একজন পথশিশুর কেইস স্টাডি-১

Author Topic: একজন পথশিশুর কেইস স্টাডি-১  (Read 935 times)

Offline Farhana Haque

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 57
  • You will never have this day again! Make it count!
    • View Profile
কেইস স্টাডি
নামঃ রবিন
বয়সঃ ১০/১২
স্থানঃ সংসদ ভবন এলাকা
লেখাঃ ফারহানা হক।




ছেলেটির নাম রবিন। বয়স হবে এইতো ১০ কি ১২। সংসদ ভনের সামনের এরিয়াতে ফুল বিক্রি করে সংসার চালায়। আরো দুটি ছোট বোন আছে যারা জমজ। বাবা মা কেউ নেই। নেই বলতে বাবা মারা গেছে বছর দুই হলো। মায়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে তাদের খোজ রাখে না। লেখাপড়া করে অনেক বড় হবে। ওর ভাষায়, "একদিন বিমান চালামু, বড় হয়ে" নিয়তির বিমাতাসুলভ আচরনের জন্য তাকে ফুল বিক্রেতা হতে হলো। ঢাকায় এসেছে সেই চার বছর বয়সে। সংসদ ভবনের পাশের রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে তাকে চোখে পরে একদিন। ডাক দিলাম হাত ইশারায় কাছে এলো। জিজ্ঞাস করলাম, নাম কি? বলল। এক এক করে জানতে চাইলাম তার জীবন ইতিহাস। কেনই বা সে এই বয়সে লেখাপড়া না করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে।

জানলাম তার জীবনের করুন ইতিহাস। বাবা মারা যাবার পর তাদের মা তাদের ভাই বোনেদের ফেলে রেখে চলে যায়। বিয়ে করে অন্য এক লোককে। এর পর আর কখনো দেখতে আসেনি। নানীর সাথে ঢাকায় আসে। নানী ভিক্ষা করতো, তখন থেকেই সে ও সংসদ ভবন এর সামনে ফুল বিক্রির কাজ নেয়। বয়স তখন মাত্র ৪। পথচারীরা দেখে মায়া করে কখনো ফুল কিনে নেয় কখনো নেয়না। কখনো কেউ বা ধমকায় আবার কেউ ধাক্কা মেরে ফেলেও দেয়। তবে ভালো মানুষ এখনো আছে। যারা সব ফুল কিনে নিয়ে পুরো টাকাটা হাতে দেয়। আবার ফুল গুলোও তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।
ফুল বিক্রির টাকায় কোন দিন দুই বেলার আহার জোটে। কখনো আবার অভুক্ত থাকতে হয়। কষ্ট করে দিন পার হয়।

এলাকায় এভাবেই সমবয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে রবিনের সখ্যতা গড়ে উঠে, একটা দল হয়ে যায়। তারা সারাদিন ফুল বিক্রি করে দিন শেষে সবাই সন্ধাবেলায় সংসদ ভবনের সামনের বকুল তলায় আড্ডা জমায়। কার কত টাকার বিক্রি হলো, সারাদিন কে কি খেল তা নিয়ে আলোচনা হয়। এভাবেই তাদের জীবন চলতে থাকে। আস্তে আস্তে রবিন বড় হয়। নানী এক্সিডেন্ট এ মারা যায় একদিন। রবিনের মাথার উপর থেকে ছাদ সরে গেলো। জায়গা হলো তার রাস্তায়। জীবনের চেয়ে যাপন যেন যারপরনাই কঠিন  আর আরো অসহায় হয়ে গেলো। এমন একটি দিনেই তার সাথে পরিচয় আমাদের ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সষায়ল সায়েন্সেস ভলান্টিয়ার টিম এর দুজন ভলান্টিয়ার আসিফ এবং আব্দুল্লাহর সাথে।  তারা তাকে জিজ্ঞাসা করে, আচ্ছা রবিন যদি তোমাকে লেখাপড়া করার সমস্ত ধরনের সুযোগ আমরা দেই তবে কি তুমি লেখাপড়া করবে? রবিনের উত্তর ঃ
"স্যার অবশ্যই করমু কিন্তু কে দেবে আমারে সেই সুযোগ ? এই শহরে এক বেলা খাইতেই পারি না। মাথা গুজার জায়গা নাই। রাইতে ঘুমাইলে পুলিশ আইসা ডাইকা তুলে দেয়। কখনো কখনো মাইরও দেয় স্যার"। টিম মেম্বাররা তাকে আশ্বস্ত করে , রবিন সেই সুযোগ তুমি পাবে। তুমি খেলাধূলা করার ও সুযোগ পাবে। তমাকে আমরা রাখলাম আমাদের টার্গেট গ্রুপ টিতে। কি হবে তুমি বড় হয়ে??? রবিনের স্বভাবসুলভ সরল উত্তরঃ "স্যার বিমান চালামু, পাইলট হমু"।

