পর্ক সে রকমই ছিল। বলে রাখি, সিনেমায় হেনরি ফন্ডা যে টুপি পরেছিলেন, সেটি আসলে স্পেনসার ট্রেসির। অনেকটাই ভিন্ন স্বাদের এই সিনেমা আপনাকে নতুন কিছু দেখার অভিজ্ঞতা দেবে।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version