রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি

Author Topic: রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি  (Read 754 times)

Offline Sahadat Hossain

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 368
  • Test
    • View Profile
যেকোনো সময় যেকারও ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে করোনা। এটি প্রতিরোধে সচেতন হওয়াই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর উপায়। অবশ্য টিকা কিছুটা হলেও হাতের নাগালে; কিন্তু পুরোপুরি সহজলভ্য নয়, তাই ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে; অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে; ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে; হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

ডা. নাদিয়া নিতুলের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী

করোনায় রোগীদের নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা ও এর প্রতিকার নিয়ে প্রথম আলো আয়োজন করে এসকেএফ নিবেদিত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ের সুরক্ষা’। অনুষ্ঠানটির ত্রয়োদশ পর্বে ডা. নাদিয়া নিতুলের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী আলোচনা করেন রক্ত জমাট বাঁধা কী এবং এর কারণ নিয়ে। তিনি বলেন, রক্ত আমাদের শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এগুলো ছাড়া শরীরের কোনো কোষই বেঁচে থাকবে না। এই কোষ দিয়েই আমাদের দেহের অর্গানগুলি গঠিত। যেমন এই পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য প্রবহমান রক্তের প্রয়োজন। এই প্রবাহের জন্য শরীরের ভেতরে কিছু সিস্টেম কাজ করে, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অ্যান্টিকোয়াগুলেশন সিস্টেম। আর রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখতে রক্তকে তরল রাখা প্রয়োজন, তাই এখানে কিছু প্রোটিন কাজ করে। আবার রক্ত পুরোপুরি জমাট না বাঁধলেও কিছু বিপদ থেকে যায়। যেমন যদি শরীরের কোনো অংশ কেটে যায়, তবে রক্ত ঝরতে থাকে। এটি বন্ধের জন্য রক্ত জমাট বাঁধা জরুরি।

এ জন্য রক্ত তরল রাখার বিপরীতে আরও একটি সিস্টেম কাজ করে, তা হচ্ছে ক্লটিং সিস্টেম। কোনো জায়গায় কেটে গেলে এই সিস্টেম রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে রক্ত ঝরানো বন্ধ করে দেয়। এবং এই সিস্টেমগুলো সঠিকভাবে কাজ না করলেই শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলা যায় পৃথিবীতে যে পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে, এর প্রতি চারজনের একজন রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মৃত্যুবরণ করে। এর অনেক ধরন রয়েছে। যেমন: হার্টে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে স্ট্রোক হয়, এ ছাড়া লাঙে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে পালমারি এম্বোলিজম হয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটে, আবার পায়ের ভেইনে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে।

মানুষের শরীরে দুই ধরনের শিরা আছে। একটি খালি চোখে দেখা যায়, যা চামড়ার ঠিক নিচে থাকে। আরেকটি দেহের মাংসপেশির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এসব শিরায় বিশেষ করে পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে ডিপ ভেইন থ্রাম্বোসিস (ডিভিটি) সৃষ্টি করে। এর ফলে হঠাৎ পায়ে ব্যথাসহ পা মোটা হতে থাকে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করালে পা ফোলা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, এমনকি পায়ে ঘাও হতে পারে। অনেক সময় এ রক্ত জমাট ফুসফুসে ঢুকে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে। যেসব রোগ বা অসুস্থতা আমাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, সেসব রোগের জন্যও ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস দেখা দিতে পারে। কোনো দুর্ঘটনা বা অপারেশনের পর শারীরিক অসুস্থতা বা চিকিৎসার জন্য আমাদের হাসপাতালে বা নিজ বাসস্থানে চলাফেরার পরিমাণ

অনেকাংশে কমে যায়। এ অবস্থায়ও ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থা, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ, শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেওয়া বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি, বংশগত ঝুঁকি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ হতে পারে।
এরপর ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী আলোচনা করেন করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এই রক্ত জমাট বাঁধা কীভাবে কাজ করে এবং কতটা ক্ষতিকর। তিনি বলেন, শুরুতে করোনার গতি–প্রকৃতি সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকলেও এত দিনের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ থেকে কিছু কিছু বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে। যেমন আগে আমরা জানতাম না করোনা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এ কারণে অনেক রোগীর জটিল সমস্যা দেখা যায়, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
মহামারির শুরুতে ধারণা করা হতো ফুসফুসে সংক্রমণের কারণেই শুধু মৃত্যু বেশি হচ্ছে। পরে নানা ধরনের পর্যবেক্ষণ ও করোনা রোগীদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখে বোঝা গেল করোনা মানুষের শরীরের বিভিন্ন জায়গার রক্তনালি যেমন পায়ে ও ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধেছে। করোনাভাইরাস রক্তনালিগুলোর পথে ক্ষত তৈরি করে, যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। একে এখন বলা হচ্ছে এটি কোভিড অ্যাসোসিয়েটেড কোয়াগুলোপ্যাথি। এটিকে আলাদা একটি রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এখন।

এ ছাড়া অনেক সময় এর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে পালমোনারি এম্বলিজম নামের আরও একটি রোগ। পালমোনারি এম্বলিজম এমন একটি অবস্থা, যা রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ফুসফুসের মধ্যে রক্তনালির বাধার সৃষ্টি করে, যখন রক্তনালির মাধ্যমে জমাট বাঁধা রক্ত যাতায়াত করে, তখন তা ফুসফুসে পৌঁছে যায় এবং সেখানে আশ্রয় নেয়, যার ফলে এটি হয়। যদি এই জমাট বাঁধা রক্ত বড় এবং সংখ্যায় বেশি হয়, তাহলে তা রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এটি ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে, শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি হতে পারে। এ জন্যই করোনা থেকে সবারই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, কখন কার ক্ষেত্রে এটি জটিল আকার ধারণ করবে বলা মুশকিল। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস; যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি রয়েছে; বৃদ্ধ, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী; যাঁদের অতিরিক্ত ওজন, তাঁদেরই মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।

Video Link: https://www.facebook.com/watch/?v=405707837187973
Ref: https://www.prothomalo.com/life/health/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF
Md.Sahadat Hossain
Administrative Officer
Office of the Director of Administration
Daffodil Tower(DT)- 4
102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi.
Email: da-office@daffodilvarsity.edu.bd
Cell & WhatsApp: 01847027549 IP: 65379