যুগে যুগে মহামারি

Author Topic: যুগে যুগে মহামারি  (Read 687 times)

Offline Faruq Hushain

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 86
  • Test
    • View Profile
যুগে যুগে মহামারি
« on: March 22, 2020, 03:40:38 PM »
প্লেগ:
মহামারির কথা এলেই আসে প্লেগের কথা। পৃথিবীতে এই প্লেগ কয়েকবার এসেছে মহামারি আকারে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্লেগ প্রসঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যায় রোমান সাম্রাজ্যে। জানা যায়, রোমান সম্রাট প্রথম জাস্টিয়ানের প্লেগ হয়েছিল। তবে ব্যাপক চিকিৎসায় তিনি বেঁচে যান। প্রথম জাস্টিয়ানের নামানুসারে এই প্লেগের নামকরণ করা হয় ‘জাস্টিয়ান প্লেগ’। এই মহামারিতে আড়াই থেকে পাঁচ কোটি লোক প্রাণ হারায়। প্লেগের দ্বিতীয় মহামারি হয় ১৩৪৭ সালে। এটা ছিল কুখ্যাত বিউবনিক প্লেগের মহামারি এবং এতে প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লোকের প্রাণহানি ঘটে। ইতিহাসে এটি ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত। প্লেগের তৃতীয় মহামারিটা হয় ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে। এ সময় প্লেগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৮৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার লোকের মৃত্যু হয় চীনের ক্যান্টন শহরে। ১৯০০-১৯০৪ সালের দিকে সান ফ্রান্সিসকোর চায়না টাউনে প্লেগের আক্রমণ হয়েছিল। পরে ১৯০৭-১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অকল্যান্ড ও ইস্ট বে এলাকায় এটা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এর প্রাদুর্ভাবটি ঘটেছিল ১৯২৪ সালে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। বন্য ইঁদুরের মধ্যে রোগটি এখনো বিদ্যমান থাকায় তাদের সংস্পর্শে এলে মানুষের এই রোগ ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্লেগ মহামারি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তবে এই ১৯৯৪ সালেও ভারতের ৫টি প্রদেশে প্রায় ৭০০ জন (৫২ জন মৃতসহ) প্লেগে আক্রান্ত হয়।

বিভিন্ন মহামারি বারবার কাঁপিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর মানচিত্র। এমনই কয়েকটি মহামারির কথা থাকছে এই আয়োজনে।
5.17প্লেগ
মহামারির কথা এলেই আসে প্লেগের কথা। পৃথিবীতে এই প্লেগ কয়েকবার এসেছে মহামারি আকারে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্লেগ প্রসঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যায় রোমান সাম্রাজ্যে। জানা যায়, রোমান সম্রাট প্রথম জাস্টিয়ানের প্লেগ হয়েছিল। তবে ব্যাপক চিকিৎসায় তিনি বেঁচে যান। প্রথম জাস্টিয়ানের নামানুসারে এই প্লেগের নামকরণ করা হয় ‘জাস্টিয়ান প্লেগ’। এই মহামারিতে আড়াই থেকে পাঁচ কোটি লোক প্রাণ হারায়। প্লেগের দ্বিতীয় মহামারি হয় ১৩৪৭ সালে। এটা ছিল কুখ্যাত বিউবনিক প্লেগের মহামারি এবং এতে প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লোকের প্রাণহানি ঘটে। ইতিহাসে এটি ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত। প্লেগের তৃতীয় মহামারিটা হয় ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে। এ সময় প্লেগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৮৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার লোকের মৃত্যু হয় চীনের ক্যান্টন শহরে। ১৯০০-১৯০৪ সালের দিকে সান ফ্রান্সিসকোর চায়না টাউনে প্লেগের আক্রমণ হয়েছিল। পরে ১৯০৭-১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অকল্যান্ড ও ইস্ট বে এলাকায় এটা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এর প্রাদুর্ভাবটি ঘটেছিল ১৯২৪ সালে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। বন্য ইঁদুরের মধ্যে রোগটি এখনো বিদ্যমান থাকায় তাদের সংস্পর্শে এলে মানুষের এই রোগ ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্লেগ মহামারি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তবে এই ১৯৯৪ সালেও ভারতের ৫টি প্রদেশে প্রায় ৭০০ জন (৫২ জন মৃতসহ) প্লেগে আক্রান্ত হয়।


কলেরা:
১৮০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে মহামারি আকারে কলেরা শুরু হয়। বলার কথা হলো, কলেরা মহামারিটি প্রথম শুরু হয়েছিল আমাদের বাংলা অঞ্চলে। এ অঞ্চলে এ রোগকে ‘ওলা ওঠা’ নামে ডাকা হতো। কলেরায় এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এখনো প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ এই রোগে প্রাণ হারায়। চীন, রাশিয়া ও ভারতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৭ সালে ইয়েমেনে এক সপ্তাহে কলেরায় অন্তত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়।
গুটিবসন্ত:
ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম থেকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু। বিংশ শতাব্দীতে গুটিবসন্তে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগে গুটিবসন্তে মৃত্যুহার ছিল ৩০ শতাংশ, যদিও এর অধিকাংশ উপাদান ছিল প্রাণঘাতী। তবে এ রোগ আয়ত্তে আসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৭৯ সালে গুটিবসন্ত নির্মূলের ঘোষণা দেয়। তবে গুটিবসন্ত নির্মূল হলেও আমাদের লেখকদের কলমে এই মহামারির সময়গুলো ধরা আছে।
যক্ষ্মা:
গবেষণা বলছে, গত দুই শতাব্দীতে ১০০ কোটি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ২০২০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৯ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাবে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণামতে, ১৯১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৫ কোটি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর পরিমাণ ১০ কোটির বেশি হতে পারে।
ইবোলা
ইবোলা ভাইরাস প্রথম বিজ্ঞানীদের নজরে আসে ১৯৭৬ সালে, যখন আফ্রিকার বর্তমান দক্ষিণ সুদান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (তৎকালীন জায়ারে) ইয়ামবুকু গ্রামের মানুষ এতে আক্রান্ত হয়। শেষোক্ত গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ইবোলা নদীর নাম থেকে এর নামকরণ করা হয়। ১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাসের সেই আঘাতে (বর্তমানের) দক্ষিণ সুদানে রোগাক্রান্ত মানুষের অর্ধেকের বেশিই মারা গিয়েছিল। ইয়ামবুকু গ্রামে মৃত্যুর হার ছিল আরও ভয়াবহ। সেখানে আক্রান্ত ১০০ জনের ভেতর ৮৮ জনই মৃত্যুর কাছে হার মেনেছিল।

 সূত্র: উইকিপিডিয়া