কখনোই থেমে গেলে চলবে না....

Author Topic: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....  (Read 2360 times)

Offline Narayan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 426
  • যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে।
    • View Profile
উইলিয়াম জেফারসন বিল ক্লিনটন। জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯৪৬। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত। ২০১১ সালের ১৯ মে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন

অভিনন্দন স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী সব শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার, বন্ধু ও অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও, যারা এ সফলতা অর্জনে সহায়তা করেছে। আজ তোমরা জীবনের আরেকটি অসাধারণ অংশে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, যা তোমাদের জন্য অনেক আনন্দের। আমার মনে হয়, ৪১ বছর আগে আমিও ঠিক তোমাদের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমার গ্র্যাজুয়েশন শেষে। আমার এখনো সবকিছু মনে আছে, যা সেদিন আমাদের সমাবর্তন বক্তা যা বলেছিলেন। তাঁঁর বক্তব্য শুরু হওয়ার ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আঘাত হানল প্রচণ্ড এক ঝড় এবং বক্তা বললেন, ‘যদি তোমরা আমার বক্তব্যের কপি পেতে চাও, আমি অবশ্য তোমাদের পাঠিয়ে দিতে পারি। আমার তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া দরকার, নয়তো ঝড় আমাদের ধ্বংস করে দেবে।’ আজ অবশ্য ঈশ্বর পরিষ্কার রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন। তোমাদের জন্য এটা সুখকর নয় কি?
আজ আমি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি বেশ কিছু কারণে। প্রথমত, তাঁদের জন্য, যাঁরা ‘স্টার্ন স্কুল অব বিজনেস’-এ কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবকাঠামো নিয়ে বা যাঁরা সারা দেশে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠিন প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও শুধু চলা নয়, উন্নত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, এখানকার শিক্ষার্থী, কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের প্রচেষ্টা, বিশ্বকে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশুপাচার রোধের চেষ্টা, যা টেকসই ভবিষ্যৎকে নিশ্চিত করবে।
তোমরা বাস করছ ইতিহাসের এক পারস্পরিক নির্ভরতার যুগে। পারস্পরিক এ অধীনতা মানে হলো চারপাশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে তোমরা জানো, যা আগের প্রজন্মের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তোমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কীভাবে তোমরা নিজেদের গল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখবে। নিজের লক্ষ্যে কীভাবে পৌঁছাবে, নিজের আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নকে ধরে রাখবে এমন একটি পৃথিবীতে, যা উত্তম; মন্দ নয় এবং যেখানে নেতিবাচক শক্তিগুলোর পতন ঘটিয়ে সত্যের জয় হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমি দুটি পরামর্শ দিতে চাই। প্রথমটি হলো জীবনের প্রতিটি দিনে সুখের সন্ধান করতে হবে; সবকিছু শেষ হয়ে গেলে নয়, জীবনের এই যাত্রার শেষেও নয়। সেই শক্তি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্য দিয়ে তোমরা পেয়েছ। দ্বিতীয়টি হলো কখনো থেমে গেলে চলবে না, জীবনের কঠিন সময়গুলোতে হেরে গেলে চলবে না এবং পরিস্থিতি থেকে সবকিছুর ইতি টেনে চলে যাওয়াও চলবে না। স্বপ্নপূরণের এ যাত্রায় যতটা এগিয়ে গেছ, সেখান থেকে তোমরা বেরিয়ে আসতে পারবে না, তালগোলও পাকিয়ে ফেলবে না, এমনকি জীবনের সবকিছু হারিয়ে গেলেও না। যখন তুমি স্বপ্নপূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন এটা তোমার মন, প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জয় করবেই।
এখন আমি বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে বলতে চাই। কীভাবে তুমি একে দেখতে চাও? তোমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এ বিশ্বকে কীভাবে রেখে যেতে চাও? আমি জানতাম, আমি এ পৃথিবীকে কীভাবে দেখতে চাই। আমি চেয়েছিলাম, সুযোগ ও দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার জায়গা হিসেবে পৃথিবীকে দেখতে, যেখানে সব বিভেদ দূর করে আমরা জাতি গঠন করতে সক্ষম হব।
এমন একটি পৃথিবী আমরা পেয়েছিলাম, যা আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারি। সেখানে আমরা আমাদের বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্য উদ্যাপন করব। কিন্তু আমাদের মানবতাবোধের মূল্য থাকবে সবচেয়ে বেশি। সে রকম একটি পৃথিবী যদি আমরা পেতে চাই, তবে প্রশ্ন হলো কীভাবে সেই পৃথিবী আমরা অর্জন করতে পারি? আমাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে ইতিবাচক গুণাবলির স্ফুরণ ঘটাতে হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নেতিবাচক দিকগুলো প্রতিহত করা। আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, তা মোটেও স্থিতিশীল নয়। শুধু যে সংঘাত, রক্তপাত, যুদ্ধ-বিবাদ দুটি দেশের সীমানা অতিক্রম করছে তা নয়, মহামারির মতো সীমানাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা একটি জায়গা থেকে শুরু হয়ে তা ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়ে পড়ে। আমাদের এমন একটি উপায় বের করতে হবে, যা অস্থিতিশীলতা প্রতিহত করে বিশ্বের শান্তি সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।
আমাদের এ পৃথিবী যেখানে আমরা বাস করি, যা পরিবর্তনশীল। কিছু মানুষ বৈশ্বিক উষ্ণতা সম্পর্কে আগ্রহী, কারণ এই আগ্রহ তাদের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের পথ সহজতর করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গ্রিনল্যান্ডের বরফখণ্ড গলতে শুরু করেছে। যদি পুরোটা গলে যায়, তবে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর হয়ে তা গালফ হ্রদকে আটকে দেবে এবং উত্তর ইউরোপ, কানাডাসহ বিশ্বের উত্তরাংশ ৭০০ বছর আগের সেই ‘মিনি আইস-এজ’-এর মতোই শীতল হয়ে উঠবে। আমাদের এমন একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে, যাতে কার্বনসহ ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধি আমরা হ্রাস করতে পারি।
আবারও প্রশ্ন হলো, তোমরা কীভাবে সেটা সম্ভব করবে? আজ আমি শুধু এ কথাই বলতে চাই যে দরিদ্র দেশগুলোতে যে ধরনের প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়, তার সঙ্গে ধনী দেশগুলোর প্রতিবন্ধকতার মৌলিক কিছু পার্থক্য আছে। দরিদ্র দেশগুলোতে যা প্রয়োজন তা হলো ‘সিস্টেম’। আমরা হয়তো সত্যিই মর্মাহত হব, যদি হঠাৎ মাইক্রোফোনটি বন্ধ হয়ে যায় কিংবা লাইটগুলো নিভে যায়। কিন্তু আমি আমার জীবনের বেশকিছু সময় এমন জায়গায় কাটিয়েছি, যেখানে মানুষ এসব মেনে নেয়। তাদের প্রয়োজন ‘সিস্টেম’। তাদেরও তোমাদের মতো বুদ্ধিদীপ্ত প্রজন্ম আছে, যারা বিচক্ষণ ও পরিশ্রমী। কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের এখানে সিস্টেম আছে, যা আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে। একে বিস্তৃত করতে হবে। অনেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু অর্জনের চেয়ে শুধু বর্তমানের লাভের কথাই ভাবে।
পৃথিবীকে সবার জন্য নির্মাণ করতে হলে একে ভাগ করে নিতে হবে সবার মধ্যে। আর এ পৃথিবীকে ভাগ করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেওয়ার মতো পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। আমাদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কিন্তু আজ আমরা এখানে সবাই আছি, আমাদের মধ্যে হয়তো এই মিলটি আছে, যা মানবতাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। একটি মানব জিনম প্রজেক্ট প্রকাশ করেছে যে মানুষের বর্ণ, জাতিগত বিভেদের পার্থক্য শতকরা আধা ভাগ। তাই আশা, রইল, এ বিভেদ দূর হবে। পৃথিবীতে উন্নয়ন আসবে, যদি সত্যিকারের সাধারণ একটি সমাজব্যবস্থা এবং পারস্পরিক অংশগ্রহণমূলক প্রচেষ্টার সৃষ্টি হয়।
গুড লাক। ঈশ্বর সহায় হোন।

