বারবার মুখের ভিতরে ঘা হওয়ার কারন ও চিকিৎসা জেনে নিন!
মুখে ঘা এর সমস্যায় ভুগছেন? খেতে বসলে বেশ জ্বালা পোড়া হতে থাকে মুখে? বেশ অস্বস্তি বোধ করেন? পরিত্রান এর উপায় খুঁজছেন? তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্যই।
মুখে ঘা হওয়ার কারন ও ঘা হলে কি করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে তুলে ধরেছি।বারবার মুখে ঘা এর সমস্যায় প্রতিনিয়ত আমরা সবাই ভুগে থাকি। এতে বেশ জ্বালা পড়া যেমন হতে থাকে তেমনি তীব্র ব্যথা বা যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
মুখে ঘা হওয়ার কারণসমূহ:
*শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, আয়রন এবং ভিটামিনের অভাব বা স্বল্পতার কারণে। যেমন ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ অথবা অন্য কোন ভিটামিন।
*ঠাণ্ডা লাগলে মুখে ঘা হতে পারে।
*মুখের মাড়ি আঘাতগ্রস্ত হয়ে ও অনেক সময় এই ঘা হয় এবং জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করলেও এ ঘা হয়।
*ধূমপান, নেশা জাতীয় জিনিস, পান, মদ খেলেও মুখে ঘা হয়। **যাদের এইডস, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এমন রোগ আছে তাদের এ ঘা হয়।
*রাতে ঘুম না হলে অথবা দেরি করে ঘুমালে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে এবং অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করলেও মুখে ঘা হতে পারে। **বংশগত কারণেও মুখের ভিতর আলসার হয়।
" মুখে অ্যালার্জি থাকলে ও ঘা হতে পারে।কিংবা পেট পরিষ্কার না থাকার দরুনও হতে পারে মুখে ঘা হতে পারে।
মুখে ঘা হলে যা করনীয় –# সুষম খাদ্য খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় ফলমূল খান। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল যেমন কমলা, লেবু কিংবা মরিচ।
# মুখ লবন বা বেকিং সোডা দিয়ে কলকুচা করতে হবে। ঘরে বসে গরম পানিতে লবন অথবা বেকিং সোডা দিয়ে কুলি করলে আরাম পাবেন। তাছাড়া ১ চিমটি বেকিং সোডা আর একটু পানি নিয়ে মিশিয়ে ঘা এর উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন।
# কাঁচা পেয়াজ খেতে পারলে বেশ উপকারে আসবে যা ঘা প্রতিরোধে সাহায্য করে।ঘা এর উপর পিয়াজ দিলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন, কিন্তু অনেক ব্যথা বাড়বে।
# পানি বেশি করে পান করতে হবে প্রতিদিন নিয়মিত আট গ্লাস করে যা পেটের যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে রাখবে এবং মুখে ঘা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে।
# ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঘা এর উপর ভেঙ্গে দিন। অথবা টি ব্যাগ ঘা এর উপর রেখে দিন। এতেও দ্রুত নিরাময় হয় ঘা।
# সব ধরনের পানীয় যেমন চা কিংবা কফি পরিহার করতে হবে। চুন কিংবা গুল মিশ্রিত পান খাওয়া পরিহার করতে হবে।
উপরোক্ত কাজগুলো ছাড়াও আপনি এন্টি ব্যক্টেরিয়াল জাতীয় মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন প্রতি রাতে ব্রাশ করার পর।মাউথ ওয়াশ মুখের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
# সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে এই ঘা ভালো হয়ে যায়। আর যদি তা না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
Source: https://www.facebook.com/groups/sciencebeegroup/permalink/950752225885867/