দাঁতের যত্নে রসুল (সা.)-এর নির্দেশনা

Author Topic: দাঁতের যত্নে রসুল (সা.)-এর নির্দেশনা  (Read 1219 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 474
  • Test
    • View Profile
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। যে যত বেশি পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন সে আল্লাহর তত প্রিয়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পরিচ্ছন্নতার চেয়ে মুখের পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব একটু বেশি। তাই প্রিয় নবী (সা.) মুখের পরিচ্ছন্নতা এবং দাঁতের যত্নের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এ জন্য তিনি বেশি বেশি মেসওয়াক করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, মুখ মানুষের শরীরের প্রধান দরজা। মুখে দুর্গন্ধ থাকলে নিজের এবং অপরের জন্য কষ্টদায়ক হয়। মস্তিষ্ক নোংরা হয়ে যায়। কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে লজ্জাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় দাঁতের অপরিচ্ছন্নতার কারণে। দাঁত অপরিষ্কার থাকলে পরিবেশ পরিস্থিতি অস্বস্তিকর ও  বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। নিয়মিত মেসওয়াক করলে দাঁতও পরিষ্কার থাকে পাশাপাশি সুন্নতের সওয়াবও পাওয়া যায়। মেসওয়াক করার ব্যাপারে এত বেশি হাদিস বর্ণিত হয়েছে যা অন্য কোনো সুন্নতের ব্যাপারে বর্ণিত হয়নি। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি না আমি আমার উম্মতকে কষ্টে ফেলব মনে করতাম, তাহলে তাদের আমি (ফরজ হুকুম হিসেবে) এশার নামাজ দেরিতে পড়ার এবং প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। বুখারি, মুসলিম। আরও ইরশাদ হচ্ছে, মেসওয়াক হলো মুখ পরিষ্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়। দারেমী, নাসায়ী। তাবেয়ী হজরত শুরাইহ্ ইবনে হানী বলেন, আমি একবার হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)কে জিজ্ঞেস করলাম, বলুন, রসুল (সা.) যখন ঘরে প্রবেশ করতেন কোন কাজ প্রথমে করতেন? তিনি বললেন, মেসওয়াক। মুসলিম। হজরত হোযাইফা (রা.) ইরশাদ করেন, রসুল (সা.) যখন তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উঠতেন, প্রথমে মেসওয়াক দ্বারা নিজের মুখ পরিষ্কার করতেন। বুখারি, মুসলিম।  হজরত আয়েশা বলেন, নবী কারীম (সা.) যখনই নিদ্রা যেতেন রাতে বা দিনে, অতঃপর জাগ্রত হতেন তখনই মেসওয়াক করতেন অজু করার আগেই। মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ। হজরত আবু আইয়ূব আনসারী (রা.) বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, চারটি জিনিস নবীদের সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। (১) খারাপ কাজ থেকে লজ্জা করা। অপর বর্ণনায় এসেছে, খতনা করা। (২) সুগন্ধি ব্যবহার করা। (৩) মেসওয়াক করা। (৪) বিবাহ করা। তিরমিজি। মেসওয়াক করে নামাজ আদায় করলে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব। এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে নামাজের জন্য মেসওয়াক করা হয় তার ফজিলত ওই নামাজের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি যার জন্য মেসওয়াক করা হয় না। বায়হাকি। প্রিয় পাঠক! বর্তমানে আমরা যে ব্রাশ করি, এর দ্বারাও মেসওয়াকের আংশিক  সওয়াব পাওয়া যাবে।

লেখক : খতিব, সমিতি বাজার মসজিদ, নাখালপাড়া, ঢাকা।

   
   
Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34