DIU Activities > Store Management

করোনাভাইরাসের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার দাবি মার্কিন গবেষকদের

(1/1)

pmkamal:


সিআর৩০২২ নামের অ্যান্টিবডি যা সার্সের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এবং নতুন করোনাভাইরাসকেও আটকাতে পারে। গবেষকেরা কোভিড-১৯ এর নির্দিষ্ট অঞ্চলের দুর্বলতা থাকার কথা বলছেন। রয়টার্স প্রতীকী ছবিসিআর৩০২২ নামের অ্যান্টিবডি যা সার্সের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এবং নতুন করোনাভাইরাসকেও আটকাতে পারে। গবেষকেরা কোভিড-১৯ এর নির্দিষ্ট অঞ্চলের দুর্বলতা থাকার কথা বলছেন। রয়টার্স প্রতীকী ছবিকরোনাভাইরাসের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন গবেষকেরা। সেটি হলো করোনাভাইরাসের বিশেষ একটি অংশ লক্ষ্য করে কোনো ওষুধ বা অন্য থেরাপি দিয়ে আক্রমণ করা। ওই দুর্বল অংশটিকে তাঁরা বলছেন ‘অ্যাকিলিস হিল’। গ্রিক পুরাণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর অ্যাকিলিসের গোড়ালিতে বিশেষ দুর্বলতা ছিল। ট্রয়ের যুদ্ধে গোড়ালিতে তিরের আঘাতে মারা যান তিনি। অলাভজনক আমেরিকান চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের করোনাভাইরাস–বিষয়ক গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ওই অ্যাকিলিস হিল খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিকিৎসাক্ষেত্রে খুব ভালো খবর হয়ে আসতে পারে। এ থেকে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যাকসিন তৈরির পথ খুলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো ট্রিবিউন তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেওয়া জীববিজ্ঞানী ইয়ান উইলসনের মতে, করোনাভাইরাসের মতো অতি সংক্রামক ভাইরাসের ওপর আক্রমণ করার জন্য নির্দিষ্ট দুর্বল অঞ্চল খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা–সংক্রান্ত নিবন্ধ। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের সময়েই এ তথ্য সামনে এল। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির আজ রোববার সকাল পর্যন্ত দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫৩–তে।

গবেষকেরা বলেন, তাঁদের আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কাজ করেছে এক বছর আগে সার্স সংক্রমণের শিকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি ভাইরাসটির একটি নির্দিষ্ট অংশের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছে এবং তা কোভিড-১৯–এর ক্ষেত্রেও পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম। এ বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে তারা করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গাটি পেয়ে গেছেন।

শুক্রবার স্ক্রিপস রিসার্চের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার বিশেষ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের সঙ্গে তারা মিল খুঁজে পান, যা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করা গেলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ওই দুর্বল জায়গাটি সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি সাধারণত ভাইরাসের ভেতরে লুকিয়ে থাকে এবং ভাইরাসের সেই অংশটি তার গঠন পরিবর্তন করার সময়েই কেবল সামনে আসে।

নিউইয়র্ক পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গা নিয়ে আরও গবেষণা চালানোর কথা বলেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বিষয়টিকে আরও জানার জন্য অ্যান্টিবডি খোঁজ শুরু করেছেন। এ জন্য কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তের খোঁজ করছেন তাঁরা। এ রক্ত থেকে সম্ভাব্য কার্যকর অ্যান্টিবডি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সব মানুষের পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমন একটির সন্ধান করছেন, যা ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং তাকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।

অনলাইন ডেস্ক
০৫ এপ্রিল ২০২০, ১০:২০
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১১:০০

Navigation

[0] Message Index

Go to full version