গোপনে করা গুনাহর ব্যাপারে সতর্ক হোন!
প্রখ্যাত সাহাবি আবুদ দারদা (রা.) বলেন, ‘বান্দা যখন নির্জনে আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতা করে, তখন আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের অন্তরসমূহে এমনভাবে তাঁর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দেন যে, সে বুঝতেই পারে না।’ [ইমাম আবু নু‘আইম, হিলয়াতুল আউলিয়া: ১/২১৫]
◉ গোপন গোনাহের পরিণতি:গোপনে গুনাহের পরিণাম হলো, প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হওয়া। বিশেষত, যারা গোপনে গুনাহ করাটাকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে, তাদের সেই গুনাহ আর গোপন থাকে না। কোনো-না-কোনোভাবে মানুষ সেটি জেনে যায়। আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড় দেন, কিন্তু কারও কপট ভালোমানুষী স্থায়ী হতে দেন না। গোপনে আমরা অনেক গুনাহই করি। যেমন: হারাম কোনো কিছুতে দৃষ্টি দেওয়া, যিনা-ব্যভিচার করা, ফ্রি-মিক্সিং, গিবত-চোগলখোরি করা, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া ইত্যাদি।
যুন্নুন মিসরি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহর সাথে খেয়ানত করবে (পাপ করবে), আল্লাহ্ তা‘আলা তার গোপন বিষয়কে প্রকাশ্যে উন্মোচিত করে দেবেন।’ [ইমাম ইবনুল কায়্যিম, আদ দা-উ ওয়াদ দাওয়া: ১/৫৩]
আরবের প্রখ্যাত আলিম শায়খ আবদুল আযিয আত-ত্বরিফি (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘হিদায়াত পাওয়ার পর যত মানুষ পুনরায় জাহিলি (অনৈসলামিক) জীবনে ফিরে গেছে, তাদের অধিকাংশই এমন কাজের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিলো, যা তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে করতো। তাই, গোপনে আপনার দ্বীনদারি বজায় রাখুন এবং আল্লাহ সাথে সৎ থাকুন; তিনি আপনার বাহ্যিক দ্বীনদারি রক্ষা করবেন।’
আমাদেরকে সর্বদা আল্লাহর এই সতর্কবার্তা মাথায় রাখতে হবে— اَلَمۡ یَعۡلَمۡ بِاَنَّ اللّٰهَ یَرٰی
‘‘সে কি জানে না যে, আল্লাহ (সবকিছু) দেখছেন?’’ [সুরা আলাক্ব, আয়াত: ১৪]
Source: https://www.facebook.com/zakirnaikinbangla