রাত্রি দ্বি-প্রহর স্বপনের ঘোরে
হঠাৎ দেখি, বিবস- বরিসনে
আনন্দে মত্ত লুটেরা, লুটিছে-
আমার গোলার ধন, যা ছিল
হৃদয় সযত্নে রাখা,
অতি সংগোপনে।।
তিন যুগ ধরে বুকেঁর পাজরে
লুকানো যে ধন, সুপ্রাচীরে-
বিভাবরি-বিরহের অশ্রু জলে,
ব্যাথার প্রশরে–প্রয়সীর দান
অ-মূল্য যোগাসনে।।
চিৎকার করে উঠি- লুটিও না !
মোর বাচিঁবার আশা; আমি যে র্দুবাসা
এই নিশিত অন্ধকারে,
বড় বিরহী, এই টুকুন সম্বল ছিল,
-এই অভাগার ঘরে।।
পা‘দুখান ধরি ‘হে দুর্ষর্ধণ ‘
ভিক্ষা মাগি তব, এই বিজনে
বাচিঁবার বড় সাধ, এতো টুকুন ল‘য়ে
যা মোর প্রিয়সীর অমূল্য অর্পণ।।
শুনিয়াছি যবে এ-রাত প্রভাত হবে
আবার, ফিরিবে আলোর কিরণ;
বহুদিন পরে দেখিব তারে,
ফিরায়ে দিব এ- মানিক রতন ।।
‘কাঁদিব ঠাই, ‘হে মহা-মহীয়সী’
শ্রী নন্দের নন্দন, ফিরায়ে লহ
জিঞ্জিরের যত স্মৃতি-মন্থন’
ফিরায়ে লহ, আজকের দিনে-
মোরে, দিয়ে ছিলে যত দান,
বাচিঁবার তরে ভিক্ষ মাখি শুধু
তুমা হাতের কাঁকন দু‘খান।।