Titanic Tragedy century-টাইটানিক ট্র্যাজেডির শতবর্ষ

Author Topic: Titanic Tragedy century-টাইটানিক ট্র্যাজেডির শতবর্ষ  (Read 1635 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management




শতবর্ষ আগে মহাসমুদ্রের বিস্ময় টাইটানিক উদ্বোধনী যাত্রায় সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের পথে চতুর্থ দিন ১৪ এপ্রিল ১৯১২ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে আটলান্টিকের ঘাতক আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে বিপন্ন হয়ে পড়ে। অবিরাম এসওএস বার্তা যেতে থাকে টাইটানিক থেকে। দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর রাত দুইটা ২০ মিনিটে (তখন ১৫ এপ্রিল) প্রযুক্তির উৎকর্ষ এবং অহংকার নিয়ে টাইটানিক আটলান্টিকে তলিয়ে যায়। টাইটানিকের এক হাজার ৫১৭ জন শীতার্ত যাত্রী ও ক্রু ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতার সমুদ্রজলে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
হোয়াইট স্টার লাইনারের সঙ্গে বেলফাস্টের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হারল্যান্ড অ্যান্ড ওলফের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ১৮৬৭ সাল থেকে। এই প্রতিষ্ঠানেরই তৈরি তিনটি অলিম্পিক ক্লাস জাহাজ; হোয়াইট স্টারের চেয়ারম্যান ব্রুস ইজমে এবং মার্কিনি তহবিলদাতা জে পি মর্গানের ইচ্ছায় এবং উদার ব্যয়ে টাইটানিক হয়ে ওঠে সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বিলাসবহুল জাহাজ। কেবল সমুদ্রের বিস্ময় নয়, এটাকে মনে করা হয় মর্ত্যের সুন্দরতম ভাসমান প্রাসাদ।
স্পেশাল লাক্সারি স্যুটসহ ‘এম্পায়ার স্টাইল’ প্রথম শ্রেণীর ধারণক্ষমতা ৭৩৯ জন যাত্রী, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৬৭৪ জন এবং তৃতীয় শ্রেণীর এক হাজার ২০ জন; জাহাজের ক্রু সদস্য ৯০০; সব মিলিয়ে ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে ধাবমান টাইটানিক তিন হাজার ৩৩৯ জনকে তাঁদের মালামালসহ পরিবহন করতে সক্ষম। এবং ঘোষণা করা হয় আরএমএস টাইটানিক আনসিংকেবল—কখনো ডুববে না। ২ এপ্রিল ১৯১২ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। ৩১ মে ১৯১১ সাল। দুপুর সোয়া ১২টায় যখন টাইটানিককে সমুদ্রে ভাসানো হয়, তা দেখতে জড়ো হয়েছিল এক লাখ দর্শক। নিউইয়র্কের পথে প্রথম যাত্রায় ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথের নেতৃত্বে ৮৮৫ জন ক্রু জাহাজে আরোহণ করেন। যাত্রী ছিলেন এক হাজার ৩১৭ জন (প্রথম শ্রেণী ৩২৪, দ্বিতীয় শ্রেণী ২৮৪ এবং তৃতীয় শ্রেণী ৭০৯); ধারণক্ষমতার প্রায় অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে টাইটানিকের যাত্রা। ১০ এপ্রিল ১৯১২, দুপুরে সাউদাম্পটন থেকে শুরু হয় পশ্চিমমুখী শুভযাত্রা। শুরুতেই মাত্র চার ফুটের জন্য ‘এসএসসিটি অব নিউইয়র্ক’ জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সমর্থ হয়। ৭৭ নটিক্যাল মাইল এগিয়ে শেরবুর্গ থেকে ২৭৪ জন যাত্রী তুলে নেয়। ১১ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় আয়ারল্যান্ডের কর্ক পোতাশ্রয় থেকে জাহাজে ওঠেন ১১৩ জন তৃতীয় শ্রেণীর এবং সাতজন দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী। তারপর তিন দিন কেবল অবিরাম সাগরে চলা। ১৪ এপ্রিল রাতেই আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে এবং বিশ শতকের অন্যতম প্রধান সামুদ্রিক ট্র্যাজেডি।
তারপর আটলান্টিকের অতলে টাইটানিকের অবস্থান জানার চেষ্টা চলতে থাকে বছরের পর বছর। ১৯৮৫ সালে এর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
আনসিংকেবল টাইটানিক এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৬০০ ফুট নিচে আটলান্টিকের তলদেশে স্থির হয়ে আছে। দ্বিখণ্ডিত জাহাজটির দুটো টুকরো ১৯৭০ ফুট দূরে অবস্থান করছে। টাইটানিকের সম্মুখভাগ সমুদ্রতলে ৬০ ফুট মাটির গভীরে প্রোথিত। ১৪ জুলাই ১৯৮৬, ঘটনার ৭৪ বছর পর টাইটানিক পুনরাবিষ্কৃত হয়। টাইটানিক থেকে উদ্ধার পাওয়া বয়োকনিষ্ঠ যাত্রী মিলভিনা ডিনের বয়স তখন মাত্র নয় সপ্তাহ। ৩১ মে ২০০৯ সালে তাঁর মৃত্যুর পর টাইটানিক থেকে বেঁচে যাওয়া আর কেউ জীবিত রইলেন না।

