সর্বশক্তিমান আল্লাহ ফেরেশতাগণ ও ইবলিসকে – আদম (আঃ) এর সামনে সেজদা দিতে আদেশ দিলেন
সেই সময়টাতে ইবলিস(জ্বিন)-কে তার ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করে আল্লাহ তা’আলার ইবাদত করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এরপর সময় আসলো যখন আল্লাহ্ ফেরেশতাদের নির্দেশ দিলেন (তাদের মধ্যে ইবলিসও উপস্থিত ছিল) আমি যখন রূহ ফুঁকব তখন তোমরা আদম (আঃ) কে সম্মানজনক সেজদা করবে।
وَلَقَدۡ خَلَقۡنٰکُمۡ ثُمَّ صَوَّرۡنٰکُمۡ ثُمَّ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ ٭ۖ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ لَمۡ یَکُنۡ مِّنَ السّٰجِدِیۡنَ
আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি-“আদমকে সেজদা কর” তখন সবাই সেজদা করেছে, কিন্তু ইবলীস সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না। {সূরা আল-আরাফ: আয়াত ১১}
ইবলিস সেজদা করতে অস্বীকার করে এবং শয়তান-এ রূপান্তরিত হয়
ইবলিস অহংকারের কারণে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং একজন কাফের (শয়তান) হয়ে যায়:
وَاِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی وَاسۡتَکۡبَرَ ٭۫ وَکَانَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ
এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করলো। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল। {সূরা আল-বাকারা: আয়াত ৩৪}
فَسَجَدَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ کُلُّہُمۡ اَجۡمَعُوۡنَ - اِ لَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اِسۡتَکۡبَرَ وَکَانَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ
অতঃপর সমস্ত ফেরেশতাই একযোগে সেজদায় নত হল,কিন্তু ইবলীস; সে অহংকার করল এবং অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। { সূরা সাদ: আয়াত ৭৩-৭৪}
فَسَجَدَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ کُلُّہُمۡ اَجۡمَعُوۡنَ -اِلَّاۤ اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنَ مَعَ السّٰجِدِیۡنَ
তখন ফেরেশতারা সবাই মিলে সেজদা করলো। কিন্তু ইবলীস-সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হলো না। {সূরা আল-হিজর: আয়াত ৩০-৩১}