বেসিসের পুরস্কার পেলেন ১০ নারী ও ৩ প্রতিষ্ঠান

Author Topic: বেসিসের পুরস্কার পেলেন ১০ নারী ও ৩ প্রতিষ্ঠান  (Read 1460 times)

Offline Shahana Parvin

  • Newbie
  • *
  • Posts: 26
  • Test
    • View Profile
কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এবং সমাজে নারীদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে প্রথমবারের মতো ১০ নারী ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে ‘বেসিস লুনা শামসুদ্দোহা অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ দিয়েছে দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আজ রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী উদ্যোক্তা ও দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান প্রয়াত লুনা শামসুদ্দোহা স্মরণে এ পুরস্কারের প্রচলন করা হলো। প্রতিবছরই এ পুরস্কার দেবে বেসিস। ব্যক্তিগত জীবনে অসামান্য সাফল্য ও নারীদের কর্মক্ষেত্রে উৎসাহিত করার জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন গ্রাফিক পিপল ও অ্যাডকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী। বেসিসের পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক  জুয়েনা আজিজ, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, বাংলাদেশ পুলিশের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আমেনা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, ইউনাইটেড হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক রওশন আরা খানম, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়রা আজম, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। এ ছাড়া বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নারী কর্মীর সংখ্যার হিসাবে বিপিও কোম্পানি বিভাগে জেনেক্স ইনফোসিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান বিভাগে বিজেআইটি এবং পুরুষ ও নারী অনুপাতে সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ বিভাগে ডিনেট এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে লুনা শামসুদ্দোহাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও অংশগ্রহণ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আলোচনায় তিনি বলেন, নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। নারীদের জন্য কাজ করতে হবে। তা হলেই নারীরা এগিয়ে যাবে। আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, নারীকে চলার পথে অনেক বাঁধা পার হতে হয়। নারী উন্নয়নে আমরা এগিয়েছি অনেক দূর। তৈরি পোশাকশিল্পে এখন নারীর অংশগ্রহণ ৭৫ শতাংশ। কৃষিসহ সব কাজে নারীরা আছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, পোশাকশিল্পসহ নারীদের অংশগ্রহণ এখন সব জায়গায়।

প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, নারীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করবে এমনই স্বপ্নই ছিল লুনা শামসুদ্দোহার। আমাদের ১৫ শতাংশ নারী আইসিটি খাতে কাজ করছেন। সামনে এই হার আমরা ৩০ শতাংশে নিয়ে যাব।

বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শিউয়ার্ড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট ল’ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আলোচনায় অংশ নেন। সঞ্চালক ছিলেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম নারী চেয়ারম্যান হিসেবে জনতা ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালকও ছিলেন। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।