টাইটান না টাইটানিক
মর্গান রবার্টসনের উপন্যাস ফিউটিলিটি—দ্য রেক অব দ্য টাইটান প্রকাশিত হয় ১৮৯৮ সালে। টাইটান মানুষের তৈরি সর্বশ্রেষ্ঠ ভাসমান জলযান; এটি সর্ববৃহৎ জাহাজও। বিলাসিতার মাপকাঠিতে প্রথম শ্রেণীর হোটেলের যত আয়োজন, তার কোনোটির কমতি নেই টাইটানের কেবিনে।
টাইটানের নির্মাণে ব্যবহূত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এই জাহাজে ১৯টি ওয়াটার-টাইট কম্পার্টমেন্ট। এ বিস্ময়কর জাহাজ কখনো ডোবার নয়। টাইটানের যাত্রী ও ক্রু ধারণক্ষমতা তিন হাজার; পুরোটাই যাত্রীবোঝাই ছিল।
যেহেতু এ জাহাজ ডোবার নয়—লাইফবোটের প্রয়োজন নেই। তবু বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ২৪টি বোট টাইটানে রাখা ছিল।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে টাইটান ডুবে যায়। মৃত্যু হয় দুই হাজার ৯৮৭ জন যাত্রী ও ক্রুর।
মর্গান রবার্টসনের কল্পলোকের টাইটান এবং বাস্তবের টাইটানিক ট্র্যাজেডির কিছু সাদৃশ্য বিস্মিত না করে পারে না।

আলফ্রেড রোর অমঙ্গল আশঙ্কা!
সাউদাম্পটন বন্দর ছেড়ে ফ্রান্সের শেরবুর্গ হয়ে টাইটানিক পৌঁছায় দক্ষিণ আয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউন বন্দরে। কিন্তু অতিকায় টাইটানিকের জন্য জাহাজঘাটটি ছোট এবং বন্দরের জলসীমার গভীরতাও কম। সুতরাং, সমুদ্রেই নোঙর ফেলল টাইটানিক। ছোট জাহাজে করে যাত্রীদের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাত্রীরা কিছুটা সময় ঘুরেফিরে কেনাকাটা করে, চা খেয়ে আবার ফিরে আসে টাইটানিকে। এদের একজন আলফ্রেড রো, অন্যদের সঙ্গে তিনি নেমেছিলেন। জাহাজে বসে স্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে বন্দরের পোস্ট অফিসে দিয়ে জাহাজে ফিরে আসেন।
চিঠিতে টাইটানিকের বিস্ময় নিয়ে কোনো জাঁকালো বর্ণনা দেননি, বরং লিখেছেন, জাহাজটি বাড়াবাড়ি রকমের বড় এবং এতে বিপদের ঝুঁকি আছে। জাহাজ ছাড়ার পর পরই টাইটানিকের উত্তাল ঢেউয়ে অপেক্ষমাণ জাহাজ এসএস নিউইয়র্ক নোঙর ছিঁড়ে টাইটানিকের ওপর এসে পড়েছিল প্রায়, সংঘর্ষ হলে টাইটানিকের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত, সে কথা লিখলেন রোর। টাইটানিক তাঁর পছন্দ হয়নি। তবে টাইটানিকের টার্কিশ বাথ তিনি বেশ উপভোগ করেছেন।
‘অন বোরড্ আরএনএস টাইটানিক’ শিরোনামের প্যাডে আলফ্রেড রো তাঁর স্ত্রী কনস্ট্যান্সকে চিঠিটি লিখেছিলেন ১১ এপ্রিল ১৯১২; টাইটানিকের প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ছিলেন তিনি, বয়স ৫৯, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, বাড়ি ইংল্যান্ডের লিভারপুলে।
ধারণা করা হয়: টাইটানিক যখন ডুবে যাচ্ছিল, আলফ্রেড সাঁতরে আইসবার্গের এক খণ্ড বরফের ওপর উঠতে পেরেছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ তাঁর বরফশীতল জমাট দেহ উদ্ধার করে।
২০০৭ সালে টাইটানিক ট্র্যাজেডির ৯৫তম বছরে আলফ্রেড রোর চিঠি এবং কনস্ট্যান্স রোর ডায়েরি নিলামে ওঠে।

