গণমাধ্যমে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ গবেষণাপত্র ফাঁস করে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। এখন কর্মহীন, তবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই তাঁর। কারণ ‘সঠিক সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি’ কিনেছিলেন তিনি, জানিয়েছেন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইবের প্রতিষ্ঠাতা পিয়ের ওমিদিয়ারের মালিকানাধীন অলাভজনক সংস্থা গত বছর একটি সংগঠনে দেড় লাখ ডলার দেন। সে সংগঠনটি এখন হাউগেনের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। তবে হাউগেন বলেছেন, ওই তহবিল থেকে তিনি কেবল ভ্রমণের জন্য অর্থ নেন।
ফেসবুকের এই গোপন নথি ফাঁসকারী দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘অদূর ভবিষ্যতের জন্য আমি ভালো আছি, কারণ সঠিক সময়ে আমি ক্রিপ্টো কিনেছিলাম।’
বিজ্ঞাপন
হাউগেন আরও বলেন, শারীরিক কিছু সমস্যা এবং ‘ক্রিপ্টো বন্ধুদের’ সঙ্গে যোগ দিতে তিনি এখন পুয়েরতো রিকোয় থাকছেন। তবে বিটকয়েন নাকি অন্য কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছেন, তা বলেননি হাউগেন।
গত সপ্তাহে পলিটিকোর প্রতিবেদনে প্রথম জানা যায়, অলাভজনক সংস্থার মাধ্যমে ফ্রান্সেস হাউগেনকে সাহায্য করছেন ইবের বিলিয়নিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পিয়েরে ওমিদিয়ার। ওমিদিয়ার বরাবরই ‘বিগ টেক’ হিসেবে খ্যাত বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। হাউগেন সে অর্থে কেবল ভ্রমণ ব্যয় মেটাতে রাজি হয়েছেন, বাকি খরচ তিনি নিজের টাকায় করছেন বলে জানিয়েছেন।
গণমাধ্যম এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে হাউগেনকে সাহায্য করছে লুমিনেট নামে ওমিদিয়ারের আরেকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রে হাউগেনের মূল জনসংযোগ প্রতিনিধি বিল বার্টন কাজ করেন সেন্টার ফর হিউমেন টেকনোলজিতে। সেটাও ওমিদিয়ারের তহবিলে গড়া।
লুমিনেটের এক মুখপাত্র বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ‘ফ্রান্সেস হাউগেন যখন প্রকাশ্যে এলেন, যে ইস্যুগুলো তিনি সামনে আনলেন, সেগুলো নিয়ে যেন বেশ আলোচনা হয়, তা নিশ্চিত করতে তাঁকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় লুমিনেট।’