শাবানের তাৎপর্য ও আমল

Author Topic: শাবানের তাৎপর্য ও আমল  (Read 979 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 478
  • Test
    • View Profile
শাবানের তাৎপর্য ও আমল
« on: March 20, 2021, 10:16:58 AM »
মহান আল্লাহ বছরের কিছু সময়কে কিছু সময়ের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন এবং কোনো মাস বা দিনরাতকে মোমিনের গুনাহ মোচন ও ইবাদত-বন্দেগির জন্য বিশেষভাবে বরকতময় ও বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন। এর অন্যতম শাবান মাস। শাবান শব্দের অর্থ বিস্তৃত হওয়া, ছড়িয়ে পড়া, প্রসারিত হওয়া ইত্যাদি। এ মাসে মহান প্রভুর রহমতের বারিধারা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে তাই এ মাসের নামকরণ হয়েছে শাবান। মহানবী (সা.) এ মাসকে নিজের মাস বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি শাবানে অধিক পরিমাণে রোজা রাখতেন। হজরত উসামা বিন জায়িদ (রা.) বলেন, ‘আমি একদিন মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রসুল! আমি আপনাকে শাবানের মতো অন্য কোনো মাসে এত অধিক রোজা রাখতে দেখিনি। উত্তরে তিনি বললেন, এ মাসের ব্যাপারে মানুষ বড়ই উদাসীন। অথচ এ মাসে মানুষের আমলসমূহ মহান আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। আর আমি চাই আমার আমলগুলো (আল্লাহর দরবারে) এমন অবস্থায় পেশ করা হোক যখন আমি রোজাদার।’ নাসায়ি, বায়হাকি।

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া অন্য সময় পূর্ণমাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবানের মতো অধিক পরিমাণ রোজা অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি।’ বুখারি, নাসায়ি। মহানবী (সা.) মাহে রমজানের প্রস্তুতিস্বরূপ মাহে শাবানের চাঁদের হিসাব রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘তোমরা রমজানের সম্মানার্থে শাবানের চাঁদের হিসাব গণনা করে রাখ।’ তিরমিজি।
রজব ও শাবান আগমন করলেই রসুলুল্লাহ (সা.) এ দোয়াটি বেশি পাঠ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান অর্থ হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবানকে বরকতময় করে দিন এবং আমাদের হায়াতকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ নাসায়ি। হজরত আবুবকর বলখি (রহ.) বলেন, ‘রজব ঠান্ডা বাতাসের মতো, শাবান মেঘমালার মতো আর রমজান বৃষ্টির মতো।’ লাতায়েফুল মা’আরিফ। মহান আল্লাহ এ মাসের ১৫তম রজনীকে অত্যন্ত বরকতময় ও মহিমান্বিত করেছেন। হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত, হুজুর (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শাবানের মধ্যরাতে (১৫ শাবান) আল্লাহ প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং প্রতিটি (মোমিন) বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। তবে পরশ্রীকাতর ও মুশরিক ছাড়া।’ কিতাবুস সুন্নাহ, শরহুস সুন্নাহ। সুতরাং এ মাসে আমাদের করণীয় হলো, অধিক পরিমাণে রোজা রাখা, নফল নামাজ পড়া ও মাহে রমজানের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ। বিশেষ করে এ মাসের ১৫তম রজনীতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া, জিকির, তওবা, ইসতিগফার, কবর জিয়ারত ও দান-সদকা ইত্যাদি করা। মহান আল্লাহ আমাদের মহে শাবানের গুরুত্ব অনুধাবনের ও এ মাস থেকেই মাহে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের তৌফিক দান করুন।

লেখক : মুফাসসিরে কোরআন।



Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34