সূত্র: ইন্টারনেট
Narayan Ranjan Chakraborty
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University.

Offline tariq

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 81
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #1 on: January 10, 2012, 10:04:09 AM »
Encouraging speeches..... But well there are no direct speech for solution but the problems are clear.
Tariq Mahbub
Senior Lecturer
Dept. of Textile Engineering
Daffodil International University

Offline mehnaz

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 167
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #2 on: January 10, 2012, 10:53:02 AM »
Thanks for sharing...
Mehnaz Tabassum

Offline sushmita

  • Faculty
  • Sr. Member
  • *
  • Posts: 461
  • I want to cross myself everyday.
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #3 on: January 10, 2012, 01:20:36 PM »
It's always said by my father that leave the negative things in the waste basket and always pick up the good things from everywhere surrounding you.

Thank you Sir.

Offline Narayan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 426
  • যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে।
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #4 on: January 11, 2012, 10:01:12 AM »
Thanks all of you for patience reading.
Narayan Ranjan Chakraborty
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University.

Offline bipasha

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 504
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #5 on: January 12, 2012, 09:00:57 AM »
great

Offline poppy siddiqua

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 233
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #6 on: January 14, 2012, 11:55:20 AM »
thanks for the encouraging post.
Poppy Siddiqua
Lecturer, ETE

Offline tasnuva

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 344
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #7 on: January 15, 2012, 11:29:30 AM »
Great post :)
Tasnuva Ali
Senior Lecturer
Department of ETE
Daffodil International university

Offline akabir

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 110
    • View Profile
Re: কখনোই থেমে গেলে চলবে না....
« Reply #8 on: January 17, 2012, 06:50:52 PM »
Great post !