আখের পুষ্টিকথা

Author Topic: আখের পুষ্টিকথা  (Read 1773 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
আখের পুষ্টিকথা
« on: January 03, 2012, 08:51:10 AM »
আখ বা ইক্ষু এই মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর আঞ্চলিক নাম বিভিন্ন। শর্করা আর চিনিতে পূর্ণ আখ। অতিরিক্ত পরিশ্রমীদের জন্য আখ ভীষণ উপকারী। যাঁরা প্রচুর পরিমাণে শক্তির কাজ করেন (যেমন—রিকশাচালক, দিনমজুর, কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, খেলোয়াড়, নৃত্যশিল্পী), তাঁদের জন্য আখের রস বা শরবত যথেষ্ট উপকারী। পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মস্তিষ্কের পরিশ্রম হয় বেশি। এক গ্লাস আখের রস বা শরবত মস্তিষ্কে দ্রুত গ্লুকোজ (চিনি) সরবরাহ করে। মস্তিষ্ক থেকে শক্তি তখন সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও আখ জরুরি পথ্য। আখ শিশুদের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কারণ, এতে রয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ প্রাকৃতিক চিনি, খনিজ লবণ ও ভিটামিন। অতিরিক্ত জ্বর হওয়ার পরে শরীরে প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি হয়। এ ঘাটতি পূরণ করে আখের রস। পর্যাপ্ত আখের রস, প্রচুর বিশ্রাম, আর পানি জন্ডিসকে করে দ্রুত নিরাময়। রাতকানা, চোখ ওঠা, অতিরিক্ত পড়াশোনা করার পরে চোখে জ্বালাপোড়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আখের রস। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আখের রস নিষিদ্ধ। কারণ, এতে রয়েছে পর্যাপ্ত চিনি। বাজারের খোলা জায়গায় আখের রস বিক্রি হয়। এটা পরিহার করাই শ্রেয়।

ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ০৫, ২০১১