Bangladesh > Business

২০২১ সালে দেউলিয়ার খাতায় নাম লেখাল যেসব কোম্পানি

(1/1)

roman:
বিষে ভরা বিশ সালে হারিয়ে গেছে বহু ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্রের নানা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ হাজার ৩০০ স্টোর বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে এসে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। বড় বড় কোম্পানির চেইন স্টোরই কেবল বন্ধ হয়েছে ১২ হাজার। মহামারি এখনো থেমে নেই, তাই ঝুঁকিতে আছে অনেক কোম্পানি। ফরচুনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনার কারণে বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। অ্যাস অ্যান্ডি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে ৬১০টি মার্কিন কোম্পানি দেউলিয়া হতে আবেদন করে। এই তালিকায় রয়েছে জেসি পেনি, নেইম্যান মার্কাস এবং জে.ক্রিউ, হার্তজ, সিবিএল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রোপার্টি, ইন্টারনেট সরবরাহকারী ফ্রন্টিয়ার কমিউনিকেশনস, তেল ফিল্ড পরিষেবা সরবরাহকারী সুপিরিয়র এনার্জি সার্ভিসেস। করোনার বড় থাবা পড়েছে ডিপার্টমেন্ট স্টোর, পোশাক কোম্পানি এবং যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্য বিক্রি করে।

গ্রাহকেরা বড় স্টোরগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহী থাকেন, কারণ এসব জায়গায় সব কেনাকাটা এক ছাদের নিচে করা যায়। তাঁরা খাবার এবং বাড়ির উন্নয়নে প্রয়োজন এমন পণ্যে বেশি কিনেছেন করোনার সময়। তাই নিত্যপণ্য বিক্রি করে না এমন খুচরা দোকানগুলো দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছে বেশি। দেউলিয়ার জন্য আবেদন করা ২০ শতাংশ কোম্পানিই এমন। ভ্যাকসিন এলেও ২০২১ সাল এমন সব কোম্পানির জন্য ভালো যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

চ্যাপটার ১১-এর অধীনে দেউলিয়ার ঘোষণার জন্য আবেদন করেছে যে বড় বড় কোম্পানিগুলো

১. ফ্রন্টিয়ার কমিউনিকেশন
দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে প্রায় ৮৫ বছরের পুরোনো ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী এই কোম্পানিটি চ্যাপটার ১১ অধীনে দেউলিয়ার ঘোষণার জন্য আবেদন করে।

২. নেইম্যান মার্কাস
করোনার শুরুতেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি নেইম্যান মার্কাস। শত বছরের পুরোনো ডিজাইনারস ক্লদিং, হ্যান্ডব্যাগ, শু এবং বিউটি পণ্যের জন্য বিখ্যাত মার্কিন এই ডিপার্টমেন্ট স্টোর গত ৭ মে দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করে।

৩. ডায়মন্ড অফশোর ড্রিলিং
ঋণ সামাল দিতে না পেরে এপ্রিলে ডায়মন্ড অফশোর ড্রিলিং দেউলিয়া সুরক্ষার আবেদন করে। প্রায় আড়াই হাজার কর্মীর এই প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালে আয় হয় ৯৮ কোটি ডলার।

৪. টেইলরড ব্র্যান্ডস
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেইলরড ব্র্যান্ড ৫০০ বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। মহামারি চলাকালীন এর কয়েক লাখ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। তারপরও লোকসান ঠেকাতে পারেনি তারা।

৫. দ্য ম্যাকক্ল্যাচি কো
 সংবাদপত্র সংস্থাটি বছরের পর বছর ধরে মুদ্রণ সাবস্ক্রিপশন কমে যাওয়ায় ধুঁকছিল। ফলে ফেব্রুয়ারিতে দেউলিয়া হয়ে যায়।

৬. সিবিএল এবং অ্যাসোসিয়েটস প্রোপার্টি
 বহু আগে থেকে এই স্টোরের ক্রেতা কমে গিয়েছিল। করোনায় যেন আরও ধুঁকতে শুরু করে। পরে দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করে।

৭. টোয়েন্টি ফোর আওয়ার ফিটনেস
লকডাউন চলার সময় বন্ধ হওয়া প্রথম ব্যবসায়গুলোর মধ্যে ছিল এটি। করোনার ধাক্কায় জুলাইয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

৮. হার্তজ
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পর্যটন খাত। আমেরিকার গাড়ি ভাড়া দেওয়া বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হার্তজ। মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বিদায় নিয়েছেন, সেই সঙ্গে দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন করেছে তারা। উত্তর আমেরিকাজুড়ে ছাঁটাই করা হয়েছে ১০ হাজার কর্মীকেও।

৯. কোরাম হেলথ
 ২৪টি হাসপাতাল চালানো এই সংস্থা ঋণে জর্জরিত ছিল। এ ছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম না হওয়ায় দেউলিয়া হয় তারা।

১০. জেসি পেনি, জেসি ক্রিউ
মে মাসের মাঝামাঝি ১১৮ বছরের পুরোনো মার্কিন চেইন ডিপার্টমেন্ট স্টোর জেসি পেনি নিজেদের চ্যাপটার ১১-এর অধীনে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদন করে। জেসি পেনি যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫০টির বেশি স্থানে পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী ও গয়না বিক্রি করে। প্রায় ৮০ হাজার কর্মী কাজ করেন এই কোম্পানিতে। এর আগে মে মাসের শুরুতে খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান জে ক্রিউ দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করে।

Collected
Source--https://www.prothomalo.com/business/world-business/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF

Navigation

[0] Message Index

Go to full version