আজকে সারাদিনই প্রায় কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে কেটে গেল।
প্রতিদিন সকালে নয়টার মধ্যে কম্পিউটার ওপেন করার চেষ্টা করি। সকালে যে মন নিয়ে বসি - দিন বাড়ার সাথে সাথে তা পরিবর্তন হয়। যদিও রুমের অন্য সব কিছুই একই থাকে।
সকালে কমপিউটারের সামনে বসি অস্থিরতা নিয়ে। সাথে আসতে থাকে মোবাইলে কল। দিন বাড়ার সাথে সাথে ইমেইলের সংখ্যা কমে যায়। মোবাইলও শান্ত হয়। বিকেলের পর মনে হয় আরেকটি দিন শেষ হল।
শুরু হয় ফেসবুক খোলা। পেপারের খবর ছাড়াও বিভিন্ন টিভির সংবাদ দেখি। অনেক খবর ভালো লাগে। আবার অনেক খবরে মনের ভিতর আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন গুলো যদি কেবল মাত্র মনের ভিতর আবদ্ধ না থাকতো তাহলে এক একটা বিপ্লব বা রেভ্যুলেশন হয়ে যেত।
দেখেছি মানুষের মনের অবস্থাও অনেক সময় তাকে ক্লান্ত করে ফেলে। আবার অনেক সময় অনেক শারীরিক পরিশ্রম হলেও মন ভালো থাকলে ততটা ক্লান্ত লাগে না। মনের অবস্থার সাথে দিনের তাপমাত্রারও সম্পর্কও আছে। আছে ঝড় বৃষ্টি সহ আবহাওয়ার সাথে সম্পর্ক।
পাব্লিক বাস ব্যবহার করা আমার অভিজ্ঞতা বলে শীত শেষে মার্চ মাসে যখন গরম পড়া শুরু করে - তখনই পথে ঘাটে ঝগড়া ঝাটি বেশী হয়।
এক জায়গায় পেয়েছিলাম মানুষের শরীরে হরমোনের একটি সাইকেল আছে। বেলা ১১ টা থেকে মানুষ সক্রিয় হওয়া শুরু করে। আবার রাত ১১ টার পরে মানুষের শরীর নিস্ক্রিয় হওয়া শুরু করে। এইবার তার বিশ্রামের সময় শুরু হয়।
শব্দের সাথেও মনের অবস্থার যোগাযোগ আছে। ক্রমাগত বিরক্তিকর শব্দ মানুষকে বিরক্ত ও ক্লান্ত করে তোলে। কতটুকু আলো চারিদিকে তার সাথেও মনের অবস্থার সাথে যোগাযোগ আছে। এক কাপ চা খাওয়ার পর আমাদের মন ফুরফুরে হয়ে উঠে।
আমরা ভাবি আমরা কত বিচক্ষণ। কিন্তু আমাদের মন যে কখন কোন কারণে ভালো হয় বা মন খারাপ হয় - তা কি আমরা জানি?