ঢাকা শহরের এই আনাচে কানাচে হাজারো রবিনরা আছে। জর্জরিত স্বপ্ন নিয়ে যারা পথের ধুলোয় লুটিয়ে থাকে। তাদের দিকে একটু যদি সহানুভূতির চোখে তাকাই, শুধু সভা সমিতিতে বড় বড় কথা না বলে যদি সত্যিকারর্থেই তাদের সাস্টেইনেবল ডেভোলাপমেন্টের জন্য কিছু করি, যদি আমরা একটি শিশুর ও ভবিষ্যৎ গড়ায় সামান্যতম কন্ট্রিবিউট ও করি তাহলেই আমাদের দেশ উন্নত হবে। কারন যে শিশুরা আগামি দিনের ভবিষ্যৎ তারা যদি ধুলোয় লুটিয়ে থাকে আমাদের উন্নয়ন ব্যহত হবেই।

আজকের কোমলমতি শিশু, আগামীর স্বপ্ন সম্ভাবনাময় আলোকিত স্বপ্নীল ভবিষ্যৎ। সূর্যালোকের আলো হয়ে রাঙিয়ে দিবে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ। যে আলোর পরশে জেগে ওঠবে শিশুর ঘুমন্ত মস্তিষ্ক চিন্তার জগৎ। আজকে যদি তারা সঠিক অধিকার পায় ও জীবনের প্রতি জীবনের সম্মান, ভালোবাসা, মমত্ববোধ, মানবতা জাগ্রত হয় তাহলে তাদের আলোয় আলোকিত হবে সকল দেশের রাণী আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতে আরো এগিয়ে যাবেই। ধূসর পৃথিবীর আকাশে জমাট কালো মেঘমালা একসময় বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে। সেই বৃষ্টি কখনো প্রশান্তির কখনো অশান্তির। আজকের শিশুরা শৈশবে মেঘমালার মতো জমাট বাঁধে। আমরা চাই শিশুর আকাশে জমাট বাধা কালো মেঘমালা যেন প্রশান্তির বৃষ্টি হয়ে ঝরে। প্রশান্তির বৃষ্টিতে মিশে একাকার হয়ে যাবে তাদের কষ্টগ্লানির বিষাদময় গল্প। নগরীর বিভিন্ন জায়গা একদল শিশু কিশোরদের দেখতে পাওয়া যায় রাস্তায় থাকছে, খাচ্ছে এবং ঘুমাচ্ছে। জীবনের আনন্দ উল্লাস, সুখ দু:খের গল্প ,জীবনের শিক্ষা, হারানোর গল্প, প্রাপ্তির হাসিখুশি, অপ্রাপ্তির লম্বা হিসেব সবই খুঁজে নেয় পথের ধারে। বাবা মায়ের আর্থিক দূরাবস্থা ,কারো বাবা নেই, কারো মা নেই, অথবা উভয়েই ইহলীলা সাঙ্গ করে পাড়ি জমিয়েছেন ঐ পাড়ে আর এপাড়ে রেখে গিয়েছেন অসহায় শিশু সন্তান। যাদের অনেকেই নিরুপায় হয়ে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় ক্ষুধার যন্ত্রনায় পথের ধারে বসে থাকে কিছু পাওয়ার আশায়। মানুষও সহানুভূতিশীল হয়ে সাহায্য করে যে যার মত করে কিন্তু এই সাহায্য সাময়িক কিন্তু কী আছে তাদের ভবিষ্যতে? এর সঠিক উত্তর কে জানে? আমি, আপনি না আমাদের বাংলাদেশ। আমি, আপনি, সবাই মিলেই আমাদের লাল সবুজের ভালোবাসার প্রিয় আমাদের সোনার বাংলাদেশ। আমরা এক মহান জাতি। ৪৭’র দেশভাগ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী এক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রচিত হয় রক্তে লেখা লাল সবুজের অপরূপ স্বগীর্য় সৌন্দর্যময় বাংলাদেশ। মুক্তি সংগ্রামের বেদনাবিধুর ইতিহাস আর ত্যাগের মহিমায় পূর্ণতা পেয়েছে আমাদের স্বদেশ। সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে পারতাম হয়ত পথশিশু সমস্যা কিছুটা হলেও  হ্রাস পেত। আমাদের বৃত্ত ভাঙার সুরতাল বাজানোর সময় এসেছে। সব প্রথা, সব সংকীর্ণ বৃত্ত ভেঙে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে পথশিশুর কল্যাণে।

