‘করোনার ১০ মাসে তথ্যপ্রযুক্তিতে ১০ বছর এগিয়েছি’

Author Topic: ‘করোনার ১০ মাসে তথ্যপ্রযুক্তিতে ১০ বছর এগিয়েছি’  (Read 1757 times)

Offline Ismail Hossain

  • Newbie
  • *
  • Posts: 31
    • View Profile
করোনার ১০ মাসে তথ্যপ্রযুক্তিতে ১০ বছর এগিয়েছি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (ছবি: হিটলার এ. হালিম)তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (ছবি: হিটলার এ. হালিম)

করোনার সময়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত অন্তত ১০ বছর এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ১০ বছরে আইটি সেক্টরে যে উন্নতি ও সচেতনতা তৈরি হয়েছিল, এক বছরে তার দ্বিগুণ গতি পেয়েছি। অগ্রগতিও দ্বিগুণ। আমি বলবো, আগামী ১০ বছরে যে পরিবর্তন আশা করেছিলাম  সেটা গত ১০ মাসে হয়েছে।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনও গন্তব্য নয়। এটি একটি স্টেশন। ২০২১ সালে আমরা একটি স্টেশনে পৌঁছেছি। ২০৩১ সালে আরেক স্টেশনে পৌঁছাবো। সামনে থাকবে স্টেশন ২০৪১।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে আইসিটি টাওয়ারে নিজ দফতরে জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ে। করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য তৈরি সুরক্ষা অ্যাপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্টেশন, করোনাকালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি, সফটওয়্যার ও ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধি বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

বাংলা ট্রিবিউন: ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনও ডেস্টিনেশন নয়, একটি স্টেশন। আপনার মুখে শোনা নতুন কথা। যদি বিস্তারিত বলতেন...।

জুনাইদ আহমেদ পলক: যখন ২০২১ সালে চলে আসছি তখন আমাদের অনেকের মনে একটা সন্তুষ্টি ভাব। ডিজিটাল বাংলাদেশ তো হয়ে গেলো, মনে হয় আর কোনও কাজ নেই। আমাদের যে স্টেকহোল্ডার, অর্থাৎ সরকার, প্রাইভেট সেক্টর এবং ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাকাডেমিয়া—তিনটি সেক্টরকে আমরা সবসময় বলছি ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাচ্ছে না। গন্তব্য আরও সুদূরপ্রসারী। আমরা যেন সন্তুষ্টিতে ভুগে কার্যক্রম থামিয়ে না দিই। সে কারণে বলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি স্টেশন। সামনে আরও স্টেশন পার হতে হবে। আমাদের যে গন্তব্য- একটি উন্নত আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক সোনার বাংলা গড়ে তোলা, যেটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার থাকবে সমান। মৌলিক চাহিদা-শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান এসব তো আছেই। এরপরেই আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১। সেখানে আছে মর্যাদাসম্পন্ন মধ্যম আয়ের রাষ্ট্র এবং প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। সেটা আমরা ২০২১ সালে পূরণ করবো।

২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে হবে। তখন অটোমেশনে যেতে হবে। সে সময় আমাদের মাথাপিছু আয় হবে পাঁচ হাজার ডলার। ২০৪১ সালে আমাদের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার টার্গেট। ভিশন-২০৪১ অনুযায়ী মাথাপিছু আয় হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার। এই যে তিনটি মাইলস্টোন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দিয়েছেন; সেজন্যই বলেছি, আমরা কেবল প্রথম স্টেশন পার করলাম। সামনে স্টেশন ২০৩১। চূড়ান্ত গন্তব্য ২০৪১।

গত ১২ বছর ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় (প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা) ভাই নির্দেশনা দিয়েছেন। কানেক্টিভিটি ফর অল, ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, হাইটেক পার্ক ৩৯টি—সব ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। বিভিন্ন ব্লক তৈরি হয়েছে। এখন ব্লকগুলোর সঙ্গে একটা ওয়াল তৈরি হচ্ছে। ফাউন্ডেশন হয়ে যাবে ২০২১ সালেই। এর ওপরেই গড়ে উঠবে ২০৩১, ২০৪১।

১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি হয়েছে। আমাদের ৩৫ হাজার ল্যাব করার টার্গেট। হাইটেক পার্ক, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাকাডেমি, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, এটুআই প্রজেক্ট, বিসিসি, ডাটা সেন্টার; এসবই একেকটি ব্লক।

