মুনাফিক! সাবধান

Author Topic: মুনাফিক! সাবধান  (Read 687 times)

Offline ashraful.diss

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 162
  • 'শীঘ্রই রব তোমাকে এত দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে'
    • View Profile
    • Daffodil Institute of Social Sciences - DISS
মুনাফিক! সাবধান
« on: October 25, 2021, 11:32:33 AM »
মুনাফিক! সাবধান

মুনাফিকের সংঘর্ষ হলো ঈমানের ছদ্মাবরণে কুফরী করা।  দাবী করে মুমিন, কিন্তু কাজ করে এর বিপরীত। হাদীস শরীফে এরশাদ হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, চারটি দোষ যে ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে সে খাঁটি মুনাফিক ।  যদিও সে রোজাদার হয়, নামাজ পড়ে এবং দাবি করেন যে সে মমিন ।

( ১ ) যখন কোন কথা বলে , তা মিথ্যা বলে ।

(  ২ ) যখন ওয়াদা করে ,  তা খেলাপ করে ।

(  ৩ ) যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় , তার খেয়ানত করে ।

(  ৪ ) যখন ঝগড়া করে ,  অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ।

পরিপূর্ণ মুমিন হলো কাটিং অন্তরে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের তাওহীদ ও একত্ববাদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এবং দ্বীনের যাবতীয় হুকুম আহকামের উপর পূর্ণ একীন ও তদানুযায়ী আমল করা ।

প্রিয় ভাই ও বোন !

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ,  যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করে ,  কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি স্বরূপ দুই জিহ্বা বিশিষ্ট করে উঠাবেন ।

আরেক হাদীসে এরশাদ হচ্ছে ,  সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ হলো সেই ,  যে দ্বিমুখী আচরন করে ।  একজনের সাথে বলে এরকম , অপরজনের সাথে সেই কথাটিই অন্যরকম করে বলে । এ বিষয়টি অফিসে সবচেয়ে বেশি আমল হয়ে থাকে।

হযরত হুযাইফা ( রাযী. ) বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যোগের চেয়ে বর্তমান যুগে মুনাফিকের সংখা অনেক বেশি । সে যুগে তারা নিজেদের মুনাফিকী গোপন করে রাখতো । কিন্তু আজকের যুগে নিজেদের নেফাক স্বগর্বে প্রকাশ করে বেড়ায় । বস্তুত , নেফাক জিনিসটি অতি সূক্ষ্ম । বিচক্ষণ মাত্রই তা থেকে সতর্ক থাকা  জরুরী । কারণ , নেফাক সত্যিকার অর্থে ঈমানের বিপরীত ? বিভিন্ন হাদীস সমূহের বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায় যে , নেফাক বা ঈমানের ছদ্মাবরণে কুফর কত সূক্ষ এবং গোপনভাবে নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান থাকতে পারে , সুতরাং এ ব্যাপারে অসতর্ক হওয়া মোটেই উচিত নয় । হযরত সাহাবায়ে কেরামগণ নিজেদের ব্যাপারে নেফাকের  আশংকা করতেন । তারা ভীত  থাকতেন , কোন কারণে তাদের নাম মুনাফিকের খাতায় উঠে যায় কি না ?

হযরত উমর ( রাযী.)  অনেক সময় হযরত হুযাইফা (রাযী.) কে জিগ্যেস করতেন ,মুনাফিকদের মধ্যে আমার নামতো উঠে যায়নি ? অর্থাৎ নিজের সম্পর্কে তিনি নেফাকের আশংকা করতেন এবং উদ্বিগ্ন হয়ে যেতেন ।

হযরত হুযাইফা (রাযী) বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কেউ এমন কোন কথা বলে বসত । সে কথার কারণে সে মুনাফিক হয়ে যেত এবং এর উপর মৃত্যুবরণ করত ।  আর এ যুগে সে ধরনের কথা আমি তোমাদের মুখে দশ দশবার উচ্চারিত হতে শুনি ।  অথচ তোমাদের কোন উৎকণ্ঠা নেই ,  পরোয়া নেই ।

হযরত হুযাইফা (রাযী.) এর কাছে এক ব্যক্তি বললো ,আমার আশংকা হয় ,যেআমি মুনাফিক হয়ে গেলাম  কি না ? হযরত হুযাইফা(রাযী.) বলেন , তুমি যদি নিজ সম্পর্কে মুনাফিকীর আশংকা বোধ না করতে , তাহলে সত্যিই তুমি মুনাফিক হয়ে যেতে । তাবেয়ী হযরত ইবনে আবী মূলাইকা (রহ.) বলেন ,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একশত ২৩ জন সাহাবীর সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছে ,তাদের প্রত্যেকেই নিজের সম্পর্কে নেফাকের আশংকা করেছেন। ইবনে আবী মুলাইকা বলেন,এ ছিল হযরত সাহাবায়ে কিরামগণের আল্লাহ্ - ভীতি ও অতি উচ্চ পর্যায়ের ঈমানী চেতনা ।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমার !মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে পূর্ণ মুমিন হিসেবে কবুন করুন। নেফাক থেকে আমাদের অন্তরকে হেফাযত করুন। আমীন ছুম্মা আমীন

Hafez Maulana Mufti. Mohammad Ashraful Islam
Ethics Education Teacher, DISS
Khatib, Central Mosque, Daffodil Smart City
Ashuli , Savar, Dhaka