দেশে যানবাহন ৪৫ লাখ। চালক পৌনে ২৭ লাখ।

Author Topic: দেশে যানবাহন ৪৫ লাখ। চালক পৌনে ২৭ লাখ।  (Read 1343 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2667
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
দেশে যানবাহন ৪৫ লাখ। চালক পৌনে ২৭ লাখ।
নিয়ম হচ্ছে, একজন চালক একটানা সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা গাড়ি চালাবেন। এটি মানা হয় না।
গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স দেওয়া হয় গড়ে ৩ মিনিটের পরীক্ষায়।

দেশে সড়কপথের দৈর্ঘ্য ও নিবন্ধিত গাড়ি—দুটোই গত তিন দশকে কয়েক গুণ বেড়েছে। ব্যতিক্রম শুধু চালকের ক্ষেত্রে। গাড়ির সংখ্যা অনুপাতে দেশে বৈধ চালকের সংখ্যা এই সময়ে উল্টো কমেছে। অভিনব এ ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) প্রতিষ্ঠার পর থেকে।

১৯৮৭ সালে বিআরটিএর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর সময় দেশে যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার। তখন চালক ছিলেন ১ লাখ ৯০ হাজার। অর্থাৎ গাড়ির চেয়ে চালকের সংখ্যা ১৫ হাজার বেশি ছিল। ধীরে ধীরে গাড়ি ও চালকের ব্যবধান বাড়তে থাকে। বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৪৫ লাখের বেশি। কিন্তু চালকের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ ৭৫ হাজার। অর্থাৎ যানবাহনের তুলনায় চালকের সংখ্যা কম প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ।

চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও অতিরিক্ত গতির কারণে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে

পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, কর্মঘণ্টা মানলে একটি ট্রাক বা বাসে তিনজন চালক দরকার। সংকটের কারণে গাড়ি চালাচ্ছেন অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকেরা। আবার চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এ কারণেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়েছে।

শ্রম আইন অনুযায়ী, একজন চালক একটানা সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা, সারা দিনে আট ঘণ্টা গাড়ি চালাতে পারবেন। চালকদের কর্মঘণ্টা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পরিবহনমালিকদের। সেটি হচ্ছে না। ২০১৮ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চালকদের কর্মঘণ্টা মানার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং বিশ্রামাগার নির্মাণের নির্দেশনা দেন। সেটিও এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

দূরপাল্লার পথে একজন চালককে টানা ১০ ঘণ্টার বেশি সময় গাড়ি চালাতে হয়। এ রকম চালকদের একজন আবদুল খালেক। তিনি ঢাকা-ঠাকুরগাঁও পথে একটি পরিবহন কোম্পানির বাস চালান। তিনি বলেন, বাস নিয়ে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও পৌঁছাতে সময় লাগে কমবেশি ১০ ঘণ্টা। মাঝে খাওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জে ২০ মিনিটের বিরতি থাকে। পুরো পথে বিশ্রাম বলতে এটুকুই। ঠাকুরগাঁও নামার পর আবার যাত্রী তুলে ঢাকার পথ ধরতে হয় তাঁকে।

আবদুল খালেককে তাঁর বাস কোম্পানি কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি। ফলে মাস শেষে নির্ধারিত বেতন নেই। আসা-যাওয়ায় ১ হাজার ৪০০ টাকা পান। নেই কোনো বিমাসুবিধা। বছরখানেক আগে খালেকের বাস মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ে। জীবন বাঁচাতে লাফ দিয়ে পা ভাঙে তাঁর। এরপর তিন মাস বাসায় ছিলেন। তখন কাজ না করায় কোনো টাকাও পাননি তিনি। ওই সময়ে মালিক বা শ্রমিক সংগঠন থেকেও কোনো সহায়তা পাননি। এবার করোনার সংক্রমণের সময় মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাস পর্যন্ত দুই মাস বাস চলাচল বন্ধ থাকার সময় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাঁকে।

