Every student should read this philosophy

Author Topic: Every student should read this philosophy  (Read 2642 times)

Offline Shabnam Sakia

  • Faculty
  • Full Member
  • *
  • Posts: 200
  • Know thyself
    • View Profile
Every student should read this philosophy
« on: April 22, 2020, 09:57:03 PM »
স্বামী বিবেকানন্দ শুধু বাঙালির জীবনের এক আদর্শ মহামানবই নন, তিনি যুগাবতার। তাঁর দেখানো আদর্শের রাস্তা যুক্তিবোধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় মানুষকে। আধ্যত্মকে এক অন্য পর্যায়ে উন্নতি করে স্বামীজী সকলের জীবনকে আরও বেশি করে আলোর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। নেতিবাচক ভাবনার অন্ধকার দিকটির পর্দা সরিয়ে তিনি বাঙালির জীবনবোধকে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত করেছেন। উদ্বুদ্ধ হয়েছে যুব সমাজ, আর সেজন্যই তার জন্মদিন ১২ জানুয়ারি যুব দিবস বলে খ্যাত। দেখে নেওয়া যাক, স্বামীজির কিছু অমর বাণী।

নেতিবাচক ভাবনা ঘিরে ধরলে যে পথ মানতে হবে... স্বামীজি বলেছেন, শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম। দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ। অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম, অপরকে ঘৃণা করাই পাপ । ফলে সুস্থ জীবনে বাঁচতে এই রাস্তাই একান্ত কাম্য।

ধর্ম সম্পর্কে ধারণা ধর্ম ও কুসংস্কার নিয়ে স্বামীজির একটি অমর বাণী হল, 'দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়। আমাদের নিম্নশ্রেণীর জন্য কর্তব্য এই, কেবল তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া এবং তাহাদের বিনষ্টপ্রায় ব্যক্তিত্ববোধ জাগাইয়া তোলা।'

জীবনধারা কেমন হবে? স্বামীজীর মক অমর বাণী হল, 'অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল মন আামাদের নিয়ত নিম্ন থেকে নিম্নতর স্তরে নিয়ে যাবে এবং চরমে আমাদের বিধ্বস্ত করবে, ধ্বংস করবে। আর সংযত ও সুনিয়ন্ত্রিত মন আমাদের রক্ষা করবে, মুক্তিদান করবে।'

সাফল্যের পথ কেমন হবে? সাফল্য অর্জন করা নিয়ে স্বামীজির বাণী, 'সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রবল অধ্যবসায়, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। অধ্যবসায়শীল সাধক বলেন,' আমি গণ্ডূষে সমুদ্র পান করিব। আমার ইচ্ছামাত্র পর্বত চূর্ণ হইয়া যাইবে।' এইরূপ তেজ, এইরূপ সংকল্প আশ্রয় করিয়া খুব দৃঢ়ভাবে সাধন কর। নিশ্চয়ই লক্ষে উপনীত হইবে।'

হতাশা গ্রাস করলে কী করা উচিত? বিপদে মানুষ পড়তেই পারেন। তবে সেখান থেকে নিজেকে তুলে ধরতে রাস্তা দেখিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলছেন, 'নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো! তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে।...ভীত হয়ো না। বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না। কাল সীমাহীন, অগ্রসর হতে থাকো, বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো, আলোক আসবেই।'

অনুপ্রেরণা দেয় যে বাণী স্বামীজি বলেছেন, 'হে বীরহৃদয় যুবকগণ ,তোমরা বিশ্বাস কর যে ,তোমরা বড় বড় কাজ করবার জন্য জন্মেছ। ওঠ, জাগো, আর ঘুমিও না; সকল অভাব, সকল দুঃখ ঘুচাবার শক্তি তোমাদের ভিতরেই আছে। এ কথা বিশ্বাস করো, তা হলেই ঐ শক্তি জেগে উঠবে।'

কাজ ও জীবনবোধ স্বামীজি বলেছেন, 'তোমরা কাজ করে চল। দেশবাসীর জন্য কিছু কর-তাহলে তারাও তোমাদের সাহায্য করবে, সমগ্র জাতি তোমার পিছনে থাকবে। সাহসী হও, সাহসী হও! মানুষ একবারই মরে। আমার শিষ্যেরা যেন কখনো কোনমতে কাপুরুষ না হয়।'
জগতকে কীভাবে পরিবর্তন করা যাবে ? স্বামীজি বলছেন, 'কেবল শারীরিক সাহায্য দ্বারা জগতের দুঃখ দূর করা যায় না। যতদিন না মানুষের প্রকৃতি পরিবর্তিত হইতেছে, ততদিন এই শারীরিক অভাবগুলি সর্বদাই আসিবে এবং দুঃখ অনুভূত হইবেই হইবে। যতই শারীরিক সাহায্য কর না কেন, কোনমতেই দুঃখ একেবারে দূর হইবে না। জগতের এই দুঃখ-সমস্যার একমাত্র সমাধান মানবজাতিকে শুদ্ধ ও পবিত্র করা। আমরা জগতে যাহা কিছু দুঃখকষ্ট ও অশুভ দেখিতে পাই, সবই অজ্ঞান বা অবিদ্যা হইতে প্রসূত। মানুষকে জ্ঞানালোক দাও, সকল মানুষ পবিত্র আধ্যাত্মিক-বলসম্পন্ন ও শিক্ষিত হউক, কেবল তখনই জগৎ হইতে দুঃখ নিবৃত্ত হইবে, তাহার পূর্বে নয়। দেশে প্রত্যেকটি গৃহকে আমরা দাতব্য আশ্রমে পরিণত করিতে পারি, হাসপাতালে দেশ ছাইয়া ফেলিতে পারি, কিন্তু যতদিন না মানুষের স্বভাব বদলাইতেছে, ততদিন দুঃখ-কষ্ট থাকিবেই থাকিবে।'

জীবনবোধে কীভাবে অনুপ্রাণিত হওয়া যাবে? স্বামীজী এই বিষয়ে একবার বলেন, 'চরিত্র গঠনের জন্য ধীর ও অবিচলিত যত্ন, এবং সত্যোপব্ধির জন্য তীব্র প্রচেষ্টাই কেবল মানব জাতির ভবিষৎ জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করিতে পারে।'

সুখ কীভাবে মিলবে ? স্বামীজি সুখের বিষয়ে এক অসামান্য কথা বলেন। সুখ দর্শন যদিও সহ নয়, তবুও স্বামীজির এই বাণীটি 'ধ্রুবসত্য' হয়ে রয়েছে। তিনি বলেনেছেন, 'আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুখকর মুহুর্ত সেইগুলি, যখন আমরা নিজেদের একেবারে ভুলে যাই।'


Sakia Shabnam Kader
Senior Lecturer (Physics)
Department of General Educational Development