Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief
মৃত্যুর পর সবাইকে জীবিত করা হবে
(1/1)
Khan Ehsanul Hoque:
মৃত্যুর পর সবাইকে জীবিত করা হবে
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা পৃথিবী থেকে যাদের উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে সেগুলো কি মৃতকে জীবিত করতে পারে? যদি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে আল্লাহ ছাড়া অনেক উপাস্য থাকত তাহলে উভয়টি ধ্বংস হয়ে যেত, অতএব তারা যা বলে তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র মহান। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২১-২২)
তাফসির : আলোচ্য আয়াতে সৃষ্টিকর্তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। মুশরিকরা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন বস্তুর উপাসনা করে। অথচ ইলাহ বা উপাস্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মৃতকে জীবিত করা।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কোনো গুণ ও বৈশিষ্ট্য না থাকলেও মুশরিকরা আল্লাহর সঙ্গে অন্যদের অংশীদার করে এবং তাদের উপাসনা করে। তাদের প্রশ্ন করে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করছ, অথচ তোমরা প্রাণহীন ছিলে, তিনি তোমাদের জীবন দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের মৃত করবেন ও পুনরায় জীবিত করবেন, তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরতে হবে। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮)
মৃত্যু-পরবর্তী পুনর্জীবন ও বিচার কার্যক্রমে বিশ্বাস রাখা একজন মুসলিমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে আমার সম্পর্কে উপমা দেয় অথচ নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায়। সে বলে, কে অস্থিতে প্রাণ দেবে, যখন তা পচে-গলে যাবে? আপনি বলুন, তার মধ্যে তিনিই প্রাণ দেবেন, যিনি তা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সব সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। ’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৭৮)
মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের প্রতি মুশরিকদের বিশ্বাস ছিল না। মহান আল্লাহ তাদের এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আদম (আ.)-এর সন্তান আমাকে মিথ্যারোপ করেছে, অথচ তা তার জন্য অনুচিত। সে আমাকে গালমন্দ করেছে, অথচ তা তার জন্য অনুচিত। তার মিথ্যা কথা হলো, সে বলে আমি তাকে (মৃত্যুর আগের মতো) আবার জীবিত করতে সমর্থ নই। আর তার গালমন্দ হলো, সে বলে আমার সন্তান আছে। অথচ আমি আল্লাহ একক ও অদ্বিতীয়। আমি জন্মগ্রহণ করিনি। আমি কাউকে জন্ম দিইনি। আমার সমকক্ষ আর কেউ নেই। আমি স্ত্রী ও সন্তান থেকে পুরোপুরি পবিত্র। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৭৪)
আল্লাহকে সবাই সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মনে করলেও অনেকে তাঁর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে। পবিত্র কোরআনে তাঁর সঙ্গে অংশীদার নির্ধারণে বারণ করা হয়েছে। তা ছাড়া একাধিক উপাস্য থাকলে সৃষ্টির মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। কেননা ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহ নাই। যদি থাকত তাহলে সব ইলাহ নিজের সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করত। তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র ও মহান। ’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৯১)
Source: https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2022/10/19/1194572
Navigation
[0] Message Index
Go to full version