কিডনি রোগীর খাবার নিয়ে ৫ ভুল ধারণা

Author Topic: কিডনি রোগীর খাবার নিয়ে ৫ ভুল ধারণা  (Read 936 times)

Offline Sahadat Hossain

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 368
  • Test
    • View Profile
আমাদের শরীরে পানি, অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে কিডনি। পাশাপাশি রক্ত পরিশোধন ও শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয় এই অঙ্গ। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। সুস্থ থাকতে এর পাশাপাশি সঠিক ডায়েট ফলো করতে হয়। তবে কিডনি রোগীদের খাবার নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে মানুষের মনে। অনেক কিডনি রোগী অনেক ধরনের খাবার বাদ দেন ও অপুষ্টির শিকার হন। এমন পাঁচটি ভুল ধারণা হলো—

১. বেশি পানি পানে কিডনি ভালো হয়ে যায়
বেশি পানি পান করলে কিডনির সমস্যা ঠিক হয়ে যায়, এটা আসলে ভুল ধারণা। আবহাওয়া ও কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে কতটুকু পানি পান করতে হবে। পানির পিপাসাই পানি পানের পরিমাণ নির্দেশ করে। তবে ডায়রিয়া বা বমির পর পানিশূন্যতা পূরণ না করলে কিডনি বিকল হতে পারে। আবার কিডনি বিকল হলে বরং পানি মেপে পান করতে বলা হয়। কিডনিতে পাথর হলে বা সংক্রমণ হলে অনেক সময় বেশি পানি ও তরল খাবার খেতে বলা হয়।

২. ফলমূল খাওয়া নিষেধ
দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা হলে ফলমূল খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকেই। আসলে পটাশিয়াম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত ফলমূল যেমন কলা, ডাব, টমেটো এড়িয়ে চলতে বলা হয়। তবে পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি এসব কিডনিবান্ধব ফল। এগুলো পরিমাণমতো খাওয়া যায়। ফলই খাওয়া যাবে না, এটা ঠিক নয়।

৩. প্রোটিন খেতে পারবেন না
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে বা প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন গেলে মাছ–মাংসজাতীয় সব আমিষ বন্ধ করে দেন অনেকেই। এটা একেবারেই ভুল। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যার তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা যায়। যেমন কারও ওজন ৬০ কেজি হলে দৈনিক ৪৮ গ্রাম আমিষ খাবেন। সেটা অবশ্য প্রথম শ্রেণির প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম হতে হবে। একেবারে কম প্রোটিন খেলে অপুষ্টি দেখা দেবে। তবে সমস্যা চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সর্বোচ্চ ৬০ গ্রামের বেশি প্রোটিন গ্রহণ করা যাবে না।

৪. দুগ্ধজাতীয় খাবার নিষেধ
এটাও ভুল ধারণা। শুধু কিডনি বিকল হলে, রক্তে ফসফরাস বা ফসফেটের পরিমাণ যাতে বেড়ে না যায়, সে জন্য অতিরিক্ত দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। এ ছাড়া প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হয়। না হলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির অভাব দেখা দেয়।

৫. পটাশিয়ামযুক্ত খাবার নিষেধ
সব কিডনি রোগীরই যে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে, এটা ঠিক নয়। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের মধ্যে যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি এবং যাঁদের সমস্যা চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, কেবল তাঁদেরই উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। এ ধরনের রোগীর কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে।


পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা

Ref: https://www.prothomalo.com/life/health/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%AB-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE
Md.Sahadat Hossain
Administrative Officer
Office of the Director of Administration
Daffodil Tower(DT)- 4
102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi.
Email: da-office@daffodilvarsity.edu.bd
Cell & WhatsApp: 01847027549 IP: 65379