« on: August 01, 2022, 12:03:13 PM »
শিশুদের জন্য কিছু উপদেশ
প্রতিদিনের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে ফেলুন। যতটা সম্ভব সেই রুটিনে রাখার চেষ্টা করলে সুফল মিলবে। বিশেষ করে খাওয়া ও ঘুমানোর সময়টা। মাঝে মাঝে তো একটু পরিবর্তন আসবেই। ক্লান্তি, সময়মতো না ঘুমানো ও খিদে শিশুদের খিটখিটে করে তোলে। রুটিন মাফিক ঘুম আর খাওয়া হলে অনেকাংশেই সেটা কমে আসবে।
কারণটা বোঝার চেষ্টা
ঘুম, খিদে বাদ দিয়ে শিশুর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করুন। ডায়াপার ভারী হয়ে থাকা, পেটব্যথা অথবা শারীরিক কোনো সমস্যার কারণেও শিশু কাঁদতে পারে। কিন্তু কোনো একটা জিনিস চাইছে, সেটা তাকে দেওয়া হচ্ছে না—কান্নার কারণ যদি এটা হয়ে থাকে, তাহলে কিছুক্ষণ কাঁদলেও ক্ষতি নেই। বরং এতে পরবর্তী সময়ে সে বুঝবে, কাঁদলেই সব জিনিস তাকে দেওয়া হবে না।
ভালো কাজে প্রশংসা
যত ছোটই হোক না কেন, প্রশংসা করলে সবাই বোঝে। শিশু ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করুন। জড়িয়ে ধরুন। আপনার কথামতো কোনো কাজ করলে আপনি যে খুশি হয়েছেন, সেটা তাকে বোঝান হাত তালি দিয়ে।
কর্তৃত্ব ফলানো
ছোট ছোট বিষয়ের ওপর তার মতামত নিন। যদিও সে হয়তো অনেক কিছুই বুঝতে পারবে না। কোন জামাটা পরতে চাও? কোন জুস খাবে? এখন কী করতে চাও? তাকেও যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, এটা ভেবেই কিছুক্ষণ শান্ত থাকবে।
অন্যদিকে মন নেওয়া
মাঝে মাঝে কোনোভাবেই শিশু শান্ত হতে চায় না। হতাশ না হয়ে চেষ্টা করতে হবে তার মন অন্যদিকে ফেরানো যায় কি না। বাইরে নিয়ে যান প্রয়োজনে।
ক্লান্ত হয়ে থাকলে
শিশু ক্লান্ত হয়ে থাকলে ওকে আরামদায়ক পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করুন। শিশু ক্লান্ত থাকলে সেই মুহূর্তে তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, দোকানে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা থাকলে বাদ দিন।
শান্ত থাকুন
শিশুদের কান্না থামানো খুবই কঠিন কাজ। আর কিছু না হোক, দরকার পাহাড়–পর্বতসমান ধৈর্য। তাই শিশু যখন অস্থির থাকবে, আপনাকে তখন সুস্থির থাকতে হবে। মাথা গরম করে ফেললেই কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে যাবে!
মনোযোগ দিন
বেচারা ছোট মানুষটা অনেকক্ষণ ধরে আপনাকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছে। আপনি হয়তো ফিরেও তাকাচ্ছেন না। আর পায় কে! কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল চিৎকার–চেঁচামেচি। অনেক সময় শিশুদের প্রতি মনোযোগ না দেওয়াও তাদের একটি কারণ হয়ে থাকে। মনোযোগ দিয়ে তার কথা না শোনা, উত্তর না দেওয়াও তার খারাপের একটি কারণ। তাই তার প্রতি মনোযোগ দিন, সমাধান মিলবে।
‘হ্যাঁ’ বলুন
শিশু কিছু করতে চাইলেই তাকে ‘না’ বলবেন না। ক্ষতি হবে না, এমন কাজ করতে দিন। এর মধ্যে দিয়েই সে অনেক কিছু শিখবে। খেতে বসলে যতই খাবার ছড়াক না কেন, নিজ হাতে খেতে উত্সাহ দিন। সব সময় ‘না’ শুনতে শুনতে তারও হয়তো ‘না’ শব্দটির প্রতি ভালোবাসা জন্মে যাবে! একান্তই যদি কোনো বিষয়ে ‘না’ বলতে হয়, বুঝিয়ে বলুন কেন সেটি করা যাবে না। বেশির ভাগ সময় ‘না’ শুনলে তারা বিষয়টি আরও বেশি করে করতে চায়। আমরা যেন আমাদের শিশুদের আদর্শবান সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে পারি। আল্লাহ কবুল করুন। আমিন!
Logged
Hafez Maulana Mufti. Mohammad Ashraful Islam
Ethics Education Teacher, DISS
Khatib, Central Mosque, Daffodil Smart City
Ashuli , Savar, Dhaka