Health Tips > Coronavirus - করোনা ভাইরাস
খালি হাতে টাকা ধরলেই বিপদ!
(1/1)
Saiful Islam 1494:
খালি হাতে টাকা ধরলেই বিপদ!
কালের কণ্ঠ অনলাইন ২২ মার্চ, ২০২০ ১৫:২১ | পড়া যাবে ৩ মিনিটে প্রিন্ট
খালি হাতে টাকা ধরলেই বিপদ!
অ- অ অ+
করোনার এই কঠিন সময়ে সবকিছুই যেন ভাইরাস বহনের মাধ্যম। যেখানেই ছোঁয়া হচ্ছে, মনে আতঙ্ক, সেখানে কভিড-১৯ নেই তো! মানুষের হাতে হাতে ঘুরে বেড়ায় এমন এক বস্তু টাকা। বেশ আগেই সাবধান করা হয়েছিল, এই টাকার মাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়াতে পারে করোনা। প্রতিদিন অগণিত নোট লাখো-কোটি হাতে হাতে ঘুরছে। কিন্তু টাকা না ধরে কি চলা যায়! তবুও সাবধান হচ্ছে মানুষ। বাঁচতে হবে তো। তাই এখন টাকার লেনদেনে বেশ সাবধান হতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে। অনেকে টাকাই ধরতে চাচ্ছেন না!
www.kalerkantho.com/online
ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। বাজার, চায়ের দোকান কিংবা মার্কেটে লোকজন না পারতে যাচ্ছেন না। অনেকেউ গ্লাভস পরে টাকা ধরতে দেখা যাচ্ছে। খালি হাতে টাকা ধরার আগে একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন সচেতনরা। ঢাকার অনেক স্থানেই এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, আমরা অনেকভাবেই সচেতন হচ্ছি। কিন্তু টাকার বিষয়টি মাথায় আসেনি। করোনা ছড়ানোর ক্ষেত্রে টাকা সবচেয়ে ভয়ংকর হতে পারে।
প্রতিবেশী ভারতে হাতে হাতে নোটের লেনদেন কমাতে নানা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া ট্রানস্যাক্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (আইটিএসএল) এর হেড অব ডিজিটাল বিজনেস সুনিল খোসলা এএনআই-কে বলেন, মার্চে অনলাইন লেনদেন ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে লেনদেনের হার মোটামুটি একইরকম ছিল। কিন্তু এ মাসে বেশ বেড়ে গেছে। অর্থাৎ, মানুষ সচেতন হচ্ছে।
যেসব মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে তার মধ্যে যে টাকা-পয়সা সবচেয়ে ভয়ংকর হতে পারে তা বুঝতে পারছে মানুষ। আবার অনেকে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে ভয় পাচ্ছেন। টাকার লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করা খুব কঠিন। তাই অনেকেই একাজ করতে গ্লাভস ব্যাবহারে উৎসাহী হচ্ছেন।
২০১৫ সালে দিল্লির ইন্সটিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি-র বিজ্ঞানীরা তাদের এক গবেষণার ফলে জানান, ভারতের বাজারে চালু নোটগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করে তাতে অন্তত ৭৮ রকম বিপজ্জনক মাইক্রোবের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন- যা থেকে মারাত্মক সব রোগ ছড়াতে পারে।
এমনকি বাংলাদেশের একদল গবেষক গত বছরের অগাস্ট মাসে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশি কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রায় এমন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন, যা সাধারণত মলমূত্রের মধ্যে থাকে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্রী নিশাত তাসনিম প্রায় ছয় মাস ধরে বাজারে প্রচলিত টাকা ও কয়েন নিয়ে গবেষণা করে বলেন, এসব মুদ্রায় তিনি ই-কোলাই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন।
১৫টি উৎস থেকে নেয়া কাগজের টাকার নোট ও কয়েনে এক হাজারের চেয়ে আরো অনেক বেশি মাত্রায় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখেছেন তারা। এক হাজার মাত্রা পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়াকে সহনশীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী টাকা নিয়ে করা ওই গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
এর আগে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, ‘এ পরীক্ষায় আমরা যা পেয়েছি তা জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ। কারণ সাধারণ ব্যাকটেরিয়া তো আছেই, সাথে পাওয়া গেছে মানুষের মল মূত্র থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক’।
ফলে এসব মুদ্রার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
Md. Alamgir Hossan:
Thanks for sharing
Navigation
[0] Message Index
Go to full version