সূরা এখলাস দৈনিক ২০০ বার অজুর সাথে পড়লে ১০টি ফায়দা !!

Author Topic: সূরা এখলাস দৈনিক ২০০ বার অজুর সাথে পড়লে ১০টি ফায়দা !!  (Read 436 times)

Offline Khan Ehsanul Hoque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 549
  • Test
    • View Profile
সূরা এখলাস দৈনিক ২০০ বার অজুর সাথে পড়লে ১০টি ফায়দা !!

১) আল্লাহ তায়ালা তার রাগের ৩০০ দরজা বন্ধ করে দিবেন।

২) রহমতের ৩০ দরজা খুলবেন।

৩) রিজিকের ৩০০ দরজা খুলবেন।

৪) মেহেনত ছাড়া গায়েব থেকে রিজিক পৌছাবেন।

৫) আল্লাহ তায়ালা নিজের এলেম থেকে এলেম দিবেন।আপন ছবর থেকে ছবর দিবেন।আপন বুঝথেকে বুঝ দিবেন।

৬) ৬৬বার কুরআন খতম করার ছাওয়াব দিবেন।

৭) ৫০ বছরের গুনাহ মাফ করবেন।

৮) জান্নাতের মধ্যে ২০টি মহল দিবেন, যেগুলো ইয়াকুত মার্জান ও জমজদের তৈরী এবং প্রত্যেক মহলের ৭০ হজার দরজা হবে।

৯) ২০০০রাকাত নফল পড়ার ছাওয়াব দিবেন।

১০) যখন তিনি মারা যাবেন ১,১০,০০০ ফেরেশ্তা তার যানাযায় শরিক হবেন।

সুবহানাল্লাহ

আল্লাহ আমাদের জানার এবং বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।

আসসালামু আ’লাইকুম, আমার এক বড় ভাই আমাকে প্রতিদিন ওযু সহকারে দুইশত বার সূরা ইখলাস পড়তে বলেন। তিনি বলেন, এটা করলে মহান আল্লাহ এক হাজার রাস্তা হতে আমলকারীর রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। ওনার কথা অনুযায়ী আমল করা কী ঠিক হবে?–

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
সূরা ইখলাসের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস রয়েছে। সুতরাং আপনি ২০০ বার কিংবা এর চেয়ে কম-বেশি তেলাওয়াত করতে পারেন। তবে ২০০ বারের জন্য যে ফজিলতের কথা আপনার বড় ভাই উল্লেখ করেছেন; তা নির্ভরযোগ্যসূত্রে প্রমাণিত নয়। নির্ভরযোগ্যসূত্রে প্রমাণিত সূরা ইখলাসের ফজিলতসমূহ নিম্নে পেশ করা হল–

১। কাতাদা ইবনু নুমান রাযি.বলেছেন, রাসূল ﷺ এর সময় এক ব্যক্তি শেষ রাতে সালাতে শুধুমাত্র “কুল হুআল্লাহু আহাদ” ছাড়া আর কোনো সূরাই তিলাওয়াত করেন নি। পরদিন সকালে কোন এক ব্যক্তি রাসূল ﷺ-এর কাছে আসলেন। তখন রাসূল ﷺ বললেন, وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন। এ সূরা হচ্ছে সমগ্র কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি ৪৬৪৫)

২। আবূ সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ তাঁর সাহাবীদেরকে বলেছেন, أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ فِي لَيْلَةٍ তোমাদের কেউ কি এক রাতে কোরআনের এ-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অসাধ্য মনে কর? এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে, এমনটি পারবে? তখন তিনি বললেন, اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ ثُلُثُ الْقُرْآنِ “কুল হুআল্লাহু আহাদ” অর্থাৎ সূরা ইখ্‌লাস কোরআন শরীফের এক-তৃতীয়াংশ। (বুখারি ৪৬৪৬)

৩। আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সাহাবিকে একটি মুজাহিদ দলের আমীর করে জিহাদে পাঠালেন। তিনি যখন নামাজে ইমামতি করতেন, তখনই (প্রত্যেক রাকআতে সূরা পড়ার পর) ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) দিয়ে (কিরাআত) শেষ করতেন। মুজাহিদগণ সেই অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করে নবি ﷺ এর খিদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, سَلُوهُ لأَيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذٰلِكَ؟ ‘তাকে জিজ্ঞাসা কর, কেন সে এ কাজটি করেছে?’ সুতরাং তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বললেন, لأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمٰنِ فَأَنَا أُحِبُّ أنْ أقْرَأ بِهَا ‘এই সূরাটিতে পরম করুণাময় (আল্লাহ)র গুণাবলী রয়েছে। এই জন্য সূরাটি তেলাওয়াত করতে আমি ভালবাসি।’ তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,أخْبِرُوهُ أنَّ اللهَ تَعَالَى يُحِبُّهُ ‘তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাআলাও তাকে ভালবাসেন।’ (বুখারি ৭৩৭৫, মুসলিম ৮১৩, নাসায়ি ৯৯৩)

