জুম্মার দিনের ফজিলত ও আমলসমূহ

Author Topic: জুম্মার দিনের ফজিলত ও আমলসমূহ  (Read 729 times)

Offline ashraful.diss

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 162
  • 'শীঘ্রই রব তোমাকে এত দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে'
    • View Profile
    • Daffodil Institute of Social Sciences - DISS
জুমা’র দিনের কিছু ফজিলত ও আমল

জুমা’র দিনের ফজিলত

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, `হে মোমিনরা, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তোমরা আল্লাহর স্মরণে তরা করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝ।` (সূরা জুমআ`: আয়াত ৯)

রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের মতো শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন।’ [ইবনে মাজাহ; ১০৮৪]

জুমা’র দিন সাপ্তাহিক ঈদের দিন

জুমা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ [ইবনে মাজাহ; ১০৯৮]

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা:) আরো বলেন, হে মুসলমানগণ, জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তোমরা এ দিন মিসওয়াক করো, গোসল করো ও সুগন্ধি লাগাও।[মুওয়াত্তা, ইবনে মাজাহ, মিশকাত; হাদিস নম্বর- ১৩৯৮, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন’ অনুচ্ছেদ-৪৪]

জুমার দিন জুমার নামাজের আগে বা পরে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা

হযরত আবু দারদা (রা.) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত একটা নূর চমকাতে থাকবে। (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী- ৩/২৪৯, ৫৯৯৬)

অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে কিয়ামতের দিন তার জন্য আরশের নিচে আকাশ তুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব ছগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (ইবনে কাসীর; ফাজায়েলে জুমা)

জুম’আর দিন গোসল করা

যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদেরজন্য এ দিনে গোসলকরাকে রাসুল(সাঃ) সুন্নত করেছেন (বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশহিসাবে সেদিন নখ ও চুলকাটা একটি ভাল কাজ। জুম’আর সালাতের জন্যসুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ ৮৪৩) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮৩) উত্তম পোশাক পরিধানকরে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখকরে বসা। (তিরমিযীঃ ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৬) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন। (আবু দাউদঃ ৩৪৫) মুসুল্লীদের ফাঁককরে মসজিদে সামনেরদিকে এগিয়ে না যাওয়া (বুখারীঃ ৯১০, ৮৮৩) খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দু’রাকা’আত‘ তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা। (বুখারীঃ ৯৩০)

জুমার নামাজের ফযীলত ও তা আদায়কারীদের জন্য ঘোষিত পুরষ্কার

(১) কুরবানী করার সমান সওয়াব অর্জিত হয়ঃ দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানী করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যাক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানী করল, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কুরবানী করল, তৃতীয় সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১, ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)

(২) মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে ফেরেশতারা অগ্রগামীদের নাম তালিকাভুক্ত করেনঃ জুমার সালাতে কারা অগ্রগামী, ফেরেশতারা এর তালিকা তৈরি করে থাকেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতা এসে হাজির হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সর্বাগ্রে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকে। প্রথম ভাগে যারা মসজিদে ঢুকেন তাদের জন্য উট, দ্বিতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য গরু, তৃতীয়বারে যারা আসেন তাদের জন্য ছাগল, চতুর্থবারে যারা আসেন তাদের জন্য মুরগী, ও সর্বশেষ পঞ্চমবারে যারা আগমন করেন তাদের জন্য ডিম কুরবানী বা দান করার সমান সওাব্ব লিখে থাকেন। আর যখন ইমাম খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বরে উঠে পড়েন ফেরেশতারা তাদের এ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যান।” (বুখারী ৯২৯, ইফা ৮৮২, আধুনিক ৮৭৬)

(৩) দশ দিনের গুনাহ মাফ হয়ঃ জুমার দিনের আদব যারা রক্ষা করে তাদের দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি ভালভাবে পবিত্র হল অতঃপর মসজিদে এলো, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনতে চুপচাপ বসে রইল, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী এ সাত দিনের সাথে আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে খুৎবার সময় যে ব্যক্তি পাথর, নুড়িকণা বা অন্য কিছু নাড়াচাড়া করল সে যেন অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিমঃ ৮৫৭)

(৪) জুমার আদব রক্ষাকারীর দশ দিনের গুনাহ মুছে যায়ঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, জুমার সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুমা’য় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুমা’য় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুমা’র মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)

(৫) প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের নফল রোজা ও এক বছরের সারা রাত তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব অর্জিত হয়ঃ যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুমার সালাত আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার সওয়াব লিখা হয়। আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, জুমার দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায় (অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে, পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে, পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪, ১৬২১৮)

(৬) দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারাঃ জুমার সালাত আদায়কারীদের জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারা স্বরূপ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া সকল (সগীরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে, বান্দা কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে।” (মুসলিমঃ ২৩৩)

