সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।
সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।
এই গুনাহ আল্লাহ বান্দার তওবা ব্যতীত তাকে ক্ষমা করেন না। এই গুনাহ ছাড়া অন্য সমস্ত গুনাহ, যদিউ সেটা সমুদ্রের ফেনার সমান হোক না কেন, আল গফফার চাইলে তা নিজ গুনে ক্ষমা করেও দিতে পারেন। কিন্তু শিরক না! তবে আরেকটা গুনাহ আছে যা আল্লাহ ক্ষমা করেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা তার জন্য ক্ষমা আদায় করে নিচ্ছে।
শিরক ব্যতীত কী সেই গুনাহ যা আল গফফার নিজ থেকে ক্ষমা করেন না?
সেটা হচ্ছে মানুষের হক। কেউ যদি কারও হক নষ্ট করে তবে হক আদায় করা কিংবা ক্ষমা পাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা ক্ষমা করেন না। দুনিয়াতে ঈমানী হালতে মৃত্যু হলেও হিসাবের মাঠে মুখোমুখি হবে তারা দুজন। নেকী কেড়ে নিয়ে সেদিন আদায় করে নিবে নিজের হক। একজন ব্যক্তি জাহান্নামে দ্বারপ্রান্ত থেকে সোজা জান্নাতে চলে যেতে পারে আপনার মিজান ভর্তি নেকী নিয়ে। আর আপনি জান্নাতের দ্বারপ্রান্ত থেকে ছিটকে পড়তে পারেন জাহান্নামের টগবগ করা ফুটন্ত তেলের হাড়িতে। কঠিন ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে আপনার এই গুনাহের জন্য।
কারও গীবত করছেন? কারও নামে কুটনামি করছেন? কারও চোগলখোরি করছেন? কাউকে মিথ্যা তোহমৎ দিচ্ছেন? বিনা দোষে কাউকে গালমন্দ/বকাঝকা করছেন? অহেতুক কারও দোষ ধরে তাকে অপমান করছেন? কেনা বেচায় কারও টাকা মেরে দিচ্ছেন? মা-বাবার হক।নষ্ট করছেন? স্বামী-স্ত্রী একে অপরের হক নষ্ট করছেন? ভাই বোনের মিরাস মেরে দিচ্ছেন? সন্তানদের মাঝে না ইনসাফি করছেন? স্ত্রীদের মাঝে না ইনসাফি করছেন? ছেলেদের বউদের মাঝে না ইনসাফি করছেন? কারও দাম্পত্যে কলহ সৃষ্টি করছেন? নির্দোষ কারও সম্মান নষ্ট করছেন? পিঠপিছে কারও ক্ষতি করছেন? যে কোনো মুসলিম ভাইয়ের যে কোনো হক নষ্ট করছেন?
তাহলে আপনি শিরকের পরে সবচেয়ে বড় গুনাহটা করছেন, যার কাফফারা আপনি আদায় না করলে আল গফফার আপনাকে ক্ষমা করছেন না।
কাফফারা কী? ১। খালেস নিয়তে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও সাহায্য চাওয়া
২। যার যে হক নষ্ট করা হয়েছে, তাকে সেই হকের ব্যপারে বলা ও ক্ষমা চাওয়া, তার হক আদায় করে দেওয়া, এমনকি হক নষ্টের কারণে যেসব ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
৩। এই গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
৪। যদি ব্যক্তিকে পাওয়া না যায় তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, তার পক্ষ থেকে সাদাকা করা, তার জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করা, যদি নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার হক নষ্ট করা হয় তবে তা সাদাকা করে দেওয়া। আল্লাহ চাহে তো ক্ষমা করে দিবেন, কিংবা হিসাবের মাঠে হক চাইলে সেই সাদাকাগুলো তাকে দিবেন।
৫। তার পক্ষ থেকে সাদাকা করে দেওয়ার পর যদি সেই ব্যক্তিকে পাওয়া যায় তাহলে তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
কী কঠিন কাফফারাগুলো, এর থেকে ঢের সহজ হচ্ছে নিজের জিহবা, কুবুদ্ধি ও অনুত্তম আচরণে লাগাম দেওয়া।
মাফ চেয়ে নিন যারই হক নষ্ট করেছেন, আপনি আজ আছেন কাল নাই। আল গফফার ক্ষমাকারী এবং তিনি ক্ষমাকারীদের ভালবাসেন।
Source: https://www.facebook.com/groups/porokalerjotochinta02/permalink/442089084760065/