ইস্তিগফার কেন করবেন?
আপনি কি এমন ব্যক্তি হতে চান,যে ব্যক্তি কোন দোয়া করার সাথে সাথেই কবুল হয়ে যায়! তাহলে উঠতে বসতে চলতে ফিরতে সবসময় পড়ুন 'আস্তাগফিরুল্লাহ'
তবে আপনি আসলে কি পড়তেছেন তার অর্থ বুঝে পড়বেন। অর্থ না জানলে আপনি কিভাবে বুজবেন, আপনি কোন বিষয়টা আল্লাহর কাছে তুলে ধরলেন। তাই যা পড়েন তার অর্থ জানা আবশ্যক।
'আস্তাগফিরুল্লাহ' অর্থঃ আল্লাহ আমাকে তুমি ক্ষমা করো।শয়তান আমাদেরকে সবসময় বলে, হে মানুষ তুই নামায রোযা হজ্জ্ব যাকাত সব কর, যতো পারোস তাসবীহ পড়। কিন্তু দয়া করে তুই 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এই তাসবীহ টা কখনই পড়িস না।
এর কারন কি জানেন??কারন 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এর আরেকটা ব্যাখ্যা হলো এটা একটা
'রাবার'! যাকে বলে 'লিখা মুছার ডাস্টার'! আমরা যতোবার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়বো
ততোবারই আমাদের পাপের খাতা থেকে একটা পাপ মুছে ফেলা হবে। সুবহান আল্লাহ্ ! আমরা যদি প্রতিদিন এক হাজার বার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়ি তাহলে আমাদের এক হাজার টা পাপ মুছে ফেলা হবে। এভাবে প্রতিনিয়ত 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়তে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সম্পুর্ণ নিষ্পাপ হয়ে যাব। একটা সময়ে এসে ফেরেশতারা আল্লাহকে বলবে, হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দা এতোবারই 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পাঠ করেছে যে,এখন আর কোনো পাপই লেখা নেই খাতায়।
সব পাপ মুছে ফেলা হয়ে গেছে। কিন্তু বান্দা এখনও 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়তেই আছে। এখন তাহলে কি করবো আমরা?
তখন আল্লাহ বলবেনঃ ❝খাতার মধ্যে প্রতিটা লিখার যে দাগ গুলা রয়ে গেছে সেগুলা মুছে দাও।❞
আরেকটা সময়ে ফেরেশতারা আবার বলবে,
হে আল্লাহ! দাগ মুছাও শেষ। এখন কি করবো?
আল্লাহ তখন বলবেনঃ
❝এবার তাহলে একটা 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এর পরিবর্তে
একটা সওয়াব তার আমলনামায় লিখে রাখো❞।
সুবহান আল্লাহ
এবার নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন,
এই 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এর ক্ষমতা কতোটুকু!
শয়তান যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা।
শুধুমাত্র বাথরুম বাদে বাকি সবসময় আপনি এই তাসবীহ টি যিকির করবেন। যখনি মনে পড়বে তখনি পড়বেন।
তাহলেই আপনি[ 'মুস্তাযাবুদ দাওয়াহ্] হয়ে যাবেন।
মানে দোয়া করার সাথে সাথেই
আল্লাহ পাক কবুল করে নিবেন।
ইন শা আল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার তৌফিক
দান করুন, আমীন
Source: https://www.facebook.com/groups/255085442843062