দূরপাল্লার বেশির ভাগ চালক মাসে ১৫ দিন কাজ করতে পারেন বলে জানান আবদুল খালেক। তিনি বলেন, টানা প্রায় ২০-২২ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে এসে এক দিন ঘুমাতে হয়। অথচ মাঝখানে বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকলে প্রতিদিনই বাস চালানোর সুযোগ ছিল।

এটা তো গেল দূরপাল্লার পথের কথা। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের গণপরিবহনের চালকদের কর্মঘণ্টা আরও ভয়ংকর। ভোরে বাসে ওঠার পর কাজ শেষ হয় গভীর রাতে। মালিকের কাছ থেকে দৈনিক জমার ভিত্তিতে বাস চুক্তিতে নেন চালক। জমা পরিশোধের পর বাড়তি যা থাকে, সেটাই চালক ও শ্রমিকেরা ভাগ করে নেন। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানচালকদের টানা দু-তিন দিনও রাস্তায় থাকতে হয়। তাঁরাও পরিবহনমালিকের সঙ্গে যাত্রার (ট্রিপ) ভিত্তিতে চুক্তিতে চলেন।

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও বিআরটিএ সূত্র বলছে, ২০১০ সালের পর গত এক দশকে দেশে যানবাহনের সংখ্যা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। ২০১০ সালে দেশে যানবাহন ছিল ১৫ লাখের কাছাকাছি। তখন চালকের লাইসেন্স ছিল ১৪ লাখের মতো। গত ১০ বছরে যে হারে যানবাহন বেড়েছে, সেই হারে চালক তৈরি হয়নি। এমনকি বিপুলসংখ্যায় লাইসেন্স দেওয়ার মতো অবকাঠামোও বিআরটিএর নেই। লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি জটিল, দালালদের দৌরাত্ম্য এবং বিআরটিএর ঘুষ-দুর্নীতিও এ ক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী বলে মনে করেন পরিবহনমালিকেরা। এ ছাড়া ২০১০ সালের আগে পেশাদার চালকের লাইসেন্স দেওয়া হতো সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের তালিকা ধরে। অবশ্য এটি এখন বন্ধ আছে।

পরিবহন খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরামহীনভাবে গাড়ি চালানোর ফল হচ্ছে দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ সালের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও গতির কারণে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রথম আলোকে বলেন, বাসভর্তি মানুষের জীবন একজন চালকের হাতে। কিন্তু তাঁর প্রশিক্ষণ, সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। পরিবহনমালিকেরা আইনের কিছুই মানেন না। আর এগুলো দেখার দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতাই নেই।

বিআরটিএ ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরিবহনচালক, মালিক এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ফি ও করবাবদ ৩ হাজার ৭ কোটি টাকা আদায় করেছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী চালক সৃষ্টি, নিরাপদ সড়কের জন্য ত্রুটিমুক্ত যানবাহন এবং সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। বিআরটিএর অনিয়ম, দুর্বলতা এবং আইন প্রয়োগে ঘাটতির প্রভাব পড়ছে সড়কে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ হাজার ১৭০ জন।

এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করতে যাচ্ছে সরকার। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের শপথ, সড়ক করব নিরাপদ’।

বিআরটিএর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
দেশের ৬৪টি জেলাতেই বিআরটিএর কার্যক্রম আছে। কিন্তু তাদের নিজস্ব অফিস আছে মাত্র ছয়টি, এর তিনটিই ঢাকায়। বাকি তিনটি অফিস চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায়। দেশের অন্য জেলায় বিআরটিএর কাজ চলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। বিআরটিএর সেবা পেতে ভোগান্তি এবং সংস্থার কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং দুর্নীতির অভিযোগও নতুন নয়।

এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ফিটনেস সনদ দেওয়াসহ প্রায় সব কাজ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে দালালদের দৌরাত্ম্য থাকবে না, ঘুষ-দুর্নীতিও বন্ধ হবে। তিনি বলেন, চালক বাড়াতে সরকার তিন লাখ নতুন চালক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এর কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বিআরটিএ লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করেছে।