ট্রেনিং চলছে, স্পেশালাইজড ল্যাব চলছে। ২০৪১ সালে আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিন্তু সারা বিশ্বকে এলোমেলো করে দেবে। তখন শুধু প্রযুক্তি নয়, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নেতৃত্ব দেবে। এখন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার হচ্ছে গাড়িতে, তখন পুরো গাড়িটিই একটি ডিজিটাল ডিভাইস হবে। স্মার্টহোম হবে, স্মার্ট সিটি হবে, স্মার্ট রোড হবে। সবকিছু মেশিন টু মেশিন রেসপন্স করবে। আর সেটাকে মাথায় রেখেই শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি করা হচ্ছে।

১২ বছর আগে যদি আইসিটি সাবজেক্টটি বাধ্যতামূলক না করা হতো, তবে আজ এই মানবসম্পদ তৈরি হতো না। সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার হতো না। ই-কমার্সের এত দ্রুত প্রসার হতো না।

একইভাবে পরের স্টেশনে যাওয়ার জন্য এখন থেকে বীজ বপন করা হচ্ছে। স্কুল অফ ফিউচার করা হচ্ছে। পরবর্তী ১০ বছরের চাহিদা কেমন হবে তা মাথায় রেখেই এগুচ্ছি। আবার ২০৩১ সালে যে কাজগুলো আমরা শুরু করবো, সেগুলোর পরিকল্পনাও করছি। ১৭ কোটি মানুষের দেশ আমরা। প্রযুক্তির শক্তিতে এমনভাবে শক্তিশালী হতে চাই, যাতে ২০৪১ সালে সুপার পাওয়ার হতে পারি।

বাংলা ট্রিবিউন: করোনাকালে বাংলাদেশের আইটি কতটা এগুলো?

‌জুনাইদ আহমেদ পলক: আমার মনে হয় আইটি খাত দ্বিগুণ এগিয়েছে। আমাদের ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের (করোনার শুরুতে ছিল ১০৫০ জিবিপিএস, এখন ১৭০০-১৭৫০ জিবিপিএস) পরিমাণ খেয়াল করলে বুঝবেন আইটি কতটা এগিয়েছে। মানুষ আগের চেয়ে বেশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করছে। ই-কমার্স, মোবাইল ওয়ালেট—এসব জায়গায় ৩০-৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এজন্য আমি বলছি ওভারঅল এটি দ্বিগুণ হয়েছে।

১০ বছরে আইটি সেক্টরে যে উন্নতি, অগ্রগতি, সচেতনতা তৈরি হয়েছিল, এক বছরে আমরা তা দ্বিগুণ করেছি। আগামী ১০ বছরে যে পরিবর্তন আশা করেছিলাম সেটা ১০ মাসে হয়েছে। করোনা আমাদের বিরাট সংকট ছিল। কিন্তু সংকটটাকে আমাদের আইটি উদ্যোক্তারা সম্ভাবনায় রূপ দিয়েছে। একদিকে ট্রাডিশনাল ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি কমেছে, কিন্তু আইটি সেক্টরে চাকরি তৈরি হয়েছে। অনেক প্রজেক্ট পাঁচ বছর আটকে ছিল। যেমন, ভার্চুয়াল কোর্টের কথা বলতে পারি, ই-ফাইলিংয়ের কথা বলতে পারি, অনলাইনে পাঠদানের কথা বলতে পারি। এই জায়গাগুলোতে বড় অগ্রগতি হয়েছে। আগে যে পরিমাণ ই-ফাইল এক বছরে তৈরি হয়েছিল, সেটা এখন প্রতি মাসে হচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউন: এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাবে?

জুনাইদ আহমেদ পলক: ধরে রাখতে হয়, এমনি থাকে না। পৃথিবীতে দুই শতাধিক দেশ। সব রাষ্ট্রের জিডিপি গ্রোথ কি পজিটিভ? মাত্র তিনটি দেশ পজিটিভ গ্রোথ ধরে করতে পারছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। গত জুন পর্যন্ত আমাদের ৫.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য, দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। যখন লকডাউন করতে হবে তখন লকডাউন করা হয়েছে। যখন শিথিল করতে হবে, তখন তা করা হয়েছে। কখন ভ্যাকসিনের অর্ডার দিতে হবে সেটাও বিশেষজ্ঞ মতামতের সাপেক্ষে দেওয়া হয়েছে। ফলে গত ১১ মাসেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়েছে। আমি মনে করি যতদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করবেন, ততদিন গ্রোথ পজিটিভ থাকবে।

বাংলা ট্রিবিউন: করোনাকালে অনেক প্রযুক্তির উদ্ভব হলো। এরমধ্যে সফল কোনগুলো?

