বাড়তি ওজন অনেক রকম বিপদ ডেকে আনে। একাধিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাড়তি ওজন কমানো অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই মনে করেন, ওজন কমাতে কম খেলেই চলবে। তবে চিকিৎসকরা বলেন, এমন করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীর সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে মেদ আরও বাড়তে পারে। তাই খাবারে কাটছাঁট না করে, খাবারের উপকরণে কাটছাঁট করলে ভালো থাকা যায়। পাশাপাশি ওজন কমানোর সব চেয়ে সহজ উপায় হলো ওয়ার্ক আউট করা।
কাজের ব্যস্ততার জন্য যারা জিমে গিয়ে ওয়র্ক-আউট করতে পারেন না, তারা হাঁটতে পারেন। হাটলেও খুব সহজেই ওজন কমতে পারে। তবে, এর জন্য কিছু সঠিক নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১. আরামদায়ক জামা পরা:
যে জামা পরে হাঁটলে অস্বস্তি হবে, তা না পরে যা আরাম দেবে তেমন কিছু পরা ভালো। এতে শারীরিক অস্বস্তি হবে না। একবার অস্বস্তি হলে পরের বার হাঁটতে যেতে কিন্তু ইচ্ছে না-ও করতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। আর অবশ্যই কোনও আরামদায়ক ট্র্যাকপ্যান্ট পরলে ভালো।
২. হালকা স্নিকার্স পরলে ভালো:
শরীরের পুরো ভার যেহেতু পায়ের উপরে পড়ে, তাই জুতো বাছার দিকে একটু নজর দিকে হবে। যে কোনও জুতো পরলে পায়ে সমস্যা হতে পারে। তাই হালকা কোনও স্নিকার্স পরা ভালো। তাতে পায়ে কোনও রকম ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
৩. পানির বোতল সাথে রাখা:
হাঁটার সময়ে অবশ্যই একটা পানির বোতল সাথে রাখা ভালো। তেষ্টা পেলে হাঁটার মাঝে অল্প অল্প পানি খেলে সমস্যা হয় না। উলটে তা শরীর হাইড্রেটেড রাখে। আর বাড়তি ওজন কমাতে জলের গুরুত্ব রয়েছে।
৪. ধীরে ধীরে হাঁটার গতি বাড়াতে হবে:
হাঁটা শুরু করেই প্রথমে অনেকে ভাবেন যে তাড়াতাড়ি হাঁটলে ভালো হয়। তাতে পায়ে সমস্যা হতে পারে। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে শুরু থেকেই। তাই হাঁটার স্পিড বা গতি ধীরে ধীরে বাড়ালে ভালো। প্রথমের দিকে একটু কম রেখে, যত দিন যাবে তত গতি বাড়াতে হবে।
৫. হাঁটার ভঙ্গিতে নজর দেওয়া জরুরি:
শিরদাঁড়া সোজা রেখে হাঁটতে হবে। কাঁধ ও হাতও সোজা রাখতে হবে, তবে রিল্যাক্স করে।
Source: kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/27/979957