বিপুলসংখ্যক যান এবং চালকের সেবা দেওয়ার মতো সক্ষমতা বিআরটিএর আছে কি না জানতে চাইলে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিএর লোকবল কম আছে। জনবল ২ হাজার ২৮২ জনে উন্নীত করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ের অধীন দিনে গড়ে সাড়ে ৪০০ চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফিটনেস সনদ দেওয়া হয় গড়ে ৬০০ যানবাহনের। এটিসহ লাইসেন্স প্রদানের পরীক্ষার দায়িত্বে এই কার্যালয়ে আছেন আটজন মোটরযান পরিদর্শক। একজন পরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইন অনুসারে একটি যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেওয়ার আগে ৬০ ধরনের কারিগরি ও বাহ্যিক দিক পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু খাওয়া-বিরতির সময় বাদ দিলে একজন মোটরযান পরিদর্শক একটি গাড়ির ফিটনেস সনদ দিতে গড়ে সাড়ে তিন মিনিট সময় পান। একইভাবে একজন লাইসেন্স প্রার্থীর পরীক্ষার জন্য তিন মিনিটের বেশি সময় দেওয়া যায় না। এরই মধ্যে লিখিত, মৌখিক ও মাঠে যান চালিয়ে দেখাতে হয়।

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৬। এর মধ্যে সাড়ে ২৫ হাজার বাস-মিনিবাস। আর ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার ১৯ শতাংশের কারণ বাস। আর ট্রাকের কারণে ২৯ শতাংশ দুর্ঘটনা।

বর্তমানে দেশে বিআরটিএর কর্মী ৭০০-এর কিছু বেশি। এর মধ্যে মোটরযান পরিদর্শক আছেন ১০৯ জন। গত বছরের নভেম্বরে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে। এর আগে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে একটি কমিটি সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ১১১ দফা সুপারিশ দিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নেরও মূল দায়িত্ব বিআরটিএর।

এই বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ফিটনেসবিহীন যান এবং লাইসেন্সবিহীন চালক রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, যা সড়কে শৃঙ্খলা আনা এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার পথে বড় বাধা।

নতুন আইন বাস্তবায়ন বহুদূর
২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামার পর সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন করে। আইনটি কার্যকর হয়েছে গত বছরের ১ নভেম্বর। কিন্তু আইনটির বেশির ভাগ ধারার প্রয়োগ এখনো শুরু হয়নি।

নতুন সড়ক আইনে চালকদের জন্য ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ করা হয়েছে। অপরাধ করলে সেখান থেকে পয়েন্ট কাটা গিয়ে শূন্য হলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়, ভাড়ার তালিকা না থাকা, অটোরিকশার মিটার কারসাজি, সংকেত না মেনে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ ইত্যাদি অপরাধে এক পয়েন্ট করে কাটার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিআরটিএ এই ধারা এখনো কার্যকর করতে পারেনি। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, আইনের বিধিমালা না হওয়া।

এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, নতুন সড়ক আইনের বিধিমালার খসড়ার ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হচ্ছে। বিধি হয়ে গেলেই আইন প্রয়োগের জটিলতা মিটে যাবে।

নতুন আইনের আরেকটি ধারায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য পরিবহনমালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই তহবিলের মূল জোগানদাতা হবেন পরিবহনমালিকেরা। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তহবিল গঠন ও পরিচালনার জন্য এখনো ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়নি। আর ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দরকার বিধিমালা, সেটিও হয়নি। এ অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় এখন কেউ হতাহত কিংবা কারও সম্পদহানি হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না।

সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চালক ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হলে অথবা যানবাহন ত্রুটিপূর্ণ থাকলে দুর্ঘটনা বাড়বে—এটা বলার জন্য গবেষণার দরকার নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে বা প্রাণহানি কমবে—এমন আশা করা মোটেও ঠিক হবে না।


Source: https://www.prothomalo.com/bangladesh/capital/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE