ফেসবুক বন্ধ ছিল ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে

Author Topic: ফেসবুক বন্ধ ছিল ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে  (Read 1409 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2667
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
বিশ্বজুড়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল ব্যবহারকারীদের মনে। তবে গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে কোনো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা কার্যক্রমের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।

এর আগে সোমবার ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে ফেসবুকের সব সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো ফেসবুকের সেবাগুলো প্রায় ছয় ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেননি ব্যবহারকারীরা। এর আগে ফেসবুকের পক্ষ থেকে ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনের বিষয়টি পরিকল্পিত নাকি কেউ ফেসবুকের সার্ভারে ঢুকে পড়েছিল, তা পরিষ্কার করা হয়নি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভার ডাউন হওয়ায় সোমবার রাত নয়টার কিছু সময় পর থেকে জনপ্রিয় এই যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বার্তা আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বিশ্বজুড়ে লাখো ব্যবহাকারী। মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এক টুইটবার্তায় সার্ভার সচল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভার জটিলতায় এক টুইটবার্তায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক।দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের বিভ্রান্তি বিরল। এর আগে ২০১৯ সালে সার্ভার জটিলতার কারণে ফেসবুক এবং এর অন্যান্য অ্যাপ বিশ্বজুড়ে ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যবহার করা যায়নি। ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এখন ২৯০ কোটি। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী এই পরিমাণ অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে একবার হলেও ফেসবুকে লগইন করা হয়। এই ব্যবহারকারীদের ৪ কোটি ৮০ লাখের বাস বাংলাদেশে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ১২০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন।

ফেসবুক গণতন্ত্র ও শিশুদের ক্ষতি করছে

ফেসবুকের একজন সাবেক কর্মী মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, কোম্পানির সাইট এবং অ্যাপগুলো শিশুদের ক্ষতি করছে। এ ছাড়া বিভাজন সৃষ্টিসহ আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। ফ্রান্সেস হজেন (৩৭) নামের ওই কর্মী ফেসবুকে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এখন ফেসবুকের সমালোচক (হুইসেলব্লোয়ার) হিসেবে আলোড়ন তুলেছেন। ক্যাপিটল হিলের ঘটনা নিয়ে শুনানিতে হাজির হয়ে তিনি ফেসবুকের সমালোচনা করেন।

তবে এ বিষয়ে ফেসবুক বলছে, হজেন যে বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে তাঁর কোনো জ্ঞান নেই। ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যাপক যাচাই-বাছাই এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই এ হজেনের সমালোচনার বিষয়টি সামনে এল। গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক সিনেটররা কোম্পানিটির পরিবর্তন নিয়ে একমত হন। দুই রাজনৈতিক দলের এক বিষয় নিয়ে একমত হওয়ার ঘটনা দুর্লভ।

গত রোববার সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হজেন বলেন, সম্প্রতি তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ নথি দিয়েছেন। ৬০ মিনিটস নামের অনুষ্ঠানে হজেন বলেন, ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়েই বারবার মুনাফার দিকে নজর দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে অনেক তরুণীও রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শুনানির সময়েও তিনি এ নিয়ে কথা বলেন। হজেন বলেন, কোম্পানির নেতৃত্বরা জানেন কীভাবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ করা যাবে। কিন্তু তাঁরা লাভের কথা ভেবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনেন না।

হজেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গেরও সমালোচনা করেন। ফেসবুকের ওপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ রাখা নিয়ে তিনি জাকারবার্গের সমালোচনা করে বলেন, জাকারবার্গের কোনো জবাবদিহি করতে হয় না।