রক্তচাপ মাপার সঠিক উপায়

Author Topic: রক্তচাপ মাপার সঠিক উপায়  (Read 1148 times)

Offline Sahadat Hossain

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 368
  • Test
    • View Profile
উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় নীরব ঘাতক। কারণ, এ সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ থাকে না। রোগী দীর্ঘদিন অজান্তে বয়ে বেড়ান সমস্যাটি। তবে এটি নীরবে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হৃদ্‌যন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক, রক্তনালি ও চোখের ক্ষতি করতে থাকে। তাই সবারই উচিত নিয়মিত রক্তচাপ সঠিকভাবে পরিমাপ করা। এতে জটিলতা সৃষ্টির আগেই উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত সম্ভব।

উচ্চ রক্তচাপ কী

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদের নিচে থাকে। কারও রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ বা তার বেশি হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে বিবেচনা করা যায়। যাঁদের রক্তচাপ এই দুই মাত্রার মাঝামাঝি থাকে, তাকে বলে প্রাক্-উচ্চ রক্তচাপ।

রক্তচাপ পরিমাপের সঠিক উপায়

রক্তচাপ পরিমাপ করা হয় স্ফিগমোম্যানোমিটার দিয়ে। এটি খুব পরিচিত একটি যন্ত্র। হাসপাতালে, ক্লিনিকে বা চিকিৎসকের চেম্বারে এই যন্ত্র দিয়েই রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। অবশ্য বর্তমানে অটোমেটেড রক্তচাপ মাপার যন্ত্রও পাওয়া যায়। বাড়িতে এটি ব্যবহার করাও সহজ।

■ রক্তচাপ মাপার আগে অন্তত আধা ঘণ্টা চা, কফি পান বা ধূমপান করা যাবে না।

■ কমপক্ষে ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার পর রক্তচাপ মাপতে হবে।

■ বাসায় রক্তচাপ মাপার সময় পা দুটো মেঝেতে রেখে দুই হাত সামনের টেবিলে অথবা চেয়ারের হাতলে রাখুন।

■ বাহুর কাপড় সরিয়ে রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটির কাফ কনুইয়ের ভাঁজের কমপক্ষে এক ইঞ্চি ওপরে বাঁধুন। ঢিলা করে বাঁধবেন না। স্টেথোস্কোপের ইয়ার পিস কানে লাগিয়ে ডায়াফ্রাম কনুইয়ের ভাঁজ থেকে একটু ওপরে স্থাপন করুন।

■ হাতের কবজির সামান্য ওপরে (সাধারণত যেখানে নাড়ির গতি পরীক্ষা করা হয়) ধমনির কম্পন আঙুলে অনুভব করে কাফটি পাম্প করতে হবে। মিটারের যে দাগে ধমনির কম্পন আর অনুভূত হবে না, সেখান থেকে আরও ৩০ মিলিমিটার ওপরের দাগ পর্যন্ত মিটারের কাঁটা তুলতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে এমনভাবে কাফের চাপ কমাতে হবে, যেন মিটারের কাঁটা প্রতি সেকেন্ডে ২ থেকে ৩ মিলিমিটারের বেশি না নামে।

■ স্টেথোস্কোপে মনোযোগ দিয়ে শব্দ শুনতে হবে। যে দাগে প্রথম শব্দ শোনা যাবে, সে দাগই হলো সিস্টোলিক রক্তচাপের মাত্রা। আর যেখানে শব্দ আর শোনা যাবে না, সেটি হলো ডায়াস্টলিক রক্তচাপের মাত্রা।

রক্তচাপ কি বাড়ে-কমে

দিনের বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন কাজকর্ম, খাওয়া-ঘুম-বিশ্রাম বা পরিশ্রম-উত্তেজনার সঙ্গে রক্তচাপ পরিবর্তিত হতে পারে। দৈনন্দিন এই ওঠানামার পরিমাণ সিস্টোলিক ১০-১৫ মিলিমিটার এবং ডায়াস্টোলিক ৫-১০ মিলিমিটার পারদের বেশি হওয়ার কথা নয়।

কিছু পরামর্শ

রক্তচাপের মাত্রা কখনো একটু বেশি পেলে অস্থির বা উদ্বিগ্ন হবেন না। দুই মিনিট বিশ্রাম নিয়ে আবার মেপে দেখুন। পরপর অন্তত দুই দিন মেপে উচ্চ রক্তচাপ পেলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। দুই মিনিটের ব্যবধানে সিস্টোলিক ১৮০ ও ডায়াস্টোলিক ১২০ মিলিমিটার পারদের ওপর পেলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বা হাসপাতালে যেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুতেই নিজে নিজে রক্তচাপের ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন বা বন্ধ করা যাবে না।

প্রতিদিন বা বারবার রক্তচাপ মাপার দরকার নেই। তবে মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, দম আটকে আসা ইত্যাদি সমস্যা হলে রক্তচাপ পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
Md.Sahadat Hossain
Administrative Officer
Office of the Director of Administration
Daffodil Tower(DT)- 4
102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi.
Email: da-office@daffodilvarsity.edu.bd
Cell & WhatsApp: 01847027549 IP: 65379

Offline Anta

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 593
  • Never lose hope
    • View Profile
Re: রক্তচাপ মাপার সঠিক উপায়
« Reply #1 on: June 02, 2021, 03:49:12 PM »
Thanks for sharing  :)
Anta Afsana
Lecturer
Department of English
Daffodil International University
email id: anta.eng@diu.edu.bd
Contact number: 07134195331