 আমরা অনেক সময়ই শিশুদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী হই কিন্তু জীবনের বিভিন্ন স্তরে পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পিছু থমকে যেতে হয় আমাদের। আমাদের থমকে যাওয়াতেই ইতি ঘটে যত মহৎ উদ্যোগ। এইতো শীতের রাতে দেখলাম একটি ছোট্ট ছেলে তার চেয়ে বয়সে কম আরেকটি ছোট্ট ছেলেকে কোলে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে রাস্তায়। মানুষ চলাচল করছে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, গাড়ির বিরক্তিকর আওয়াজ, শীতের প্রকোপ সবকিছুর পরও দুটি শিশু ঘুমিয়ে আছে পথের ধারে। বড় শিশুটি আগলে রেখেছে ছোট শিশুটিকে পরম মমতায় উঞ্চতায় চাদরে, ¯েœহপূর্ণ আদরে। শত ব্যস্ততা, আনন্দ উল্লাস, জীবনের জয়যাত্রা, সাফল্যের গল্প কিংবা ব্যর্থতার চিহ্ন সকল কিছু এদের পাশ দিয়ে চলে যায় কিন্তু পথের ধারেই কাটে ঐ দুটি শিশুর দিনরাত্রির অসমাপ্ত গল্প। ঐ দুটি শিশুর মতো সকল অসহায় শিশুদের পথেই রাত কাটে, দিন কাটে। আমরাও থমকে যাই বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক যাতাকলে নিষ্পেষিত হয়ে নিরবে কিংবা জীবনের হৈ চৈ আনন্দ উল্লাসে ভুলে যাই ওদের কথা। যার হারায় সেই বুঝে হারানোর বেদনা। এইসব পথশিশুরা বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, ফুটপাতে অহেতুক ঘোরাঘুরি, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে থাকে।


এরাই পথশিশু, পথফুল। পথেই ফুটে, পথেই থাকে, পথেই ঝরে অবহেলায়, অযত্নে অনাদরে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ২০১১ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ আঝে যেসব শিশু রাস্তায় দিনাতিপাত করে, রাস্তায় কাজ করে, রাস্তায় ঘুমায়। যাদের নির্দিষ্ট কোন আবাসস্থল নেই, প্রতিদিনের জীবনযাপন রাস্তাকে কেন্দ্র করে এবং আঠারো বছরের নিচে তারাই পথশিশু। জাতিসংঘের তথ্য বলে- বিশ্বে পথশিশু রয়েছে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন। ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর শিশু অধিকার সুরক্ষার জন্য সনদ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। সনদে উল্লেখ করা হয় শিশুদের থাকবে জন্মসূত্রে নাম জাতীয়তার অধিকার, বড়দের থেকে ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার, সুস্বাস্থ্য ও  পুষ্টি লাভের অধিকার। দুর্যোগের সময় সুরক্ষার অধিকার, খেলাধুলা, বিনোদন অধিকার, শারিরিক, মানসিক, নৈতিক অধিকার, কষ্টকর শ্রমে যুক্ত না করার অধিকার, বিশ্ব ভ্রাতৃত্বে বেড়ে ওঠার অধিকার এবং জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মৌলিক অধিকার । ২.৫ মিলিয়ন শিশু স্যানিটেশন ব্যবস্থা বঞ্চিত। ২৩০ মিলিয়ন শিশু আছে যাদের নেই অধিকার প্রাপ্তির সুযোগ। ৩৫ মিলিয়ন শিশু জীবনঘাতক এইচআইভি এইডস ভাইরাস নিয়ে বেঁচে আছে এই পৃথিবীতে। এরা এখনো জীবনের স্বর্ণালী সময় পেরোয়নি।

