ফেসবুক-টুইটারকে মানুষের জন্য হুমকি মনে করছেন কেন বিজ্ঞানীরা

Author Topic: ফেসবুক-টুইটারকে মানুষের জন্য হুমকি মনে করছেন কেন বিজ্ঞানীরা  (Read 3776 times)

Offline Md. Abul Bashar

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 174
  • Test
    • View Profile
ফেসবুক-টুইটারকে মানুষের জন্য হুমকি মনে করছেন কেন বিজ্ঞানীরা


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের যোগাযোগের ধরনে যে বড় পরিবর্তন এনেছে, তাতে সন্দেহ নেই। আমরা আগের চেয়ে যেমন দ্রুত তথ্য পাচ্ছি, তেমনি সবার সঙ্গে ভাগাভাগিও করতে পারছি। তবে তথ্যের প্রবাহ নির্ধারিত হচ্ছে এমন অ্যালগরিদমের সাহায্যে, যা বেশির ভাগ মানুষই বোঝে না।

সমাজবিজ্ঞানী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের কেউ কেউ অবশ্য গণতন্ত্র, মানসিক স্বাস্থ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব দিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তবে জীববিজ্ঞানী কিংবা বাস্তুবিদেরা (ইকোলজিস্ট) এ নিয়ে তেমন মুখ খোলেননি। হয়তো প্রয়োজন বোধ করেননি। তবে নতুন গবেষণাপত্রে সেটার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

বিজ্ঞান জার্নাল প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে ১৭ জন গবেষক মানবসম্প্রদায়ের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সার্বিক প্রভাব নিয়ে লিখেছেন। জলবায়ুবিজ্ঞান থেকে দর্শন—এই গবেষকদের কাজের ক্ষেত্র বিস্তৃত।

‘স্টুয়ার্ডশিপ অব গ্লোবাল কালেকটিভ বিহেভার’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে তাঁরা বলেছেন, সমাজে প্রযুক্তির বৃহত্তর প্রভাবকে ‘ক্রাইসিস ডিসিপ্লিন’ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ক্রাইসিস ডিসিপ্লিনে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানীরা এককাট্টা হয়ে জরুরি ভিত্তিতে কোনো সমস্যার সমাধান দেন। যেমন বিপন্ন প্রজাতি রক্ষায় জীববিজ্ঞানীরা যেভাবে কাজ করেন, কিংবা বৈশ্বিক উষ্ণতা থামাতে জলবায়ু নিয়ে গবেষকদের কাজ এখানে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।

গবেষণাপত্রে যুক্তি দেখানো হয়েছে, নতুন প্রযুক্তির ‘সমন্বিত আচরণগত প্রভাব’ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার জ্ঞানের অভাব গণতন্ত্র এবং বিজ্ঞানবিষয়ক উন্নতির জন্য বিপজ্জনক। যেমন সেখানে বলা হয়েছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান করোনাকালে ভুয়া তথ্যের প্রসার রোধে হিমশিম খাচ্ছে। আর তাতে মাস্ক এবং ভ্যাকসিন সর্বজনগ্রাহ্য করে তোলা সম্ভব হয়নি।

গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, এই বিষয়গুলো যদি এমন অজানা এবং অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তবে হয়তো নতুন প্রযুক্তির কালো দিক দেখতে হবে। যা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, রোগ, সহিংস উগ্রবাদ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণবৈষম্য এবং যুদ্ধের মতো ব্যাপারগুলোতে মদদ জোগাবে।

এমন বিস্তৃত খাতের গবেষকদের প্রযুক্তির ব্যাপারে এককাট্টা সচরাচর হতে দেখায় যায় না। তাঁদের সম্মিলিত গবেষণাপত্রের উদ্যোগই বলছে, তাঁরা কতটা উদ্বিগ্ন। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোড গবেষণাপত্রটির মূল লেখক জো বাক-কোলম্যান এবং সহলেখক কার্ল বার্গস্ট্রমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাঁরা দুজনই এই নতুন প্রযুক্তি বলতে মূলত ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবকে বুঝিয়েছেন বলে জানিয়েছে।




Source: Prothom Alo

Offline Anta

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 593
  • Never lose hope
    • View Profile
Anta Afsana
Lecturer
Department of English
Daffodil International University
email id: anta.eng@diu.edu.bd
Contact number: 07134195331