মুমিনের যে গুণে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ আসে - মুহাম্মাদ আইয়ুব

Author Topic: মুমিনের যে গুণে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ আসে - মুহাম্মাদ আইয়ুব  (Read 1756 times)

Offline Md. Siddiqul Alam (Reza)

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 253
    • View Profile
আপনার একটি মহৎ গুণের কারণে যখন আল্লাহ এবং তার রাসুলের পক্ষ থেকে একের পর এক সুসংবাদ আসতে থাকবে তখন আপনার অনুভূতি কেমন হবে?


অনেকে বলবেন আল্লাহ ও রাসুলের পক্ষ থেকে সুসংবাদ আসা সম্ভব? এখন কি নবীর যুগ যে, আসমান থেকে ওহি পাঠিয়ে আল্লাহ সুসংবাদ দিবেন!

এমনটি যারা ভাবছেন তারা সম্ভবত ভুলে গেছেন যে, আমাদের মাঝে আছে আল্লাহর কোরআন ও রাসুলের হাদিস।

কোরআন ও হাদিসের মাঝেই আল্লাহ পাক ও তার মাহবুব (সা.) সুসংবাদ দিয়েছেন ওই মানুষের ব্যাপারে যারা প্রতিকূল মুহূর্তে, বৈরী পরিবেশে মোটকথা সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করে।

ধৈর্যকে নিজ জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করে। এরা আল্লাহতায়ালার কাছে শ্রেষ্ঠ মানুষের মর্যাদা পায়। শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়ে মাথায় পরে নানাবিধ সুসংবাদের মুকুট।

আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরষ্কার

আল্লাহতায়ালা ধৈর্যশীলদের জন্য আল কোরআনে সুসংবাদের ডালি সাজিয়েছেন।

১. হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজ দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত নং ১৫৩)

২. এবং নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, ধন, প্রাণ এবং ফল-ফসলের দ্বারা পরিক্ষা করব; এবং ওইসব ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ প্রদান কর। যাদের ওপর কোন বিপদ নিপতিত হলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং অবশ্যই আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। এদের ওপর তাদের রবের পক্ষ হতে শান্তি ও করুনা বর্ষিত হবে এবং এরাই সুপথগামী। (সুরা বাকারা, আয়াত নং ১৫৫-৫৭)

ধৈর্যের আলোচনা আসলেই হযরত আইয়ুব (আ.) এর ঘটনা সামনে চলে আসে। রাজকীয় জীবন ছিল হযরত আইয়ুব (আ.) এর। আর আল্লাহ পাক যখন তার পরীক্ষা নিলেন তখন তার অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে উপনীত হল যে, জীবন উৎসর্গকারিনী এক গুণবতী, ধৈর্যশীলা স্ত্রী বিবি রহিমা ছাড়া আর কেউ তার সঙ্গ দিল না।

লোকালয়ের আশ্রয় হারিয়ে বনে হল তার ঠিকানা। দীর্ঘ আঠারো বছর যাবত পোকা মাকড় তাকে কুরে করে খেতে থাকল। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, লম্বা এ সময়ে এক সেকেন্ডের জন্য অভিযোগ তো দুরের কথা অনুযোগের সুর পর্যন্ত আনার কল্পনা করেননি; অথচ তখনও তিনি নবি এবং জিবরাঈল আলাইহিসসালাম তার কাছে নিয়মত যাতায়াত করেন।

ধৈর্যের এমন কোন পথ নেই যে পথে তিনি হাটেননি! কঠিন এ পরীক্ষায় আল্লাহর রহমতে ধৈর্যের মাধ্যমে তিনি উত্তীর্ণ হলেন।

পবিত্র কোরআনে একাধিকবার আল্লাহ তাকে উল্লেখ করে কেয়ামত পর্যন্ত জীবন্ত রাখলেন। ধৈর্য কেমন ধরতে হয়, ধৈর্যের রূপ কেমন হয় তার সবটাই দেখালেন হযরত আইয়ুব (আ.)।

তাঁর সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, আমি তাকে পেলাম ধৈর্যশীল। কত উত্তম বান্দা সে! সে ছিল আমার অভিমুখী। (সুরা সোয়াদ, আয়াত নং ৪৪)

সুবহানাল্লাহ! ধৈর্যের জন্য কি বিষ্ময়কর স্বীকৃতি!

প্রিয় পাঠক, মুসলমান মাত্রই সবার মন চায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। সুতরাং রমজানুল মুবারকের এই রহমতময় দিনে আমরা ধৈর্যের গুণ অর্জনের সাধনায় নিজেদের নিয়োজিত করি।

http://www.allbanglanewspapersbd.com/jugantor
MD. SIDDIQUL ALAM (REZA)
Senior Assistant Director
(Counseling & Admission)
Employee ID: 710000295
Daffodil International University
Cell: 01713493050, 48111639, 9128705 Ext-555
Email: counselor@daffodilvarsity.edu.bd