৪। আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাস পড়তে দেখে বলেন, وَجَبَتْ ‘অবধারিত হয়ে গিয়েছে’। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘কী অবধারিত হয়ে গিয়েছে?’ রাসূলুল্লাহ ﷺ উত্তর দিলেন, وَجَبَتْ له الجنة‘তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গিয়েছে’। (মুসনাদ আহমদ ৭৬৬৯)

৫। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

من قرأ { قل هو الله أحد } عشر مرات بنى الله له بيتا في الجنة

‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।’ (সহিহ জামে সগীর ৬৪৭২)

৬। আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত,

أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ وَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاثَ مَرَّاتٍ

নবী ﷺ প্রত্যেক রাতে যখন ঘুমাবার জন্য শয্যা গ্রহণ করতেন তখন দু’ হাতের চেটো একত্রে জমা করতেন এবং তাতে তিন ক্বুল পড়ে ফুঁ দিতেন। তারপর তার দ্বারা দেহের ওপর যতদূর সম্ভব বোলাতেন; মাথা, চেহারা ও দেহের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। এরূপ তিনি তিনবার করতেন। (বুখারি ৪৪৩৯)

৭। উবাই ইবনু কাব রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يُوتِرُ بِـ ‏{سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَالأَعْلَى}‏ وَ ‏{قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ}‏ وَ ‏{قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ‏}

রাসূলুল্লাহ ﷺ বিতরের নামাযে সূরাহ আলা, সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। (ইবন মাজাহ ১১৭১)

‘সূরা ইখলাস’এর বিস্ময়কর ফজিলত

সূরা ইখলাস দশবার পাঠ করলে জান্নাতে বিশেষ মর্যাদাশীল একটি প্রাসাদ আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে ওই ব্যক্তিকে দান করবেন। হাদিসে সূরা ইখলাসের বহু ফজিলত বর্ণিত আছে।

সুরা ইখলাসের ফজিলত:
১. রাসুলুল্লাহ (স.) সূরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের
সমান।’ (মুসলিম ৮১২, তিরমিযী ২৮৯৯, ইবনু মাজাহ ৩৭৮৭, আহমাদ ৯২৫১)

২. রাসুলুল্লাহ (স.) সাহাবীগণকে বললেন, ‘তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারনা’?

প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তারা বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)
তিনি বললেন, ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ’ (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের
সমান।’ (অর্থাৎ এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।

(সহী বুখারী ৫০১৫, নাসায়ী ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯)

৩. এক সাহাবী এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সূরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদকে ভালবাসি।’ তিনি বললেন, ‘এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’

(বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪)

৪. রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হবে।’
(সহীহ আল-জামি, আস-সগীর ৬৪৭২)

৫. রাসুলুল্লাহ (স.) এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করতে শুনলেন। তিনি বললেন, ‘এটা তার অধিকার।’ সাহাবারা জিজ্ঞাস করলেন, তার অধিকার কি? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তার অধিকার হচ্ছে জান্নাত।’ (মুসনাদে আহমাদ ৭৬৬৯)

আল্লাহ তায়ালা সূরা ইখলাস পাঠকারীর লাশ বহন করার জন্য হজরত জিবরাঈলের (রা) সঙ্গে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করবেন, যারা জানাজায়ও অংশগ্রহণ করবে। আল্লাহু আমাদের এই ছোট ‘সূরা ইকলাস’ আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

এই সকল হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ফজিলত দ্বারা আপনি কি পরিমান নেকি নিতে চান তা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে। আপনি এর আমলকে পছন্দ করলে আপনি তার নেকি অবশ্যই পাবেন।

Source: https://m.facebook.com/1437212479901414/posts/2211976399091681/
Khan Ehsanul Hoque

Daffodil International University
01847334702
fd@daffodilvarsity.edu.bd
www.daffodilvarsity.edu.bd