Entrepreneurship > Business Information

এলসি বা Letter of Credit (LC) করার নিয়ম

(1/1)

Badshah Mamun:
এলসি বা Letter of Credit (LC) করার নিয়মঃ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

🔰বিদেশ থেকে পণ্য বা যন্ত্রাংশ আমদানী করার জন্য অবশ্যই ব্যাংকের মারফত এলসি করতে হয় । এই এলসির মাধ্যমেই সরবরাহকারীরা একদেশ থেকে অন্য দেশে পন্য আমদানি রপ্তানি করে থাকে।
এলসি করতে হলে সবার আগে আপনার কোম্পানীর TIN ভ্যাট করাতে হবে।এরপর ব্যংকে গিয়ে কোম্পানীর নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। তারপর ব্যাংক থেকে এলসিএ ফর্ম কালেক্ট করে পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এই ফর্মে কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। যেমন কি পন্য, দাম কত, কোন দেশ থেকে আসবে প্রভৃতি। এ বিষয়ে নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
1️⃣ পর্যায় ১: কোম্পানীর ট্রেড লাইসেন্স, TIN,ভ্যাট করা। আইআর সি (ইমপোর্ট রেজি: সার্টিফিকেট) করা।
2️⃣ পর্যায় ২: কোন ব্যাংক এ কোম্পানীর একাউন্ট করা।
3️⃣ পর্যায় ৩: যে পন্য আনবেন তার ইনডেন্ট কালেক্ট করা (ধরা যাক আপনি ১৫ টন নিউজপ্রিন্ট কাগজ আনবেন কোরিয়া থেকে। এখন যে কোম্পানী থেকে আনবেন সে কোম্পানীর বাংলাদেশ প্রতিনিধির কাছে গিয়ে দাম দর ঠিক করে একটা ডকুমেন্ট নেবেন। এটাই ইনডেন্ট।
আর সে কোম্পানীর যদি বাংলাদেশ প্রতিনিধি না থাকে তাহলে সে কোম্পানীতে সরাসরি মেইল করে দাম ঠিক করে ডকুমেন্ট আনাতে হবে। তখন এটাকে বলা হয় পি আই বা প্রফরমা ইনভয়েস। এতে পণ্যের বিস্তারিত, দাম, পোর্ট অব শিপমেন্ট এসব তথ্যাদি থাকে।)
4️⃣ পর্যায় ৪: ব্যাংক থেকে এলসিএ (লেটার অব ক্রেডিট এপ্লিকেশন) ফর্ম কালেক্ট করে ইনডেন্ট/পিআই অনুযায়ী তা পূরন করে ব্যাংক এ জমা দেয়া।
5️⃣ পর্যায় ৫: এলসি মার্জিন জমা দেয়া । প্রথম দিকে ব্যাংক এ পুরো টাকাটাই জমা দিতে হবে। ধরা যাক এলসি ভ্যলু ২০,০০০ ডলার। ব্যাংক এ আপনাকে ১৬ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ব্যাংকের সাথে ব্যবসা বাড়লে তখন ১০-২০% মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হবে। টাকার সাথে অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টও দিতে হবে। যেমন:
◾️আপনার কোম্পানীর সব কাগজ (ট্রেড লাইসেন্স, টিন, ভ্রাট, আইআরসি)।
◾️ইনডেন্ট/পিআই এর ৩/৪ টি কপি।
◾️সাপ্লায়ার কোম্পানীর ব্যাংক ক্রেডিট রিপোর্ট।
◾️ইন্সুরেন্স কভার নোট (যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইনডেন্ট দেখিয়ে ফি দিয়ে এটা নিত হবে)।
◾️এরপর ব্যাংক আপনাকে এলসির একটা কপি দেবে। অরিজিনালটা পাঠিয়ে দেবে বিদেশে সাপ্লাইয়ারের কাছে।
🔘 LC advising Bank এর দায়- দায়িত্ব ও অধিকারসমুহঃ
এলসি ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে এলসি পেয়ে যে ব্যাংক বেনেফিশিয়ারি/ সাপ্লায়ারের  এর নিকট এলসি হস্তান্তর করে /বুঝিয়ে দেয় সেটিই হচ্ছে এলসি এডভাইজিং ব্যাংক...
◾️এল সি এডভাইজিং ব্যাংক এলসি এডভাইজিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করবে এলসি এর শর্তাবলী আপাতঃ দৃষ্টিতে যথার্থ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
◾️এলসি ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে এলসি পাওয়ার পর এডভাইজিং ব্যাংক এল সি এডভাইজ করতে সম্মত না হলে তা ইস্যুকারী ব্যাংককে দ্রুত জানাবে।
◾️এলসি এডভাইজিং এর পর যদি এলসি ইস্যুকারী ব্যাংক কোন Amendment পাঠায় তা অবশ্যই প্রথম এডভাইজিং ব্যাংক এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
◾️এলসি এডভাইজিং এর সময় যদি সাপ্লায়ার / বেনেফিশিয়ারি/ এক্সপোর্টার এডভাইজিং চার্জ দিতে সম্মত না হয় তবে এডভাইজিং ব্যাংক সেই চার্জ এলসি ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে পাওয়ার অধিকার রাখে।
◾️সুইফট মেসেজ সম্পুর্ন প্রিন্ট হয়েছে কিনা দেখা।
◾️স্থানীয় আইন পরিপন্থী কোন শর্ত আছে কিনা।
◾️ ত্রুটিপূর্ণ শর্ত উল্লেখ আছে কিনা।
◾️UCP 600 এর article -9  এ LC advising Bank সম্পর্কে বলা হয়েছে।
🏛️ ব্যাংকিং রিলেটেড আরো নতুন নতুন নিউজ পেতে বাংলাদেশের ব্যাংকারদের নিয়ে গঠিত সুনামধন্য সর্ববৃহৎ গ্রুপ ব্যাংকার্স ফ্যামিলি এর সাথে থাকুন পাশে থাকুন।

Source: Social Media (https://www.facebook.com/photo/?fbid=251943307050211&set=gm.1571041083259701)

Navigation

[0] Message Index

Go to full version