শিশুদের কল্যাণে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন জাতীয় শিশু আইন (চিলড্রেন এ্যাক্ট) জারি করেছিলেন। যার মাধ্যমে শিশুদের নাম জাতীয়তার অধিকারের স্বীকৃতি.সব ধরণের অবহেলা, শোষণ, নিপীড়ন, নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন, মন্দ কাজে লাগানো ইত্যাদি থেকে নিরাপত্তার অধিকার  নিশ্চিত করা হয় কিন্তু এখনো প্রকৃত শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি আমাদের সমাজে, আমাদের দেশে, আমাদের বিশ্বে। জাতিসংঘের শিশু সনদ ও শিশু আইন-২০১৩ অনুসারে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হয়। বিভিন্ন তথ্য মতে আমাদের দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪৫% শিশু। সবুজ শ্যামল এই অপরূপ দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ। বেলা যায় বেড়ে। ক্রমেই বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা, পথ শিশুর সংখ্যা। কেউ লেগুনা কিংবা বাসের হেল্পার, কেউ চা অথবা পিঠাপুলির দোকানে ছোট্ট বিক্রেতা, পথের ধারে জীবনের রঙমাখা স্বপ্নময় দিনরাত্রির গল্প বলা কোন অসহায় পথ শিশু। পথ শিশুর নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, নেই চিকিৎসা  কিংবা নেই জীবন সাজানোর মাধ্যম শিক্ষার সুযোগ। জীবন যেখানে রাস্তার ধূলায় মলিন হয়, সেখানে আবার বৃহৎ প্রত্যাশা শুধু হতাশা ছাড়া আর কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না। পথের ধারে জীবন কেঁটে যায় অবহেলায় অযত্নে অনাদরে। জীবনের যত স্বপ্ন স্বাদ  হয়ে ওঠে দুচোখের বিন্দু বিন্দু নোনাজল। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও মোস্ট এ্যাট রিস্ক এ্যাডেলেসেন্ট (এমএআরএ) নামের প্রতিষ্ঠান দুটি ২০১২ সালে একটি জরিপ করে। সেই জরিপে  পথশিশুর সংখ্যা উল্লেখ আছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার পথ শিশু। বেসরকারীভাবে পরিচালিত বিভিন্ন জরিপে উল্লেখ পথ শিশুর সংখ্যা দশ লাখের চেয়েও বেশি। শিক্ষা,খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান জীবনের সকল অধিকার থেকে যারা বঞ্চিত তাদের রেখে উন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। যে বয়স ছিল মা-বাবার পরিবারের সদস্যের ¯েœহ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠার,স্কুলে পড়তে যাওয়ার, নতুন বইয়ের গন্ধের স্বাদ পাওয়ার, সহপাঠীর সাথে আনন্দ উল্লাস করার, বিদ্যালয়ে নতুন নতুন পড়া জানার বুঝার, খাতাকলমে লিখতে পারার নিজের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা অথবা পাঠ্য বিষয়ের কোনকিছু অথচ সেই সব শিশুরা জীবন অতিবাহিত করে পথের ধারে অবহেলায় অনাদরে। জীবনযুদ্ধে লড়ে যায় নিরবে নি:শব্দে। সেই নিরবতায়, সেই নি:শব্দতায়ও কানে আসে হারানোর গল্প,হারানোর সুর।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন হচ্ছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে  সাফল্যের  উচ্চশিখরে পৌঁছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে সময় ¯্রােতে। একটি ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে আছি আমরা তবে সবার সমবেত চেষ্ঠা ও সরকারের কার্যশীল কর্মই পারে পথশিশুদের জীবনের সাদাকালো দিনরাত্রির গল্পগুলোকে করে তুলতে রঙিন ও স্বপ্নময় । আমাদের দেশে মৌসুমি লোকদের কর্মকান্ড চোখে পড়ার মতো। ঈদ, শীত কিংবা দুর্যোগে সবার জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। একদিনের ভালোবাসা কী সমাধান হতে পারে বিভিন্ন সমস্যার? সকল সমস্যা দূরীকরণে চাই মানবতাবোধের জাগরণ। পথশিশু সমস্যা দূর করণে বর্তমান সময়ে যাঁরা কাজ করছেন বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া তরুণেরা গড়ে তুলছেন স্বপ্নময় বাংলাদেশ। তাঁদের প্রচেষ্ঠার ফলে কিছুটা হলেও লাঘব হচ্ছে পথশিশুর কষ্ট। যেখানে আশার  প্রদীপ জালাচ্ছেন তরুণেরা ঠিক তেমনি আবার কেউ কেউ সেই প্রদীপে আলো জ্বালাতে গিয়েও পারছেনা কোনক্রমেই বিভিন্ন পারিপার্শি¦কতায়। মৌসুমি কার্যক্রম নয় বরং সরকারি হস্তক্ষেপে সকল প্রাণের উদ্দ্যম কর্মে হ্রাস পাবে পথ শিশুর সংখ্য। পথ শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেলে সকল দিকেই সুফলতার দখিনা হাওয়া বয়ে যাবে আমাদের জাতীয় জীবনের জানালায়। সেই দখিনা হাওয়ায় ভেসে যাবে সকল দু:খ শোকের বেদনার লাল নীল কষ্টের গল্প।
Farhana Haque
Coordination Officer
Daffodil Institute of Social Sciences-DISS
Daffodil International University
Phone: (EXT: 234)