জুনাইদ আহমেদ পলক: প্রথমত, সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের (ক্যামস) কথা বলতে হয়। যেটি চমৎকার একটি প্ল্যাটফর্ম। এটি আমাদের নিজস্ব হোমগ্রোন সলিউশন এবং নো-কস্ট সলিউশন। এর মাধ্যমে ৫০ লাখ কর্মহীন পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে সুচারুভাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হলো। প্রথম দিকে অনেকে মনে করেছিল ভুয়া নাম পাঠিয়ে দিলে টাকা পাওয়া যাবে। যখনই যাচাই করা হলো, দেখা গেলো ২০ শতাংশই ভুয়া। তখনই জবাবদিহিতায় আনা গেছে। একটু সময় লাগলেও পরে মাঠ থেকে সঠিক তথ্য এসেছে। এতে কিন্তু অনেক টাকা বেঁচে গেলো, স্বচ্ছতাও এলো।

এছাড়া সুরক্ষা অ্যাপ করেছি, করোনাভাইরাস ট্রেসার অ্যাপ করেছি, ডেটা অ্যানালাইটিকস টাস্কফোর্স করেছি, বিভিন্ন বট (চ্যাটবট) করেছি। তারপরে করেছি করোনা ডট গভ ডট জিওভি। যাতে কোটি মানুষ ভিজিট করেছে। এই দুটোকে আমি বলবো ইউনিক।

আরেকটা হলো ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট। এটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং ছিল। আইসিটি বিভাগের একদল প্রোগ্রামার কোনও অতিরিক্ত সম্মানি না নিয়ে, দিন-রাত পরিশ্রম করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা পাঁচ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। আমাদের এক টাকাও লাগেনি।

বাংলা ট্রিবিউন: করোনাকালে আইটি খাতে ছাঁটাইয়ের কথাও শোনা গেছে। সংখ্যাটা কেমন?

জুনাইদ আহমেদ পলক: প্রথমদিকে একটা আশঙ্কায় বেশ কিছু আইটি কোম্পানি ছাঁটাই শুরু করেছিল। পরে আমরা তাদের সঙ্গে ক্লোজলি বসে সমাধান দিলাম। বললাম, আপনারা ৫০ ভাগ বা ২০ ভাগ বেতন কম দেন। কিন্তু ছাঁটাই করবেন না। বিষয়টি কাজে এসেছিল।

সরকার তো সরাসরি এমন কিছু করতে পারে না। আমরা খুব ক্লোজলি পরামর্শ দিয়েছি। আরেকটা একটা হলো ব্যাংকগুলো থেকে বিনা জামানতে প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়া। অনেক ব্যাংকের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করা কিন্তু বিশাল ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনগুলো সহযোগিতা করেছে, আমরাও করেছি। এতে খুব একটা বড় ছাঁটাই কিন্তু আইসিটি খাতে হয়নি। বরং ই-কমার্সে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রবৃদ্ধিও সন্তোষজনক।

বাংলা ট্রিবিউন: সফটওয়্যার খাত কেমন গেলো?

জুনাইদ আহমেদ পলক: পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তাতে ধাক্কা লেগেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল সেটা তো এড়ানো যাবে না। সফটওয়্যারের যারা আমদানিকারক (৬০টি দেশ) তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। ইউরোপ, আমেরিকাও ক্ষতিগ্রস্ত। তবে আমি মনে করি একটা পাশে কমলেও আরেক দিকে বাড়বে।

এখন আমরা আইসিটি রফতানিতে চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছি- হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, সেবা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা এ টার্গেট পূরণ করতে পারবো। হাইটেক পার্ক সবগুলো হয়ে গেলে বেশ কিছু বিনিয়োগ আসবে। সেখান থেকে রফতানির সুযোগ তৈরি হবে।

এখন পর্যন্ত আমরা ২০২৫ সালকে সামনে রেখে ৫ বিলিয়ন ডলারের টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছি। আমরা বড় টার্গেট করি। এতে কম হলেও আমরা অন্তত এগোতে পারি।

বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

জুনাইদ আহমেদ পলক: বাংলা ট্রিবিউনের জন্য শুভেচ্ছা।

শ্রুতিলিখন: রাসেল হাওলাদার
Link: https://www.banglatribune.com/668774/%E2%80%98%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E2%80%99
Md. Ismail Hossain
Graphic Designer
Marketing and Brand Development Dept.
Daffodil International University
Ph: 01811458821
Ph: 9138234-5, Ext.-225
design1@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd

Offline Mst. Eshita Khatun

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 149
    • View Profile
Mst. Eshita Khatun
Senior Lecturer
Dept. of Computer Science & Engineering
Daffodil International University
102, Sukrabad, Mirpur Rd, Dhanmondi, Dhaka 1207, Bangladesh
eshita.cse@diu.edu.bd