জুমার দিনে দোয়া কবুল

জুমার ফজিলতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো, এই দিনে এমন একটা সময় আছে, যখন মুমিন বান্দা কোনো দোয়া করলে মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে একটা এমন সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে, অবশ্যই আল্লাহ তাঁকে তা দান করবেন। (সহীহ মুসলিম : ৮৫২, মুসনাদে আহমাদ : ৭১৫১, আস্-সুনানুল কুবরা : ১০২৩৪)

জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সে মহামূল্যবান সময় কোনটা? এ সম্পর্কে ৪৫টা মতামত পাওয়া যায়। তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হলো, আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময় দোয়া কবুলের সময়। হজরত আনাস (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের কাঙ্ক্ষিত সময়টা হলো আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। (মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৫৪৬০, তিরমিজি : ৪৮৯)

জুমার দিন বেশী বেশী দরুদ শরীফ পড়া

হযরত আওস ইবনে আউস রা.থেকে বর্ণিত, একটি হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

ﺇﻥ ﻣﻦ ﺃﻓﻀﻞ ﺃﻳﺎﻣﻜﻢ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ … ﻓﺄﻛﺜﺮﻭﺍ ﻋﻠﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻴﻪ، ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﻣﻌﺮﻭﺿﺔ ﻋﻠﻲ

নিশ্চয়ই জুমার দিন শ্রেষ্ঠতম দিন গুলোর অন্যতম। সুতরাং সেদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়। নিশ্চয় তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ১০৪৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৬১৬২; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৯১০, হাদীসটি সহীহ)

অন্য হাদীসে হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

ﺃﻛﺜﺮﻭﺍ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ، ﻓﻤﻦ ﺻﻠﻰ ﻋﻠﻲ ﺻﻼﺓً ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻋﺸﺮﺍً

তোমরা জুমার রাত ও জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করেন। (আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকী ৩/২৪৯; ফাযাইলুল আওকাত, বায়হাকী ২৭৭; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নী ৩৭৯, এর সনদ হাসান পর্যায়ের।)

অন্য হাদীসে আছে-

ﺃﻛﺜﺮﻭﺍ ﻋﻠﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻳﻮﻡ ﺟﻤﻌﺔ، ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺓ ﺃﻣﺘﻲ ﺗﻌﺮﺽ ﻋﻠﻲ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻳﻮﻡ ﺟﻤﻌﺔ، ﻓﻤﻦ ﻛﺎﻥ ﺃﻛﺜﺮﻫﻢ ﻋﻠﻲ ﺻﻼﺓ ﻛﺎﻥ ﺃﻗﺮﺑﻬﻢ ﻣﻨﻲ ﻣﻨﺰﻟﺔ

প্রত্যেক জুমার দিনে তোমরা আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর। কারণ আমার উম্মতের দরূদ প্রতি জুমার দিন আমার কাছে পেশ করা হয়। আর তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আমার উপর সবচেয়ে বেশি দরূদ পাঠ করে সে অন্যদের তুলায় আমার বেশি নিকটবর্তী। (সুনানে বায়হাকী ৩/২৪৯, এর সনদটি হাসান)

সাখাবী রাহ. বলেন-

ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﺑﺴﻨﺪ ﺣﺴﻦ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻣﻜﺤﻮﻻ ﻗﻴﻞ : ﻟﻢ ﻳﺴﻤﻊ ﻣﻦ ﺃﺑﻲ ﺃﻣﺎﻣﺔ ﻓﻲ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﺠﻤﻬﻮﺭ

এখন লক্ষ্য করে দেখুন, দরূদ শরীফের গুরুত্ব, তার সাধারণ ফযীলত সমূহ এবং বিশেষ ভাবে জুমার দিন বেশি বেশি দরূদ পড়ার গুরুত্ব ও ফযীলত যা সহীহ সনদে প্রমাণিত এবং একটি স্বীকৃত বিষয়। নির্ভরযোগ্য সনদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি তার এক শাগরিদ যায়েদ বিন ওয়াহাবকে নসীহত করেছেন-

ﻳﺎ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ ! ﻻ ﺗﺪﻉ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﺃﻥ ﺗﺼﻠﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻟﻒ ﻣﺮﺓ ﺗﻘﻮﻝ : ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺻﻞ ﻋﻠﻰ ﻣﺤﻤﺪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺍﻷﻣﻲ

হে যায়েদ বিন ওয়াহাব! জুমার দিন তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি এক হাজার বার দরূদ পড়তে ভুল করো না। এভাবে বলবে-

ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺍﻟْﺄُﻣِّﻲِّ

আল্লাহ পাক সকলকে বুঝার তৈফিক দান করুক, নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিদার সকলের নছিব হোক, কাল কিয়ামতের দিন সকল আমল কবুলের সাথে সাথে যেনো নবীজীর (দ) শাফায়াত নছিব হয় এবং মৃত্যুর আগে যেনো পবিত্র কালিমা শরীফ যেনো সকলের নছিব হয়- আমিন।

« Last Edit: January 30, 2022, 11:46:13 AM by ashraful.diss »
Hafez Maulana Mufti. Mohammad Ashraful Islam
Ethics Education Teacher, DISS
Khatib, Central Mosque, Daffodil Smart City
Ashuli , Savar, Dhaka