বাতায়নাসন
কীভাবে করবেন?
বাম পা সামনে এগিয়ে ডান পা পেছনে রেখে ডান হাঁটু গেড়ে বসুন।
ডান পা মুড়ে বাম ঊরুমূলের ওপরে এমনভাবে রাখুন, যাতে পায়ের পাতা ঊরুর ওপরে এবং গোড়ালি ঊরুসন্ধিতে লেগে থাকে।
ডান পায়ের হাঁটু মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে স্থির করে রাখুন।
দুটি হাত সামনের দিকে নমস্কারে মুদ্রায় থাকবে।
ডান পায়ে করার পর বাম পায়েও ঠিক একইভাবে করুন।
প্রথম অবস্থায় ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হলে দেয়ালের সহায়তা নিন।
সময়কাল
প্রতি পায়ে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
৩-৫ বার করুন।
প্রথম দিকে হাঁটুর নিচে নরম গদি দিয়ে নিতে পারেন।
উপকারিতা
হাঁটুব্যথাসহ হাঁটুর বিভিন্ন রোগে আরাম পাওয়া যায়।
শরীরে হালকাভাব আসে।
হার্নিয়ার রোগীদের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী
গোমুখাসন
কীভাবে করবেন?
দণ্ডাসনে বসে বাঁ পা মুড়ে গোড়ালি ডান নিতম্বের কাছে রাখুন বা গোড়ালির ওপর বসতেও পারেন।
ডান পা বাঁ পায়ের ওপরে এমনভাবে রাখুন, যাতে দুটি হাঁটু একই সরলরেখা বরাবর থাকে।
শ্বাস নিতে নিতে ডান হাত ওপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠের দিকে মুড়ুন। বাঁ হাত পিঠের পেছনের দিক থেকে এনে ডান হাতকে ধরুন। ঘাড় ও কোমর যেন সোজা থাকে।
একদিকে ১ মিনিট করার পর অন্য দিকে একইভাবে করুন। যে দিকের হাঁটু ওপরের দিকে থাকবে, সেই দিকের হাতও ওপরে থাকবে।
উপকারিতা
হাঁটুর যন্ত্রণায় উপকারী।
সন্ধি ও গেঁটেবাত দূর করে।
বহুমূত্র এবং স্ত্রীরোগে এই আসন উপকারী।
মকরাসন–২
কীভাবে করবেন?
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।
দুই হাতের কনুই একসঙ্গে মিলিয়ে স্ট্যান্ডের মতো বানিয়ে হাতের পাতা দুটি থুতনির নিচে লাগান। বুক ওপরে তুলে ধরুন, কনুই এবং পা দুটি একসঙ্গে মিলে থাকবে।
এবার শ্বাস টেনে ডান পা এমনভাবে ভাঁজ করুন, যেন গোড়ালি নিতম্ব স্পর্শ করে। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যান। এভাবে একবার ডান পা, অন্যবার বাঁ পা দিয়ে করুন। দুই পায়ে ১৫-১৬ বার করুন।
পা দুটি জোড় করে একইভাবে আরও ১৫ বার করুন। শ্বাস–প্রশ্বাসের নিয়মে যেন ভুল না হয়।
উপকারিতা
হাঁটুর যন্ত্রণা উপশম করে।
স্লিপ ডিস্ক, সাইয়াটিকা নার্ভের যন্ত্রণায় লাঘবে অত্যন্ত ভালো।
ফুসফুসের রোগ ও হাঁপানির সমস্যাও এই আসন অনেক ভালো কাজ করে।
Ref:
https://www.prothomalo.com/feature/adhuna/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8