অসংখ্য ‘যদি’ কান্নায় ভেসে আসে
যদি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শুরুতেই যাত্রা কয়েক ঘণ্টা পিছিয়ে যেত? যদি আকাশে নতুন চাঁদ না হয়ে পূর্ণিমা রাত হতো—আইসবার্গ তো খালি চোখেই দূর থেকে দেখা যেত।
যদি ৫০টা লাইফবোট থাকত?

টাইটানিক ইজ ইন ডেঞ্জার
বিপদ আঁচ করার পর রেডিও অপারেটর বিলম্ব করেননি। ‘এসওএস টাইটানিক ইজ ইন ডেঞ্জার হেল্প হেল্প এসওএস’—বারবার এই বার্তা পাঠাতে থাকেন। ততক্ষণে ওয়াল্টার লর্ডের বর্ণনা অনুযায়ী, টাইটানিকের বেতারকক্ষে বরফশীতল পানি ঢুকতে শুরু করে। যখন অপারেটরের কোমর পর্যন্ত পানির নিচে তখনো তিনি এসওএস পাঠিয়েই যাচ্ছেন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরত্বে বিশাল জাহাজ কালিফোর্নিয়ান অবস্থান করছিল, কিন্তু রেডিও সিস্টেম বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই জাহাজের অপারেটর। বার্তা পেয়েছিল অনেক দূরের একটি জাহাজ, কার্পাথিয়া। কার্পাথিয়া সর্বোচ্চ গতিতে এগোতে থাকে টাইটানিকের দিকে। কিন্তু টাইটানিক যে অনেক দূরে!

টাইটানিকের শিশু
উদ্ধারকারী জাহাজ ম্যাকে বেনেটের সাহসী নাবিকেরা আটলান্টিকে তলিয়ে যাওয়া অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করেন। অনেককেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়। যাদের শনাক্ত করা যায়নি, তাদের একজন পশমি জ্যাকেট পরা একটি শিশু। কেউ এই শিশুর স্বজন এ দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেনি। ফলে এই অশনাক্ত টাইটানিক শিশু হ্যালিফ্যাক্সে সমাহিত হয় ‘অচেনা শিশু’ হিসেবে। লেকহেড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওন্টারিও, নৃতাত্ত্বিক রায়ান পার এবং লেখক অ্যালান রাফম্যানের সম্মিলিত চেষ্টা জনগণের বাধার মুখে কবর খনন করে ক্ষয়ে যাওয়া হাড়ের একাংশ নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। শিশুটির তিনটি দাঁত ছিল। কবরে একটি লকেটও পাওয়া যায়—লকেটে লেখা ‘আওয়ার বেবি—আমাদের শিশু’। অনুমান করা হয়, এই লকেটটি মৃতদেহ সমাহিত করার সময় শিশুটির সঙ্গে দেওয়া হয়। সম্ভাব্য অনেকের সঙ্গে মিলিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর বের হয় এই শিশুটির নাম ইনো। তার বাবা, মা ও চার ভাইও একই সঙ্গে আটলান্টিকে সমাহিত। ১৩ মাস বয়সী এই মেয়েটি ছিল ফিনল্যান্ডের।

