Help & Support > Common Forum/Request/Suggestions
ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলেঘুমের মধ্যে অনেকেরই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়।
(1/1)
Ana:
ঘুমের মধ্যে অনেকেরই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়। দেখা যায়, দশ সেকেন্ড বা এর বেশি সময় শ্বাস বন্ধ থাকলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর জন্য আপনি নিতে পারেন কিছু চিকিৎসা।
চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা : স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর প্রকার ও তীব্রতার ওপর। (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া ও সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া আক্রমণের ওপর নির্ভর করে) মনে রাখবেন সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া ব্রেন বা মস্তিষ্কের কারণে হয়। এর মূল কারণ সাধারণত হার্ট ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর এবং এ ধরনের অ্যাপনিয়ার চিকিৎসার মানে ওই সব রোগের চিকিৎসা করা।
তার আগে অভ্যাসগত জীবনযাত্রার কিছু দিক পরিবর্তন করতে হবে : শোয়ার স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। কারণ চিত হয়ে শুয়ে থাকলে স্লিপ অ্যাপনিয়া বাড়ে। সে জন্য একপাশে কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন এবং যদি সাইনাস বা ফুসফুসের ফ্লেইমের কারণে নাক বন্ধ থাকে তাহলে যে দিক দিয়ে বন্ধ থাকে তার বিপরীত দিকে কাত হয়ে শোয়া ভালো। বালিশ দিয়ে ঘুমালেও খুব বেশি নরম বা ফোম জাতীয় তুলার বালিশ দিয়ে না শোয়া ভালো এবং বুকে জড়িয়ে ধরার বালিশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে—শোয়ার বালিশ চার ইঞ্চি উঁচু থাকা ভালো। ওজন কমানোর চেষ্টা করেন বা মেদ ভুঁড়ি বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া অ্যালকোহল, ধূমপান, অতিরিক্ত চা-কফি পান থেকে বিরত থাকুন ও ঘুমের ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। টনসিলের প্রদাহ থাকলে তা যাতে রাতের বেলায় একটু স্থিতি হয়ে থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুন (বেশির ভাগ টনসিলের প্রদাহ রাতের বেলায়ই বেশি প্রদাহ বাড়ে, সেজন্য হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলুকুচ করতে পারেন)। এলার্জি, সর্দিকাশি ইত্যাদি থাকলে তা যতটুকু সম্ভব প্রতিহত করে রাখার চেষ্টা করুন—সুষম খাবার ও ডায়েট করার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম : নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা, সাঁতারকাটা এবং সাইকেল চালানোই সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। সেই সঙ্গে স্লিপ অ্যাপ্নিয়ার জন্য থ্রোট এক্সারসাইজ এবং লাংস ক্যাপাসিটি রেগুলেশন এক্সারসাইজ নিয়মিত করতে পারেন। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মূলত গলবিলের গহ্বর সঙ্কুচিত হয়ে থাকে বিধায় এর তিন রকমের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করেন বিশেষজ্ঞরা : তার মধ্যে সবচেয়ে সফল চিকিৎসা হলো সিপিএপি (CPAP) বা কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার পদ্ধতি (Continuous Positive Airway Pressure)।
লেখক : নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ।
Source: https://www.bd-pratidin.com/health-tips/2021/12/03/717531
Navigation
[0] Message Index
Go to full version