Entertainment & Discussions > Multimedia Section

যেসব সিনেমা প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার গল্প নিয়ে

(1/1)

dulal.lib:
বারবার সতর্ক করা হচ্ছে, বাড়িতে থাকুন। বিনা কাজে, খুব জরুরি না হলে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। সেটা কেবল ভাইরাস সংক্রমিত না হওয়ার জন্য। সময়টা ঘরে থাকার, মনকে শক্ত রাখার। এই শক্ত থাকার চেষ্টাকে কিছুটা শাণিত করবে কয়েকটি সিনেমা।

শুরুতেই ধরা যাক ‘ক্যাস্ট অ্যাওয়ে’র কথা। লোকটার তো মরেই যাওয়ার কথা ছিল। বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ভীষণ কঠিন। তবু কিছু অলৌকিক ঘটনা পৃথিবীতেই ঘটে। সে রকমই ঘটেছিল চাক নোল্যান্ড নামের মার্কিন এক কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির প্রতিনিধির জীবনে। নতুন একটা জীবন পেলে সেটাকে আঁকড়ে ধরতে কিনা করে মানুষ। রবিনসন ক্রুসোর মতো একটা নির্জন দ্বীপে দীর্ঘদিন নিঃসঙ্গ কাটাতে হয়েছিল নোল্যান্ডকে।
করোনাভাইরাসের এই দিনগুলোতে আমাদের প্রত্যেকের ‘ক্যাস্ট অ্যাওয়ে’ সিনেমার নোল্যান্ড হয়ে যেতে হবে, যদি বাঁচতে হয়। কপাল ভালো হলে নোল্যান্ডের মতো নিঃসঙ্গ দ্বীপ থেকে আবার ফিরতে পারব সঙ্গী–সাথি পরিবেষ্টিত জীবনে। আজকের সিনেমাগুলো টিকে থাকার গল্প নিয়ে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালের ছবি ‘অ্যালাইভ’, ২০১২ সালের ‘কন–টিকি’ এবং ২০১০ সালের ছবি ‘১২৭ আওয়ার্স’। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার কাহিনি নিয়ে এ সিনেমাগুলো হয়তো আমাদের মনোবল খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। আতঙ্ক থেকে দিতে পারে খানিকটা স্বস্তি। স্বস্তির সবচেয়ে বড় জায়গাটি হচ্ছে, আমাদের থাকতে হচ্ছে না বরফ আচ্ছাদিত কোনো অচেনা জায়গায় বা কোনো জঙ্গলে খাদ্যহীন।

বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে ২০১৫ সালে নির্মিত হয় সিনেমা ‘দ্য মার্টেইন’ এবং ২০০৭ সালে ‘আই অ্যাম লিজেন্ড’। যে সিনেমাগুলোর কথা বলা হলো, এগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর কেউ জঙ্গলে, কেউ মঙ্গলে, কেউ বরফের দেশে, আবার কেউ সাগরের জলে লড়াই করে টিকেছে। এই ছবিগুলো নিঃসন্দেহে মানুষের আত্মবিশ্বাসকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। বাড়ির এফটিপি সার্ভার বা সিনেমার ওয়েব সাইটগুলোতে বিনা মূল্যেই সিনেমাগুলো দেখে নিতে পারবেন যে কেউ। এ ছাড়া রয়েছে নেটফ্লিক্সের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। আর সেসব জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত আছে বৈধ ডাউনলোডার!

Navigation

[0] Message Index

Go to full version