একটি বিস্ময়কর টাইটানিক গল্প
নারী ও শিশুদের জন্য লাইফবোট। এই আইন মেনে নিয়েছে সবাই। কিন্তু মানেনি এর মধ্যেও শ্রেণীবৈষম্য। টাইটানিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রায় সব শিশুকেই বাঁচানো হয়েছে, কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীর ৭৬ জন শিশুর মধ্যে বেঁচেছে মাত্র ২৩ জন, ৬০ শতাংশ তলিয়ে গেছে আটলান্টিকের গভীরে।
জেরোম বার্ক নামের বালকটির জন্ম কর্ক সিটির কাছাকাছি গ্লেনমায়ারে। তার দুই বোন আমেরিকায় চলে গেছে। জেরোমও যেতে চায়। ঠিক করেছে ১৯১২-এর বসন্তকালে যাবে।
এদিকে আরেক বোন নোরার বন্ধুত্ব টাইটানিকের টিকিট অফিসের একজন চেকারের সঙ্গে। ছোট ভাইটির জন্য নিজেই বিস্ময়কর জাহাজ টাইটানিকের উদ্বোধনী যাত্রার টিকিট কিনে দেয়। জেরোম কুইন্সটাউন থেকে জাহাজে উঠবে। তার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।
বাড়ি থেকে কুইন্সটাউনের পথে বের হওয়ার আগে প্রতিবেশী মিসেস ম্যাক ও কোনেল এক বোতল পবিত্র জল নিয়ে এলেন। এর খানিকটা একটা ছোট বোতলে ভরে ছেলেকে দিলেন, ছেলে সঙ্গে নেবে। এক বছর আগে নোরা যখন লাউস সফরে যায়, তখন এই বোতলটি কিনেছিল।
জাহাজ কর্ক উপকূলে কুইন্সটাউন বন্দর থেকে ছেড়ে দিল। তার পরের অংশ তো জানাই। ১৪ এপ্রিল রাতে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে টাইটানিক ডুবে যেতে থাকে। আড়াই ঘণ্টা পর জাহাজটি দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায় আটলান্টিকের তলদেশে। তখন ১৫ এপ্রিল। আরও অনেকের মতো জেরোমের পরিবারের সদস্যরা আটলান্টিকের এপারে ওপারে দিন গুনতে থাকে—জেরোম নিশ্চয়ই বেঁচে আছে। তারপর ভিন্ন প্রত্যাশা—নিশ্চয়ই জেরোমের মৃতদেহটা পাওয়া যাবে। তারপর সব আশা ফুরিয়ে আসে—জেরোম চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে মহাসাগরের অজানা গহিনে।
১৯১৫-এর গ্রীষ্মে ডানকেটল সৈকতের কাছে কুকুর নিয়ে হাঁটার সময় একটি ভিন্ন ধরনের বোতল পান। বোতলের ছিপি খোলার পর ভেতরে একটি প্যাঁচানো কাগজে পেনসিলে লেখা:
১৩/৪/১৯১২
টাইটানিক থেকে
সকলকে বিদায়
গ্লেনমেয়ারের বার্কদের
কর্ক
ঔৎসুক্য ও গবেষণায় বেরিয়ে এল, বোতলটি সেই পবিত্র জলের, হাতের লেখা জেরোমের। তবে তারিখ লিখতে সম্ভবত সে ভুল করেছে, ১৪ এপ্রিলের বদলে লিখেছে ১৩ এপ্রিল। হয়তো ভালো করে ছিপি এঁটে নিজেই নিক্ষেপ করেছে আটলান্টিকে। তিন হাজার মাইল পরিভ্রমণ করে বোতল ফিরে এসেছে কর্ক বন্দর হয়ে জেরোমের জন্মস্থানে। ১৪ মাস পর বোতলটি মানুষের হাতে পড়েছে।
জেরোমের কোনো সমাধি নেই। জেরোমের মা সন্তুষ্ট, অন্তত তার একটা কিছু তো পাওয়া গেছে।
ঘাতক আইসবার্গ
যে আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে টাইটানিকের এই ভয়াবহ পরিণতি, তা কিন্তু অতিকায় নয়। জাহাজটির চেয়ে আকারে অনেক ছোট।
যাত্রাপথে যে আইসবার্গ রয়েছে টাইটানিক এ ধরনের ছয়টি সতর্কবার্তা পায়। কিন্তু বেতার অপারেটর যাত্রীদের ব্যক্তিগত বার্তা পাঠানো নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে সতর্কবার্তা আমলে নেননি। যে আইসবার্গের সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ হয় তা আর সব আইসবার্গের মতো সাদা বর্ণের ছিল না। রাতের আকাশে আইসবার্গের প্রতিবিম্বজনিত কালো ছায়ার কারণে এ ধরনের আইসবার্গকে ব্ল্যাকবার্গ বলা হয় এবং খুব কাছাকাছি স্থান থেকেও দেখা যায় না। টাইটানিকের বেলায় আইসবার্গ দেখা ও সংঘর্ষের মাঝখানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সময় ছিল মাত্র ৩৭ সেকেন্ড।

