জ্বর হলে শরীরে লেপ-কাঁথা জড়ানো ঠিক নয়

Author Topic: জ্বর হলে শরীরে লেপ-কাঁথা জড়ানো ঠিক নয়  (Read 1497 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
জ্বর একটি সাধারণ উপসর্গ। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর হয়ে থাকে। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮.৬ ফারেনহাইট (মুখগহ্বরে জিহ্বার নিচে)। এই তাপমাত্রা বেড়ে গেলেই আমরা তাকে জ্বর বলতে পারি। এই জ্বর হলে করণীয় কী? এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। জ্বর হলেই অনেকে রোগীর গায়ে কাঁথা চাপিয়ে দেন। তাদের ধারণা, এতে করে রোগীর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়বে। জ্বর হলে ঠান্ডা হাওয়া আসার ভয়ে ঘরের দরজা-জানালাও অনেকে বন্ধ করে রাখেন। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর কোনটাই জ্বর কমানোর পদ্ধতি নয় বা জ্বর কমাতে সাহায্য করে না। জ্বর হলে এমনিতেই শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন যদি আবার শরীরে মোটা কাপড়, কম্বল জড়ানো হয় তবে শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। ঠিক তেমনি জ্বর হলে গায়ে তেল মালিশ করাও ঠিক নয়। এতে করে শরীরের লোমকূপগুলো ময়লায় বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীরের বাড়তি তাপ বের হতে পারে না। জ্বর হলে শরীরে কাপড় জড়ানো উচিত নয়। জ্বর হলে শরীরের কাপড়চোপড় (যতটুকু খোলা সম্ভব) খুলে দিতে হবে। খুলে দিতে হবে ঘরের দরজা-জানালা। মোট কথা, উন্মুক্ত আলো-বাতাসের আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্যান থাকলে সেটিও মধ্যগতিতে চালিয়ে দিতে হবে। তারপর একটি তোয়ালে বা গামছা, পরিষ্কার বা স্বাভাবিক পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে নিয়ে তা দিয়ে সারা শরীর আস্তে আস্তে মুছে দিতে হবে। এভাবে বেশ কয়েকবার করলে তাপমাত্রা কমে আসবে। মাথাও ধুয়ে দেয়া যায় এ সময়ে। এরপরও জ্বর না কমলে প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। জ্বর কমানোর এ পদ্ধতিটি কারও কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, এটাই হচ্ছে এ সময়ের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শরীরের তাপমাত্রা কমানোর পদ্ধতি।

ডা. সজল আসফাক