টাইটানিক যেন ভাসমান রাজপ্রাসাদ
এমন বিশাল ও জৌলুশপূর্ণ জাহাজ পৃথিবীতে একটিই। টাইটানিককে যাঁরা মহাসাগরের বুকে একটি রাজপ্রাসাদ আখ্যা দিয়েছেন, তাঁরা সে সময়ের প্রেক্ষাপটে খুব বাড়িয়ে বলেননি।
 ৮৮২ ফুট ছয় ইঞ্চি দীর্ঘ জাহাজটি তিনটি ফুটবল মাঠের সমান।
 তলা থেকে চূড়া পর্যন্ত টাইটানিক ১৭৫ ফুট উঁচু। মোট নয়টি ডেক, কিংবা বলা যায় নয়তলা।
 টাইটানিকের ইঞ্জিন প্রতিদিন ৮০০ টন কয়লা পোড়ায়। জাহাজটি সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল কিংবা ঘণ্টায় ২৭ মাইল বেগে ছুটতে পারে।
 জাহাজের প্রতিটি কক্ষে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে, ১০ হাজার আবশ্যকীয় বাল্ব সংযোজন করা হয়েছে।
 জাহাজে উষ্ণজলের একটি সুইমিংপুল, একটি জিমনেশিয়াম, দুটো পাঠাগার, এবং দুটো চুল কাটার সেলুন রয়েছে।
 যাত্রী ও ক্রুদের খাওয়াতে টাইটানিকের দরকার হতো ৭৫ হাজার পাউন্ড ওজনের মাংস, ১১ হাজার পাউন্ড মাছ এবং ৪০ হাজার ডিম।
 জাহাজ পরিবহন করছে ৪০ মেট্রিক টন আলু, তিন হাজার ৫০০ পাউন্ড পেঁয়াজ, ৩৬ হাজার আপেল এবং এক হাজার পাউরুটি।
 যাত্রী ও ক্রুদের প্রতিদিনের খাওয়ার পানির পরিমাণ ১৪ হাজার গ্যালন।
 তিন হাজার শ্রমিকের দুই বছরের শ্রমে নির্মিত হয়েছে টাইটানিক। নির্মাণকালে পাঁচজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
 টাইটানিকের নির্মাণব্যয় হয়েছে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
 টাইটানিকের চার ফানেলের তিনটি ছিল ধোঁয়া নির্গমনের জন্য, আরেকটি ছিল অপ্রয়োজনীয়, যা কেবল ফ্যাশন হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
 টাইটানিক-কাহিনি নিয়ে জেমস ক্যামেরন নির্মাণ করেছেন বিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যসফল ছবি টাইটানিক।

সাত খ্যাতিমান, যাঁদের টাইটানিকে চড়া হয়নি
থিওডোর ড্রেইসার
ঔপন্যাসিক থিওডোর ড্রেইসার ইউরোপে ছুটি কাটিয়ে টাইটানিকে আমেরিকা ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু একজন ইংরেজ প্রকাশক সস্তায় অন্য আরেকটি জাহাজে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
থিওডোর ড্রেইসার ক্রুনল্যান্ড জাহাজে টাইটানিক দুর্ঘটনার খবর শোনেন।
বেতার আবিষ্কারক মার্কনি
রেডিও আবিষ্কারক এবং ১৯০৯ সালে নোবেল বিজয়ী মার্কনিকে টাইটানিকের ফ্রি টিকিট অফার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি টাইটানিকের তিন দিন আগে লুসিতানিয়া নামের আরেকটি জাহাজে রওনা হন। কারণ, জাহাজে তাঁর লেখ
« Last Edit: April 16, 2012, 11:45:19 AM by bbasujon »

Offline nature

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 912
  • I love my University
    • View Profile
Titanic Tragedy Century and the sinking of Titanic is really heart touching............Pray to GOD that never can not happen those type of tragedy.
Name: Md. Faruque Hossain
ID: 142-14-1436
Department of MBA
Daffodil International  University
Email:faruque_1362@diu.edu.bd

Offline goodboy

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1133
  • "Find your ways, Built your inspiration."
    • View Profile
The tragedy is really halting our thinking power. Hundred years have past. and now this is going to be the real historic dictation for the story lovers.
Md. Abul Hossain Shajib.
101-11-1375
Department of BBA, Sec:B.
25th Batch.
Daffodil International University.
Email: shajib_1375@diu.edu.bd
Admin Executive
creative.bd

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1172
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Really tragic. 1514 people died that day. We remember this day with great sorrows.
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU